Ajker Patrika

কয়রায় ২০০ পরিবারের মানবেতর জীবন

কয়রা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৫০
কয়রায় ২০০ পরিবারের মানবেতর জীবন

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে নদীর জোয়ারের পানি আসা যাওয়া করছে। এতে ঘর-বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে মানুষ এখন রাস্তায় বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। গত শনিবার থেকে খুলনার কয়রা উপজেলার হরিহরপুর ও গাতিরঘেরি গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবারের চিত্র এটি।

হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা পশুপতি মণ্ডল বলেন, কখন কি হয় এই ভয়ে জোয়ারের সময় ঘরবাড়ি ছেড়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে রাস্তায় থাকছি। রাতে ঘুমানো যাচ্ছে না। ভাটা নেমে গেলে ঘরের ভেতর কয়েকটি ইট দিয়ে চুলা তৈরি করে রান্না করা হচ্ছে। একবার রান্না করে সারা দিন সেই খাবার খেতে হচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছি।

পশুপতি মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে আরও বলেন, আমার সাড়ে সাত বিঘার একটি মৎস্য ঘের ছিল। এর মধ্যে পাঁচ বিঘা নদীতে চলে গেছে। আর বাকি আড়াই বিঘা তাড়াতাড়ি বাঁধ না হলে ওই অংশটুকুও নদীতে চলে যাবে।

একই গ্রামের কাজল মণ্ডল বলেন, যে কোনো দুর্যোগ আসলেই বাঁধ ভাঙে। সেই সঙ্গে কপাল পোড়ে আমাদের মতো গরিব মানুষের। আজ এখানে তো কাল ওখানে, বাঁধ ভাঙলেই সরতে হয়। সরতে সরতে এখন দাঁড়াবার জায়গা নেই।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বাঁধ ভেঙে ভিটেহারা সীতা রানি মাহাতো বলেন, ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি। রান্না করার কোন ব্যবস্থা নেই, খাবার পানির কষ্টে আছি। প্রস্রাব পায়খানা করার কোন উপায় নেই। ছোট ছোট বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষদের নিয়ে খুবই চিন্তায় আছি।

একই গ্রামের ধীরেশ মাহাতো, কালিদাসী মণ্ডলসহ অনেকেই ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, `ঠিকাদারের গাফিলতির জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাঁধ ভাঙলি মেরামত করতি যারা আসেন তাদের অতি লোভের মাসুল গুনতি হয় আমাদের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত