Ajker Patrika

ঢালুতে জিপ উল্টে নিহত ২

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি  
আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ৪৩
Thumbnail image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ধর্মেরছড়া এলাকার প্রথম ঢালুতে (উঠনি) জিপ উল্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১৯ জন। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নে জিপটি ব্রেক ফেল করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে হতাহতদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন—উপজেলা দৌছড়ি ইউনিয়নের পাইনছড়ি এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে জাফর আলম (৫৭) ও মৃংচাথোয়াচিং মারমা (৬০)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পর জিপের চালক রবিউল ইসলাম আহত অবস্থায় জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে আহত ১৯ জনের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। আহত একজনকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকি ১৮ জনকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদের সবার বাড়ি পাইনছড়ি গ্রামে।

আহতরা হলেন—নুমা প্রু (৬০), থোয়াইছি প্রু (৭০), মন্জুর আলম (২০), ধুই মং চিং (২৫), থোয়াইচিং প্রু (২), ছালামত উল্লাহ (২৮), আবদুল মান্নান (২০), দেলওয়ার হোসেন (২১), মংথোয়াচিং (৫০), মোহাম্মদ আমিন (১৮), রিয়াজুল আলম (৩২), বদি আলম (২১), আবদুল মান্নান (৩০), জয়নাল আবেদীন (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৬), আবদুল আজিজ (২৫), মিফতাহুল জান্নাহ (২১), তৌহিদুল ইসলাম (২৩) ও জাহিদুল ইসলাম (২৮)।

দুর্ঘটনায় আহত মোহাম্মদ হাশেম (২৬) ও আবদুল মান্নান (৩০) বলেন, বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে গর্জনিয়া বাজার থেকে বেলা সাড়ে ৩টায় জিপটি পাইনছড়ি স্টেশনের উদ্দেশে যাত্রা করে। গাড়ির ভেতরে বিপুল পরিমাণ মুদি মালামালসহ সাত যাত্রী ও ড্রাইভার ছিলেন। এ ছাড়া গাড়ির ওপরে (ছাদে) আরও ১২-১৪ যাত্রী ছিলেন।

তাঁরা বলেন, প্রতিদিনের মতো জিপটি দৌছড়ি সড়কের ধর্মেরছড়ার প্রথম ঢালে পৌঁছালে হঠাৎ ব্রেক ফেল করে। তবে ঢালুর অর্ধেকে গিয়ে জিপটি উল্টে যায়। পাহাড়ের গভীর খাদে চলে যাওয়ার আগেই গাড়ি উল্টে যাওয়ায় অনেক যাত্রী প্রাণে রক্ষা পান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌস বলেন, হতাহতদের খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সকালে নিহত দুই যাত্রীর পরিবার ও চিকিৎসাধীন ১৭ জনকে ৫ হাজার করে নগদ সহায়তা দিয়েছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার পর একজনকে নিহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পাইনছড়ি বিজিবি ঘটনাস্থলে যায়। আহতদের মধ্যে ১৭ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন বৃহস্পতিবার রাতে মারা গেছেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ বলেন, আহত ১৭ জনকে নিয়ে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ছুটে গেছেন। বাকি একজনকে নাইক্ষ্যংছড়িতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু রায়হান বলেন, হাসপাতালে থাকা কয়েকজন ডাক্তার জরুরিভাবে আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন। পরে ১৭ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত