ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটার আগুনের তাপে প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। ভাটামালিক প্রথমে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও এখন খোঁজ নেই তাঁর। এ নিয়ে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার সোমভাগ ও ধামরাই ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের নওগাঁও এলাকার কৃষিজমির ওপর এমবিএন-২ ব্রিকস নামের ইটভাটা গড়ে তোলেন মুজাহিদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। সেই ভাটার আগুনের তাপেই সোমভাগ ও ধামরাই ইউনিয়নের গুতুল, হাজীপাড়া, চন্দ্রপাড়া এবং ডেমরান এলাকার প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।
সোমভাগ ইউনিয়নের নওগাঁও এলাকার কৃষক আব্দুর রফিক বলেন, ‘আমার একটি জমি ৬০ শতাংশ ও আরেকটি ৪৮ শতাংশ। দুটি জমিতেই বোরো ধান রোপণ করেছিলাম। কিন্তু ইটভাটার আগুনের তাপে আমার দুই জমির ধানই পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ রকম শুধু আমার না। অন্যদেরও প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।’
একই এলাকার কৃষক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি তিনটি প্লটে মোট ১৫৬ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছি। ধানের গাছ খুব সুন্দর হয়েছে, শিষও বের হয়েছে কিছুদিন আগে। কিন্তু ইটভাটার আগুনের তাপে সব ধান পুড়ে গেছে।’
রেজাউল আরও বলেন, গত সোমবার এমবিএন-২ ব্রিকসের মালিক মুজাহিদ ও তার স্ত্রী এসে সব জমি দেখে হিসাব করে দেখেছেন যে, ১৯৫ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। তখন তাঁরা বলেছিলেন সবাইকে এর ক্ষতিপূরণ দেবেন, আর ধান তাঁরা কেটে নিয়ে যাবেন। কিন্তু পরে তাঁরা পরিকল্পনা করেছেন যে, কোনো জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেবেন না।’
এ বিষয়ে জানতে এমবিএন-২ ব্রিকসের মালিক মুজাহিদ হোসেনের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এমবিএন-২ ব্রিকসের ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে কখনো এ রকম হয়নি। কিন্তু এবার কেন হলো বুঝতে পারছি না। এটা ইটভাটার কারণেও হতে পারে, আবার কোনো ভাইরাসের কারণেও হতে পারে। এই মুহূর্তে আসলে বলা যাচ্ছে না।’
আশরাফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ধামরাই উপজেলা পরিষদ থেকে লোকজন এসেছিলেন দেখার জন্য। তাঁরা এসে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে গেছেন এবং পোড়া ধান দেখে গেছেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপনাদের ইটভাটা মালিককে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না? এমন প্রশ্নে ইটভাটাটির ব্যবস্থাপক বলেন, ‘না, তাঁরা শুধু কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। আমাদের কিছুই বলেননি।’
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কৃষকদের অভিযোগ পাওয়ার পর, সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ভাটার আগুনেই ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব কৃষকই ক্ষতিপূরণ পাবেন। ওই এলাকার চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইটভাটার মালিকের সঙ্গে বসে যেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
এদিকে গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে ধামরাই উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। মানববন্ধন চলাকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সাংসদ বেনজীর আহমদ। তিনি এক অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদ থেকে বের হলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা তাঁর কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে সাংসদ এ বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটার আগুনের তাপে প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। ভাটামালিক প্রথমে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলেও এখন খোঁজ নেই তাঁর। এ নিয়ে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার সোমভাগ ও ধামরাই ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।
জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের নওগাঁও এলাকার কৃষিজমির ওপর এমবিএন-২ ব্রিকস নামের ইটভাটা গড়ে তোলেন মুজাহিদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। সেই ভাটার আগুনের তাপেই সোমভাগ ও ধামরাই ইউনিয়নের গুতুল, হাজীপাড়া, চন্দ্রপাড়া এবং ডেমরান এলাকার প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।
সোমভাগ ইউনিয়নের নওগাঁও এলাকার কৃষক আব্দুর রফিক বলেন, ‘আমার একটি জমি ৬০ শতাংশ ও আরেকটি ৪৮ শতাংশ। দুটি জমিতেই বোরো ধান রোপণ করেছিলাম। কিন্তু ইটভাটার আগুনের তাপে আমার দুই জমির ধানই পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এ রকম শুধু আমার না। অন্যদেরও প্রায় ২০০ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে।’
একই এলাকার কৃষক রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি তিনটি প্লটে মোট ১৫৬ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করেছি। ধানের গাছ খুব সুন্দর হয়েছে, শিষও বের হয়েছে কিছুদিন আগে। কিন্তু ইটভাটার আগুনের তাপে সব ধান পুড়ে গেছে।’
রেজাউল আরও বলেন, গত সোমবার এমবিএন-২ ব্রিকসের মালিক মুজাহিদ ও তার স্ত্রী এসে সব জমি দেখে হিসাব করে দেখেছেন যে, ১৯৫ বিঘা জমির ধান পুড়ে গেছে। তখন তাঁরা বলেছিলেন সবাইকে এর ক্ষতিপূরণ দেবেন, আর ধান তাঁরা কেটে নিয়ে যাবেন। কিন্তু পরে তাঁরা পরিকল্পনা করেছেন যে, কোনো জমির মালিককে ক্ষতিপূরণ দেবেন না।’
এ বিষয়ে জানতে এমবিএন-২ ব্রিকসের মালিক মুজাহিদ হোসেনের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এমবিএন-২ ব্রিকসের ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এর আগে কখনো এ রকম হয়নি। কিন্তু এবার কেন হলো বুঝতে পারছি না। এটা ইটভাটার কারণেও হতে পারে, আবার কোনো ভাইরাসের কারণেও হতে পারে। এই মুহূর্তে আসলে বলা যাচ্ছে না।’
আশরাফুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ধামরাই উপজেলা পরিষদ থেকে লোকজন এসেছিলেন দেখার জন্য। তাঁরা এসে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে গেছেন এবং পোড়া ধান দেখে গেছেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপনাদের ইটভাটা মালিককে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেছেন কি না? এমন প্রশ্নে ইটভাটাটির ব্যবস্থাপক বলেন, ‘না, তাঁরা শুধু কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। আমাদের কিছুই বলেননি।’
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কৃষকদের অভিযোগ পাওয়ার পর, সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ভাটার আগুনেই ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব কৃষকই ক্ষতিপূরণ পাবেন। ওই এলাকার চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইটভাটার মালিকের সঙ্গে বসে যেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
এদিকে গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে ধামরাই উপজেলা চত্বরে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। মানববন্ধন চলাকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ছিলেন ঢাকা-২০ আসনের সাংসদ বেনজীর আহমদ। তিনি এক অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদ থেকে বের হলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা তাঁর কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন। পরে সাংসদ এ বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪