দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার দোহার উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ডায়ের গজারিয়া গ্রামে খালের ওপর সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়েই এলাকার হাজারো মানুষ সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করছেন। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করার দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন জানা যায়, ঢাকা-দোহার-শ্রীনগর সড়কের মুকসুদপুর পদ্মা কলেজ থেকে সড়কটি শুরু হয়ে আল-আমীন বাজার হয়ে নিকড়া এলাকার জয়পাড়া-গালিমপুর-টিকরপুর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ১৯৮৯ সালে ডায়ারকুমের খালের ওপর এলজিইডি সেতুটি নির্মাণ করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সেতুর দুই পাশের সড়কটির সংস্কারের কাজ করা হয়। কিন্তু সেতুটি মেরামত করা হয়নি। এর পর থেকে সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও সেতুটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ডায়ারকুম গ্রামের রতন চোকদার বলেন, ‘সেতুটি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ইতিমধ্যে সেতুটির দুই পাশের রেলিংও ভেঙে গেছে। গত বছর সেতুর মাঝের অংশের পলেস্তারা খসে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ ছিল। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তা মেরামত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে আবার সেতুর মাঝের কিছু অংশের পলেস্তারা খসে পড়ে। পরে আমরা এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে দিই। তাতে সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট ছোট যান।’
পার্শ্ববর্তী বোয়ালী গ্রামের গৃহবধূ শিউলী আক্তার বলেন, ‘কয়েক বছরে বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর সঙ্গে যুক্ত ডায়ারকুম খালের স্রোতে সড়কটির একটি অংশের গাইড ওয়াল ভেঙে যায়। এখন সেতুটির অবস্থাও নাজুক। সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।’
ওই এলাকার কৃষক মাসুদ রানা বলেন, ‘সুতারপাড়া গ্রাম থেকে আমরা কয়েকজন কৃষক আড়িয়াল বিলে ঘাস কাটতে আসি। এখান দিয়ে গেলে আল্লাহকে স্মরণ করি। সেতুটি ভেঙে গেলে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে।’
ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা চান মোল্লা (৫৫) বলেন, ‘সেতুটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কয়েকবার ভেঙেও গিয়েছে। পাশের রেলিংও ভেঙে গেছে। ঝুঁকির মধ্য দিয়েই এই সেতুটি দিয়ে আমরা চলাচল করি। না জানি কোন সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে যায়, সেই চিন্তায় থাকি যাওয়ার সময়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে আমাদের চেয়ারম্যান যান না এমন কোনো দিন নাই। তবুও তিনি এটি মেরামত করাচ্ছেন না। এই সেতুর পরিবর্তে অন্য একটা সেতু করার কথা ছিল। কিন্তু সেটার কাজও বন্ধ হয়ে আছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সুরুজ ব্যাপারী বলেন, ‘সেতুটি আগেও একবার ভেঙেছে। এলাকাবাসী ঠিক করেছেন। কয়েক দিন আগে আমাকে এলাকার লোকজন বলেছেন, সেতুটির এক পাশ ভেঙে গেছে। কয়েক বার লোক এসে মেপেও নিয়ে গেছে। কিন্তু কাজ কেন হচ্ছে না, সেটা আমিও জানি না। উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে দেখি কী করা যায়।’
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ রেঞ্জের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান খান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা আছে। এ সড়ক ও সেতুর সমস্যা সমাধানে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
ঢাকার দোহার উপজেলার সুতারপাড়া ইউনিয়নের ডায়ের গজারিয়া গ্রামে খালের ওপর সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়েই এলাকার হাজারো মানুষ সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করছেন। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করার দাবি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন জানা যায়, ঢাকা-দোহার-শ্রীনগর সড়কের মুকসুদপুর পদ্মা কলেজ থেকে সড়কটি শুরু হয়ে আল-আমীন বাজার হয়ে নিকড়া এলাকার জয়পাড়া-গালিমপুর-টিকরপুর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ১৯৮৯ সালে ডায়ারকুমের খালের ওপর এলজিইডি সেতুটি নির্মাণ করে। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সেতুর দুই পাশের সড়কটির সংস্কারের কাজ করা হয়। কিন্তু সেতুটি মেরামত করা হয়নি। এর পর থেকে সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও সেতুটি মেরামতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ডায়ারকুম গ্রামের রতন চোকদার বলেন, ‘সেতুটি খুবই জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। ইতিমধ্যে সেতুটির দুই পাশের রেলিংও ভেঙে গেছে। গত বছর সেতুর মাঝের অংশের পলেস্তারা খসে যাওয়ায় চলাচল বন্ধ ছিল। পরে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তা মেরামত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে আবার সেতুর মাঝের কিছু অংশের পলেস্তারা খসে পড়ে। পরে আমরা এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে দিই। তাতে সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট ছোট যান।’
পার্শ্ববর্তী বোয়ালী গ্রামের গৃহবধূ শিউলী আক্তার বলেন, ‘কয়েক বছরে বর্ষা মৌসুমে পদ্মা নদীর সঙ্গে যুক্ত ডায়ারকুম খালের স্রোতে সড়কটির একটি অংশের গাইড ওয়াল ভেঙে যায়। এখন সেতুটির অবস্থাও নাজুক। সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।’
ওই এলাকার কৃষক মাসুদ রানা বলেন, ‘সুতারপাড়া গ্রাম থেকে আমরা কয়েকজন কৃষক আড়িয়াল বিলে ঘাস কাটতে আসি। এখান দিয়ে গেলে আল্লাহকে স্মরণ করি। সেতুটি ভেঙে গেলে পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হবে।’
ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা চান মোল্লা (৫৫) বলেন, ‘সেতুটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কয়েকবার ভেঙেও গিয়েছে। পাশের রেলিংও ভেঙে গেছে। ঝুঁকির মধ্য দিয়েই এই সেতুটি দিয়ে আমরা চলাচল করি। না জানি কোন সময় সেতুটি ভেঙে পড়ে যায়, সেই চিন্তায় থাকি যাওয়ার সময়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে আমাদের চেয়ারম্যান যান না এমন কোনো দিন নাই। তবুও তিনি এটি মেরামত করাচ্ছেন না। এই সেতুর পরিবর্তে অন্য একটা সেতু করার কথা ছিল। কিন্তু সেটার কাজও বন্ধ হয়ে আছে।’
এ বিষয়ে স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান সুরুজ ব্যাপারী বলেন, ‘সেতুটি আগেও একবার ভেঙেছে। এলাকাবাসী ঠিক করেছেন। কয়েক দিন আগে আমাকে এলাকার লোকজন বলেছেন, সেতুটির এক পাশ ভেঙে গেছে। কয়েক বার লোক এসে মেপেও নিয়ে গেছে। কিন্তু কাজ কেন হচ্ছে না, সেটা আমিও জানি না। উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে দেখি কী করা যায়।’
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ রেঞ্জের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফাহিম রহমান খান বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা আছে। এ সড়ক ও সেতুর সমস্যা সমাধানে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪