রফিকুল ইসলাম, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর পার হলেও সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়নি কোনো শহীদ মিনার। ফলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। ফলে ওই সব বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। আর শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের উদাসীনতাকে দায়ী করছে সচেতন মহল।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও বাকি ৯১টিতে নেই। ফলে এসব বিদ্যালয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চসহ অন্যান্য জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।
অপর দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১০টি কলেজ, ২০টি মাদ্রাসা, ৩২টি মাধ্যমিক-নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৭১টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। আর একটি মাদ্রাসাসহ মোট শহীদ মিনার আছে ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই ভাষাশহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর স্মৃতিস্তম্ভ বা মিনার। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে, সেসব শহীদ মিনার বছরজুড়ে পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায় ও অরক্ষিত অবস্থায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আইয়ুবুর রহমান রাজন বলেন, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীদের ভাষাশহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে শহীদ মিনার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে শিক্ষা প্রশাসন, অভিভাবক ও স্থানীয় বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আরশেদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা সত্যিই দুঃখজনক। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানতে এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ইচ্ছা থাকলে নতুন ভবনের পাশাপাশি শহীদ মিনারও নির্মাণ করা সম্ভব।
আর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার প্রয়োজন। তাই উপজেলায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার এখনো নির্মাণ হয়নি, এ বছর সেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফকির জাকির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। তবে কেউ তথ্য চাইলে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে আছে বা নেই, সেই তথ্যাদি দিয়ে থাকি মাত্র।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, প্রতিবছরই বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল থেকে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বছরও শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। আর এভাবেই পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হয়তো একবারে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তবে উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতি বছরই কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে এমন পরিকল্পনাও রয়েছে।
ভাষা আন্দোলনের ৬৯ বছর পার হলেও সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ১২৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্মিত হয়নি কোনো শহীদ মিনার। ফলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিপাকে পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। ফলে ওই সব বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। আর শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের উদাসীনতাকে দায়ী করছে সচেতন মহল।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ৪৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকলেও বাকি ৯১টিতে নেই। ফলে এসব বিদ্যালয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চসহ অন্যান্য জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।
অপর দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১০টি কলেজ, ২০টি মাদ্রাসা, ৩২টি মাধ্যমিক-নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৭১টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। আর একটি মাদ্রাসাসহ মোট শহীদ মিনার আছে ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই ভাষাশহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর স্মৃতিস্তম্ভ বা মিনার। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে, সেসব শহীদ মিনার বছরজুড়ে পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায় ও অরক্ষিত অবস্থায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আইয়ুবুর রহমান রাজন বলেন, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীদের ভাষাশহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে শহীদ মিনার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণে শিক্ষা প্রশাসন, অভিভাবক ও স্থানীয় বিত্তশালীদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আরশেদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা সত্যিই দুঃখজনক। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানতে এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা জরুরি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে। ইচ্ছা থাকলে নতুন ভবনের পাশাপাশি শহীদ মিনারও নির্মাণ করা সম্ভব।
আর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার প্রয়োজন। তাই উপজেলায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার এখনো নির্মাণ হয়নি, এ বছর সেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ফকির জাকির হোসেন বলেন, ‘বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার নির্মাণের ক্ষেত্রে আমাদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। তবে কেউ তথ্য চাইলে কোন কোন প্রতিষ্ঠানে আছে বা নেই, সেই তথ্যাদি দিয়ে থাকি মাত্র।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেজবাউল করিম বলেন, প্রতিবছরই বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল থেকে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বছরও শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। আর এভাবেই পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হয়তো একবারে শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তবে উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতি বছরই কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হচ্ছে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে এমন পরিকল্পনাও রয়েছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫