কক্সবাজার প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে কক্সবাজার এসেছিলেনে। ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সেই সফরে তিনি সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী এলাকায় লবণমাঠ পরিদর্শনে যান। এ সময় বঙ্গবন্ধু লবণশিল্পের আধুনিক চাষ পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য সেখানে গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই ঘোষণার ৪৭ বছর পর সেখানে বঙ্গবন্ধু লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই গবেষণাকেন্দ্রটির জন্য বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের (বিসিক) লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রের পাশে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গত শনিবার গবেষণাকেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত ওই জায়গা পরিদর্শন করেছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদন কেন্দ্র কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সমুদ্র উপকূলের কিছু জায়গায়। মোট উৎপাদনের ৯৫ ভাগই লবণ কক্সবাজারে উৎপাদিত হয়।
জেলার টেকনাফ, উখিয়া, সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলে সাগরের লোনা পানির সাহায্যে শুষ্ক মৌসুমে লবণ চাষ করা হয়। এক সময় লবণমাঠে খরতাপে পানি শুকিয়ে লবণ উৎপাদন করা হতো। এতে লবণগুলো কাদাযুক্ত ছিল। কয়েক বছর মাঠে পলিথিন বিছিয়ে লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে কাদামুক্ত ও পরিষ্কার লবণ সরাসরি বিক্রি করতে পারছেন চাষিরা।
কক্সবাজার লবণচাষি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, লবণশিল্পের উন্নয়নে সরকার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। লবণচাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাও জরুরি।
কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চাষিরা এখন প্রতি মণ (৪৫-৫০ কেজি) লবণের দাম ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা পাচ্ছেন। অথচ মৌসুমের শুরুতে এ দর ছিল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে উৎপাদন মৌসুমে লবণ আমদানি না করার ওপর জোর দেন তিনি।
বিসিক জানিয়েছে, কক্সবাজারে ৪০ হাজার প্রান্তিক লবণচাষি রয়েছেন। এই চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ।
বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল বলেন, ‘লবণ গবেষণা প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি স্থাপিত হলে চাষিরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হবেন।’
কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত চৌফলদণ্ডীতে লবণচাষিদের জন্য গবেষণা প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি স্থাপিত হচ্ছে। এতে কক্সবাজারবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই গবেষণাকেন্দ্রের ফলে লবণ চাষে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও চাষিরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি লবণ বোর্ড গঠনের দাবিও দীর্ঘদিনের।’ বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে কক্সবাজার এসেছিলেনে। ওই বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি সেই সফরে তিনি সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী এলাকায় লবণমাঠ পরিদর্শনে যান। এ সময় বঙ্গবন্ধু লবণশিল্পের আধুনিক চাষ পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য সেখানে গবেষণাকেন্দ্র গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওই ঘোষণার ৪৭ বছর পর সেখানে বঙ্গবন্ধু লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই গবেষণাকেন্দ্রটির জন্য বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের (বিসিক) লবণ প্রদর্শনী কেন্দ্রের পাশে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। গত শনিবার গবেষণাকেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত ওই জায়গা পরিদর্শন করেছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দেশের একমাত্র লবণ উৎপাদন কেন্দ্র কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সমুদ্র উপকূলের কিছু জায়গায়। মোট উৎপাদনের ৯৫ ভাগই লবণ কক্সবাজারে উৎপাদিত হয়।
জেলার টেকনাফ, উখিয়া, সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলে সাগরের লোনা পানির সাহায্যে শুষ্ক মৌসুমে লবণ চাষ করা হয়। এক সময় লবণমাঠে খরতাপে পানি শুকিয়ে লবণ উৎপাদন করা হতো। এতে লবণগুলো কাদাযুক্ত ছিল। কয়েক বছর মাঠে পলিথিন বিছিয়ে লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। ফলে কাদামুক্ত ও পরিষ্কার লবণ সরাসরি বিক্রি করতে পারছেন চাষিরা।
কক্সবাজার লবণচাষি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শহীদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, লবণশিল্পের উন্নয়নে সরকার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তা প্রশংসনীয়। লবণচাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করাও জরুরি।
কুতুবদিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চাষিরা এখন প্রতি মণ (৪৫-৫০ কেজি) লবণের দাম ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা পাচ্ছেন। অথচ মৌসুমের শুরুতে এ দর ছিল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। চাষিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে উৎপাদন মৌসুমে লবণ আমদানি না করার ওপর জোর দেন তিনি।
বিসিক জানিয়েছে, কক্সবাজারে ৪০ হাজার প্রান্তিক লবণচাষি রয়েছেন। এই চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন আরও কয়েক লাখ মানুষ।
বিসিক কক্সবাজার লবণশিল্প উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল বলেন, ‘লবণ গবেষণা প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি স্থাপিত হলে চাষিরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হবেন।’
কক্সবাজার সদর, রামু ও ঈদগাঁও আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত চৌফলদণ্ডীতে লবণচাষিদের জন্য গবেষণা প্রশিক্ষণকেন্দ্রটি স্থাপিত হচ্ছে। এতে কক্সবাজারবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের। এই গবেষণাকেন্দ্রের ফলে লবণ চাষে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ও চাষিরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি লবণ বোর্ড গঠনের দাবিও দীর্ঘদিনের।’ বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৮ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪