Ajker Patrika

স্বপ্ন যখন আইবিএ

মুসাররাত আবির
আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১১: ৪৬
Thumbnail image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ ভর্তি পরীক্ষা দুটি পর্যায়ে হয়–লিখিত ও মৌখিক। লিখিত অংশে আবার দুটি পর্ব রয়েছে–নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার সময় ৯০ মিনিট। এখানে তিনটি অংশ থাকে। ইংরেজি ৩০ নম্বর, গণিত ৩০-৩৫ নম্বর এবং অ্যানালিটিকাল ১৫-২০ নম্বর। কোন বিষয়ে কত নম্বর থাকবে তা নির্দিষ্ট নয়। সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে, এখানে প্রতিটি অংশে আলাদাভাবে পাস করতে হয়। একটি অংশে পুরো নম্বর পেয়েও ফেল করতে পারো, যদি আরেকটি অংশে পাস নম্বর না তুলতে পারো। তাই সেফ জোনে থাকতে প্রতিটি অংশে সাধারণত ৬০ শতাংশ নম্বর তুলতে হবে; তবে প্রশ্ন কঠিন হলে পাস মার্ক কমতে পারে। আবার সহজ হলে পাস মার্ক বাড়বে। 

যেভাবে প্রস্তুতির শুরু
আমি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করি অনেক পরে, মে মাসে। কারণ এর আগে আমি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে ছিলাম। এরপর শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেখান থেকে চলে আসি। প্রথম স্থান অর্জন করেছি জানতে পেরে খুবই খুশি হয়েছিলাম। মাত্র ৪২ দিনের প্রস্তুতিতে যে এত ভালো ফলাফল করব, তা একেবারে কল্পনাতীত ছিল! 

প্রশ্নের ধরন
আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের ধরন বেশ স্ট্যান্ডার্ডই হয়ে থাকে। অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের স্যাট এবং জিআরইয়ের মতো হয়ে থাকে। পরীক্ষায় চারটি সেকশন থাকবে—গণিত, ইংরেজি, অ্যানালিটিকাল এবং লিখিত ইংরেজি। প্রথম তিনটি দেড় ঘণ্টার অবজেকটিভ পরীক্ষা, আর শেষেরটি লিখিত পরীক্ষা আধা ঘণ্টার হয়ে থাকে। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার সময় ৯০ মিনিট। এখানে তিনটি অংশ থাকে–ইংরেজি (৩০ নম্বর), গণিত (৩০ নম্বর), অ্যানালিটিকাল (১৫ নম্বর)। 

 বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি
আমি ইংরেজির জন্য Cliffs Toefl Grammar এবং WordSmart অনুসরণ করতাম। আমি যেহেতু স্পেলিং বির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তাই এটা আমার অ্যাডমিশন যাত্রাকে বেশ সহজ করে তুলেছিল। গ্রামার পড়েছি এবং প্রচুর অনুশীলন করেছি। গণিত করেছি মেন্টরসের ম্যাথ কোয়েশ্চেন ব্যাংক থেকে। অবসর সময়েও টুকটাক সমীকরণগুলো কাগজ-কলম ছাড়া মনে মনে করার চেষ্টা করতাম। এ ছাড়া প্রস্তুতিমূলক মডেল টেস্টের জন্য ডিজিটাল কোচ অ্যাপটি দারুণ কাজে দিয়েছিল।

শেষ সময়ের প্রস্তুতি
আমি পরীক্ষার আগের সাত দিন মেন্টরসে তিনটি মক টেস্ট দিই। সবগুলোর সমাধান বের করে আমি কোনটা ভুল করেছি তা দেখতাম এবং পরে সেগুলো ভালোমতো সমাধানের চেষ্টা করতাম। শেষ মুহূর্তে ক্রিটিক্যাল রাইটিং এবং সৃজনশীলতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান। কারণ অনেক সময় দেখা যায় আমাদের আশপাশের কোনো ইস্যু নিয়েই পরীক্ষায় লিখতে বলে। আর পরীক্ষার আগের দিন রিল্যাক্স করবে। কোনো মাথাব্যথা, শেষ মুহূর্তের রিভিশন–কিছু নিয়েই মাথা ঘামানো যাবে না। টেনশন একটু হবেই, তবে মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করবে। 

সময় বণ্টন
কোনো সেকশনে অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। অনুশীলনের সময় যদি দেখো যে কোনো সেকশনে তুমি অতিরিক্ত দুর্বল বা সমাধান করতে সময় বেশি প্রয়োজন, তা সবার শেষে করবে এবং সেগুলোতে বেশি সময় দেবে। তবে যতটুকু সময় বরাদ্দ রাখার কথা, ততটুকুই।

পরীক্ষার হলে নার্ভাস হয়ে প্যানিক কোরো না। প্রশ্ন কঠিন হতেই পারে। কিন্তু মনে রাখবে, তোমার কাছে যেটা কঠিন, সেটা অন্য সবার কাছেই কঠিন।

সাফওয়ান সাহিদ লাবীব ১ম স্থান অধিকারী ঢাবি আইবিএ ২০২১-২২

অনুলিখন: মুসাররাত আবির

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত