Ajker Patrika

শনির দশা কাটছেই না চট্টগ্রাম বোর্ডের

তাসনীম হাসান, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪: ৫৫
শনির দশা কাটছেই না চট্টগ্রাম বোর্ডের

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার ফল নিয়ে ‘শনির দশা’ যেন কাটছেই না। ফল প্রকাশের দুপুরে দেওয়া নম্বরফর্দ বদলে যায় সন্ধ্যায়। নম্বর বদল নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাটতে না কাটতেই আবারও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা। এবার পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা। এ সমস্যা নিয়ে বোর্ডের দপ্তর থেকে দপ্তরে ঘোরাঘুরি করলেও মিলছে না সমাধান।

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরদিন ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ড। প্রত্যাশিত ফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা বোর্ডকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন করছেন। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এর সময় বেঁধে দিয়েছে বোর্ড। আর এর আবেদন করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, একই বিষয়ের দুটি পত্রে আবেদন করা শিক্ষার্থীরাই বেশি সমস্যায় পড়েছেন। দেখা গেছে, প্রথম পত্রে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রে করা যাচ্ছে না। এই সমস্যা নিয়ে গত মঙ্গলবার অন্তত ১৫ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষা বোর্ডে আসেন। গতকাল বুধবারও এমন সমস্যা নিয়ে আসেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

মেহেরুন নেসা নামের এক শিক্ষার্থী সমস্যার কথা জানাতে গতকাল দুপুরে শিক্ষা বোর্ডের এক দপ্তর থেকে দপ্তরে ঘুরছিলেন। কোথাও সমাধান না পেয়ে হতাশা নিয়ে বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় শিক্ষা বোর্ডের তৃতীয় তলায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় মেহেরুনের। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার নম্বরফর্দে যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের দুটি পত্র মিলিয়ে ৭৩ নম্বর দেখানো হচ্ছে। কিন্তু এরপরও ওই বিষয়ে আমি ফেল করেছি বলা হচ্ছে। যে কারণে আমার পুরো ফলই অকৃতকার্য এসেছে। সে জন্য ভুলটা কোথায় হলো জানতে আমি পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে চাচ্ছিলাম।’

তবে যুক্তিবিদ্যা প্রথম পত্রের আবেদন ঠিকঠাক করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রের আবেদন করতে পারেননি মেহেরুন। আবেদনের জন্য এসএমএস করেন তিনি। ফিরতি এসএমএসে তাঁকে জানানো হয়েছে, ফলের ডাটাবেজে মেহেরুনের সাবজেক্ট কোডটি (১২২) পাওয়া যাচ্ছে না। দুদিন ধরে বোর্ডে ঘুরেও সমাধান পাননি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিজ্ঞান বিভাগে অকৃতকার্য হওয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি জীববিজ্ঞানের দুই বিষয়ে ৯৫ পেয়েছি। এরপরও আমাকে এ বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছি। সে জন্য পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে চাইলেও পারছি না। প্রথম পত্রে আবেদন করা গেলেও দ্বিতীয় পত্রে করা যাচ্ছে না।’

পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়া প্রায় সব শিক্ষার্থী আরেকটি অভিযোগ করলেন। তাঁরা বলছেন, পাসের অতিরিক্ত নম্বর পেলেও কিছু কিছু বিষয়ে তাঁদের ফেল দেখানো হচ্ছে। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করেন তাঁরা।

জানতে চাইলে এ বিষয়টি অবগত আছেন বলে আজকের পত্রিকাকে জানান শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল আলীম। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমরা টেলিটক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে।’ শিক্ষার্থীরা পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে গিয়ে আর সমস্যায় পড়বেন না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

পাসের অতিরিক্ত নম্বর পেয়েও ফেল, শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগেরও ব্যাখ্যা দেন আবদুল আলীম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে পৃথকভাবে বহুনির্বাচনী ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করতে হয়। সে জন্য হয়তো ফেল দেখানো হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল পুনর্বিন্যাস আনছে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলে

‘বাবার অসুস্থতায় পরামর্শ নিতে’ চিকিৎসকের বাসায় নারী, দুজনকে পুলিশে দিল স্থানীয়রা

১৪৬ যাত্রী নিয়ে ব্যাংককের পথে এক ঘণ্টা উড়ে মিয়ানমার থেকে ফিরে এল বিমানের সেই ফ্লাইট

৬ বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন মোদি, আসবেন পুতিনও

রাশিয়ার তেল চীনও কেনে, তবে ট্রাম্পের শুল্ক শুধু ভারতের ওপর কেন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত