এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাস, মিনিবাস, ট্রাকের ফিটনেস বছরে দুবার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে বলেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করলে যাত্রী, চালক ও সহকারীকে জরিমানা করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে হাইকোর্টের সাত নির্দেশনার মধ্যে এগুলোও রয়েছে। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয়, আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। গত বুধবার থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর সঙ্গে চালকদের ট্রিপভিত্তিক না করে বেতন দিতে হবে। কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করে পেশাগত সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে শৃঙ্খলা আসতে পারে। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো ব্যাপক প্রচার করতে হবে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ২০১৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৩১ হাজার ১৬৩ জনের। আহত হয়েছে ৪৫ হাজার ৯৭২ জন। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ২ হাজার ৩২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরেছে ২ হাজার ২৩৮ জনের। আহত হয়েছে ৪ হাজার ৩২০ জন।
২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় আয়কর আইনজীবী মোখলেছুর রহমান নিহত হলে তাঁর পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৬ জুন হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিহতের পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান। ওই রুল নিষ্পত্তি করে ২০২২ সালের ২৬ জুন সাতটি নির্দেশনাসহ রায় দেন বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয় গত বছরের ১৯ জুন।
রায়ের অনুলিপি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ট্রাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনারকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। ওই দুর্ঘটনায় একজন পথচারীও নিহত হন।
রায়ে নিহত মোখলেছুর রহমানের পরিবারকে রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাসমালিক মাওলানা আমির হোসেনকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। নির্দেশনাগুলো পুরো বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
নিহত মোখলেছুরের ছোট ভাই জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্ষতিপূরণ এখনো পাননি। বাসমালিক আইনের তোয়াক্কা করছেন বলে মনে হয় না।
রিটকারী আইনজীবী শাহীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাসমালিক ১০ মাসেও ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় তাঁরা আদালত অবমাননার মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। উচ্চ আদালতের এসব নির্দেশনা মানা হলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়, প্রায় সব দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বাস, মিনিবাস ও ট্রাক জড়িত। মোটরযান অধ্যাদেশে অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ। তাই এসব যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে ‘গতি নিয়ন্ত্রক ডিভাইস’ লাগাতে হবে। বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণ ব্রেক ফেল। এটি নিয়ন্ত্রণে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি ছয় মাস পরপর বাস, মিনিবাস ও ট্রাকের ফিটনেস পরীক্ষা করতে হবে।
রায়ে বলা হয়, মহানগরে যাত্রীবাহী বাসগুলো আয় বাড়াতে সর্বোচ্চ ট্রিপ দিতে প্রতিযোগিতা করে। তাই শৃঙ্খলা আনতে একটি বাসের দৈনিক ট্রিপসংখ্যা নির্দিষ্ট করতে হবে। লোহার পাইপ ও চেইন দিয়ে চিহ্নিত করা নির্দিষ্ট স্থান করতে হবে। সেখানে বাস ঢুকে যাত্রী ওঠা-নামা করাবে। রাস্তার মাঝে যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করতে চালক, তাঁর সহকারী এবং যাত্রীকে জরিমানা করতে হবে। নির্দেশনায় রিকশার জন্য খুঁটি ও চেইন দিয়ে পৃথক লেন, মোটরসাইকেলের গতি নির্দিষ্ট করতে এবং ট্রাফিক পুলিশের নিরাপত্তার জন্য সব সড়কের নির্দিষ্ট স্থানে ট্রাফিক স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে বলা হয়েছে।
ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, আদালতের এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে তিনি মনে করেন।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বাস, মিনিবাস, ট্রাকের ফিটনেস বছরে দুবার পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে বলেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা করলে যাত্রী, চালক ও সহকারীকে জরিমানা করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে হাইকোর্টের সাত নির্দেশনার মধ্যে এগুলোও রয়েছে। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এক্সপ্রেসওয়ে, জাতীয়, আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে মোটরযানের সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। গত বুধবার থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর সঙ্গে চালকদের ট্রিপভিত্তিক না করে বেতন দিতে হবে। কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করে পেশাগত সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে শৃঙ্খলা আসতে পারে। জনসচেতনতা সৃষ্টিতে হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো ব্যাপক প্রচার করতে হবে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ২০১৯ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৩১ হাজার ১৬৩ জনের। আহত হয়েছে ৪৫ হাজার ৯৭২ জন। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ২ হাজার ৩২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরেছে ২ হাজার ২৩৮ জনের। আহত হয়েছে ৪ হাজার ৩২০ জন।
২০১৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় আয়কর আইনজীবী মোখলেছুর রহমান নিহত হলে তাঁর পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৬ জুন হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিহতের পরিবারকে কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চান। ওই রুল নিষ্পত্তি করে ২০২২ সালের ২৬ জুন সাতটি নির্দেশনাসহ রায় দেন বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয় গত বছরের ১৯ জুন।
রায়ের অনুলিপি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক এবং ট্রাফিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনারকে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। ওই দুর্ঘটনায় একজন পথচারীও নিহত হন।
রায়ে নিহত মোখলেছুর রহমানের পরিবারকে রায় পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বাসমালিক মাওলানা আমির হোসেনকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। নির্দেশনাগুলো পুরো বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
নিহত মোখলেছুরের ছোট ভাই জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্ষতিপূরণ এখনো পাননি। বাসমালিক আইনের তোয়াক্কা করছেন বলে মনে হয় না।
রিটকারী আইনজীবী শাহীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাসমালিক ১০ মাসেও ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় তাঁরা আদালত অবমাননার মামলা করার উদ্যোগ নিয়েছেন। উচ্চ আদালতের এসব নির্দেশনা মানা হলে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় বলা হয়, প্রায় সব দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বাস, মিনিবাস ও ট্রাক জড়িত। মোটরযান অধ্যাদেশে অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চালানো নিষিদ্ধ। তাই এসব যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে ‘গতি নিয়ন্ত্রক ডিভাইস’ লাগাতে হবে। বেশির ভাগ দুর্ঘটনার কারণ ব্রেক ফেল। এটি নিয়ন্ত্রণে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতি ছয় মাস পরপর বাস, মিনিবাস ও ট্রাকের ফিটনেস পরীক্ষা করতে হবে।
রায়ে বলা হয়, মহানগরে যাত্রীবাহী বাসগুলো আয় বাড়াতে সর্বোচ্চ ট্রিপ দিতে প্রতিযোগিতা করে। তাই শৃঙ্খলা আনতে একটি বাসের দৈনিক ট্রিপসংখ্যা নির্দিষ্ট করতে হবে। লোহার পাইপ ও চেইন দিয়ে চিহ্নিত করা নির্দিষ্ট স্থান করতে হবে। সেখানে বাস ঢুকে যাত্রী ওঠা-নামা করাবে। রাস্তার মাঝে যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করতে চালক, তাঁর সহকারী এবং যাত্রীকে জরিমানা করতে হবে। নির্দেশনায় রিকশার জন্য খুঁটি ও চেইন দিয়ে পৃথক লেন, মোটরসাইকেলের গতি নির্দিষ্ট করতে এবং ট্রাফিক পুলিশের নিরাপত্তার জন্য সব সড়কের নির্দিষ্ট স্থানে ট্রাফিক স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে বলা হয়েছে।
ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে থাকা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, আদালতের এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে বলে তিনি মনে করেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪