আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে সুপারি চাষে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সুপারির বদলে মিশ্র ফল বাগানের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ফকিরহাটে চলতি মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের দাবি, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টনের সমপরিমাণ সুপারির ফলন হয়েছে ফকিরহাটে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতি বাগানে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে সুপারির উৎপাদন অনেক কম হয়েছে।
উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় দেড় হাজার সুপারির বাগান রয়েছে। এর মধ্যে পিলজঙ্গ, নোয়াপাড়া, বাহিরদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার সুপারি বাগানে ঘুরে দেখা যায়, গাছে সুপারির ফলন গত বছরের তুলনায় কম। গাছে সুপারির কাধিতে অল্পবিস্তার ছোট আকারের চাপিল সুপারি দেখা গেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরী আবহাওয়া, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে গরম ও অনাবৃষ্টির ফলে ছত্রাকের আক্রমণে গুটি ঝরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় ফলন কম হয়েছে বলে বাগানচাষিরা জানান। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
গত সপ্তাহে ফকিরহাট উপজেলার সুপারির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় সুপারির সরবরাহ কম। গ্রামীণ চাষিরা থলে ও বস্তায় সুপারি নিয়ে এলেও দামের ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট নন কৃষক। পাইকারি আড়তদার ইসলাম শেখ জানান, পাকা সুপারির তিন গ্রেড করে তাঁরা ক্রয় করেন। এর মধ্যে প্রতি কুড়ি (২২ ঘা বা ২৬৪ পিস) বড় আকারের সুপারি ৭৫০, মাঝারি আকারের সুপারি ৫২০ এবং চাপিল বা চিকন সুপারি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে থাকেন। এ ছাড়া কাঁচা সুপারি প্রতি কুড়ি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।
আরেক পাইকারি আড়তদার আব্দুল কুদ্দুস জানান, চলতি মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় সুপারিতে এক ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে এবং ছোট আকারের চাপিল সুপারি বেশি হয়েছে। ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি জানান, ফকিরহাটের সুপারি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এ বছর মানসম্মত ও পর্যাপ্ত সুপারি না থাকায় তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছরুল মিল্লাত বলেন, ‘সুপারির চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভজনক হওয়ায় চাষিরা মিশ্র ফল বাগানের দিকে ঝুঁকছেন। সুপারি বছরে একবার ফলন হয়, কোনো বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন কম হলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু মিশ্র ফলবাগানে তাঁরা সারা বছর উৎপাদন করতে পারেন। ফলে উপজেলায় সুপারি চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।’
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে সুপারি চাষে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা সুপারির বদলে মিশ্র ফল বাগানের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে, ফকিরহাটে চলতি মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিতে সুপারি চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের দাবি, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টনের সমপরিমাণ সুপারির ফলন হয়েছে ফকিরহাটে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতি বাগানে গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে সুপারির উৎপাদন অনেক কম হয়েছে।
উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় দেড় হাজার সুপারির বাগান রয়েছে। এর মধ্যে পিলজঙ্গ, নোয়াপাড়া, বাহিরদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার সুপারি বাগানে ঘুরে দেখা যায়, গাছে সুপারির ফলন গত বছরের তুলনায় কম। গাছে সুপারির কাধিতে অল্পবিস্তার ছোট আকারের চাপিল সুপারি দেখা গেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈরী আবহাওয়া, শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে গরম ও অনাবৃষ্টির ফলে ছত্রাকের আক্রমণে গুটি ঝরা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় ফলন কম হয়েছে বলে বাগানচাষিরা জানান। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
গত সপ্তাহে ফকিরহাট উপজেলার সুপারির পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় সুপারির সরবরাহ কম। গ্রামীণ চাষিরা থলে ও বস্তায় সুপারি নিয়ে এলেও দামের ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট নন কৃষক। পাইকারি আড়তদার ইসলাম শেখ জানান, পাকা সুপারির তিন গ্রেড করে তাঁরা ক্রয় করেন। এর মধ্যে প্রতি কুড়ি (২২ ঘা বা ২৬৪ পিস) বড় আকারের সুপারি ৭৫০, মাঝারি আকারের সুপারি ৫২০ এবং চাপিল বা চিকন সুপারি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে থাকেন। এ ছাড়া কাঁচা সুপারি প্রতি কুড়ি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।
আরেক পাইকারি আড়তদার আব্দুল কুদ্দুস জানান, চলতি মৌসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় সুপারিতে এক ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে এবং ছোট আকারের চাপিল সুপারি বেশি হয়েছে। ফলে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি জানান, ফকিরহাটের সুপারি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এ বছর মানসম্মত ও পর্যাপ্ত সুপারি না থাকায় তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়বেন।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছরুল মিল্লাত বলেন, ‘সুপারির চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভজনক হওয়ায় চাষিরা মিশ্র ফল বাগানের দিকে ঝুঁকছেন। সুপারি বছরে একবার ফলন হয়, কোনো বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন কম হলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু মিশ্র ফলবাগানে তাঁরা সারা বছর উৎপাদন করতে পারেন। ফলে উপজেলায় সুপারি চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪