Ajker Patrika

জলমহালের মাছ বিক্রির টাকা যায় না কোষাগারে

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
জলমহালের মাছ বিক্রির টাকা যায় না কোষাগারে

মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরের বড়লেখা উপজেলার প্রায় ২৮৬ একরের কালাপানি জলমহালের ফি আদায়ে (খাস কালেকশন) অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাকালুকি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।

প্রভাবশালী মহল ও জেলা প্রশাসনের রাজস্ব বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে জলমহালের মাছ লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে একদিকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় প্রকৃত মৎস্যজীবীরা, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। 
এদিকে খাস কালেকশনের নামে তহশিলদার সিন্ডিকেটের নিয়মবহির্ভূতভাবে কালাপানি সরকারি জলমহালের মাছ আহরণের বিষয়টি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় তা উত্থাপিত হয়। কমিটির সদস্যরা এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অনুরোধ জানিয়েছেন।

উপজেলা ভূমি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২৮৬ একরের কালাপানি জলমহালটি এবার কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় ইজারা হয়নি। এরপর জেলা প্রশাসকের সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে বড়লেখা উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) মাধ্যমে স্থানীয় তহশিলদারকে মাছ আহরণ করে বিক্রির পর প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মৌখিকভাবে এ নির্দেশনা পান হাকালুকি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) আব্দুল হান্নান। এরপর তিনি জলমহালের মাছ আহরণে নিয়োজিত করেন নিজের পছন্দের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা ইলিয়াছ আলীকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তহশিলদার সিন্ডিকেট প্রায় ১২ দিন ধরে জলমহালটি থেকে হাজার হাজার টাকার মাছ শিকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাস কালেকশনের নামে সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে মাছ আহরণ করে বিক্রি করলেও তহশিলদার মাছ বিক্রির অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেননি। এমনকি তিনি মাছ আহরণের বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিতও করেননি।

হাকালুকি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) আব্দুল হান্নানের বলেন, ‘এ পর্যন্ত খরচ বাদে ১২ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। এগুলো (টাকা) এখনো জমা দিইনি, পরে দেব। লুটপাটের অভিযোগ সঠিক নয়।’

তবে ইলিয়াছ আলী বলেন, ‘গত রোববার আমরা হাকালুকি তহশিলে যাই। জলমহাল থেকে মাছ ধরতে ওই দিন তহশিলদারকে অগ্রিম সব টাকা পরিশোধ করেছি।’

বড়লেখা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘মাছ বিক্রির টাকা কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। তহশিলদার এখনো কিছু জানাননি।’

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে পন্টিংয়ের আরেকটি রেকর্ড ভাঙলেন কোহলি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত