Ajker Patrika

ক্লাসে ফিরে খুশি শিক্ষার্থীরা

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫: ২১
ক্লাসে ফিরে খুশি শিক্ষার্থীরা

‘ক্লাসে আসতি পেরে কত যে খুশি, তা বলে বোঝাতে পারব না। স্নাতক পর্যায়ে যাওয়ার সময় এসে গেছে। অথচ একটি দিনও কলেজের ক্লাসে আসা হয়নি। তাই পরীক্ষার আগে অন্তত কলেজে এসে ক্লাসে ঢুকতে পেরেছি, সহপাঠীদের সঙ্গে পরিচিত হতে পেরেছি, তাতে আনন্দের সীমা নেই।’

শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে এভাবেই বলেন মুন্সিগঞ্জ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সুজন কুমার মণ্ডল। ত্রিপানী বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ পাঁচ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে আসা এ শিক্ষার্থী।

তাঁর কথা শেষ না হতেই পাশে থাকা সহপাঠী মোহনা জানায়, ‘ঘরে বসেই উচ্চ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছিল। তবে কলেজ খোলার ঘোষণায় মাত্র কয়দিনে যেমন পড়ালেখা হয়েছে, গত এক বছরে তার বিন্দুমাত্র হয়নি। এখন শিক্ষক ও সহপাঠীদের সান্নিধ্যে আসতে পারায় শিক্ষা জীবনের ঘাটতির কষ্ট কিছুটা হলেও দুর হবে।’

তবে শ্রেণিকক্ষে ফিরতে পারার আনন্দে কেবল সুজন কিংবা মোহনা চমকিত না। বরং শ্যামনগর উপজেলার অপরাপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কমবেশি অভিন্ন অনুভূতি।

সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আরিফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে অনেক সহপাঠী নানাভাবে ভুলপথে চলে গেছে। বিভিন্ন কারণে ঝরে পড়ার পাশাপাশি কারও বা বিয়ে হয়ে যাওয়াতে বিদ্যালয়ে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব বিষয়গুলো তাঁদের ব্যথিত করা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরতে পেরে খুশি।

নকিপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী নাফিসার পিতা হুমায়ন কবির জানান, ঘরবন্দী অবস্থায় থেকে বাচ্চারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। এবার পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় শিশুরা ধীরে ধীরে জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

মুন্সিগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা আবদুল হামিদ জানান, লম্বা সময়ের বন্দী জীবনের কারণে শিক্ষার্থীরা হাঁপিয়ে উঠেছিল। দীর্ঘদিন পরে ক্লাসে ফিরতে পারায় ছাত্র-ছাত্রীরা শুধু অবসাদগ্রস্ত অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে না। বরং তারা পড়ালেখায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগী হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...