লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরের ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দাবি, সেখানে ডায়রিয়ার কোনো রোগী নেই। সব স্বাভাবিক রয়েছে। আর হাসপাতালে আসা রোগীদের স্বজনেরা বলছেন, আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা কোনো শয্যার ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া স্যালাইন ছাড়া সব ওষুধ ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি ও বহির্বিভাগে গত দুই সপ্তাহে চার শতাধিক ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত তিন দিনে ৩১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। এ রোগে আক্রান্ত অনেকেই কমিউনিটি ক্লিনিক, স্থানীয় ক্লিনিক ও পল্লিচিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৩১ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চিকিৎসাধীন জান্নাতুল মাওয়ার মা মাসুমা বেগম (২৫) বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী ভর্তির পর শুধু স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব ধরনের ওষুধ ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
হাসপাতাল গেটের ওষুধ বিক্রেতা জিয়াউর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে খাবার স্যালাইন ও ডায়রিয়া রোগীদের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ এ রোগে আক্রান্ত হতে মানুষকে বেশি দেখা যাচ্ছে।
পল্লিচিকিৎসক শহিদুল ইসলাম বলেন, দিন-রাতের আবহাওয়ার পরিবর্তন আর গরমে মানুষ ব্যাপকভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামের অনেকেই হাসপাতালে যেতে পারেন না। তাঁদের স্যালাইন ও ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বহির্বিভাগের ওআরটি কর্নারের ইনচার্জ মোছা. শাহিদা খাতুন বলেন, রমজানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৯০ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীকে খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মমতাজুল হাসান শিমুল বলেন, এখানে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা কোনো বেডের ব্যবস্থা নেই। তাপমাত্রা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে তাঁদের সারিয়ে তোলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. সুরুজ্জামান শামীম বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতে ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগী বেড়ে যায়। আক্রান্তদের অনেকে ঘরোয়া উপায়ে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বা ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। অবস্থা বেশি খারাপ হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মাসিক সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম সাহাব উদ্দিন বলেন, উপজেলায় ডায়রিয়ার কোনো প্রাদুর্ভাব নেই। এ পর্যন্ত হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। লালপুরে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি।
নাটোরের লালপুরের ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি আছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দাবি, সেখানে ডায়রিয়ার কোনো রোগী নেই। সব স্বাভাবিক রয়েছে। আর হাসপাতালে আসা রোগীদের স্বজনেরা বলছেন, আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতালে আলাদা কোনো শয্যার ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া স্যালাইন ছাড়া সব ওষুধ ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি ও বহির্বিভাগে গত দুই সপ্তাহে চার শতাধিক ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত তিন দিনে ৩১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। এ রোগে আক্রান্ত অনেকেই কমিউনিটি ক্লিনিক, স্থানীয় ক্লিনিক ও পল্লিচিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
গতকাল শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৩১ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন।
চিকিৎসাধীন জান্নাতুল মাওয়ার মা মাসুমা বেগম (২৫) বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রোগী ভর্তির পর শুধু স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব ধরনের ওষুধ ফার্মেসি থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।
হাসপাতাল গেটের ওষুধ বিক্রেতা জিয়াউর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে খাবার স্যালাইন ও ডায়রিয়া রোগীদের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ এ রোগে আক্রান্ত হতে মানুষকে বেশি দেখা যাচ্ছে।
পল্লিচিকিৎসক শহিদুল ইসলাম বলেন, দিন-রাতের আবহাওয়ার পরিবর্তন আর গরমে মানুষ ব্যাপকভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামের অনেকেই হাসপাতালে যেতে পারেন না। তাঁদের স্যালাইন ও ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
বহির্বিভাগের ওআরটি কর্নারের ইনচার্জ মোছা. শাহিদা খাতুন বলেন, রমজানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৯০ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীকে খাবার স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ মাস থেকে ৫ বছরের শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মমতাজুল হাসান শিমুল বলেন, এখানে ডায়রিয়া রোগীদের জন্য আলাদা কোনো বেডের ব্যবস্থা নেই। তাপমাত্রা অতিমাত্রায় বৃদ্ধি ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে তাঁদের সারিয়ে তোলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. সুরুজ্জামান শামীম বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরুতে ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগী বেড়ে যায়। আক্রান্তদের অনেকে ঘরোয়া উপায়ে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বা ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন। অবস্থা বেশি খারাপ হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মাসিক সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম সাহাব উদ্দিন বলেন, উপজেলায় ডায়রিয়ার কোনো প্রাদুর্ভাব নেই। এ পর্যন্ত হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হয়নি। লালপুরে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪