Ajker Patrika

শেষ সময়ে বাণিজ্য মেলায় ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৩৪
Thumbnail image

পূর্বাচলে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় শেষ সময়ে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ঢল নেমেছে। প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। আর হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও খাবারের দোকানে ভিড় আরও বেশি। অনেকে সারি ধরে খাবার সংগ্রহ করে দাঁড়িয়ে খাবার খেয়েছেন। এ ছাড়া বাচ্চাদের দোলনাসহ পুরো মেলা প্রাঙ্গণ মানুষের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে।

গতকাল সকালের দিকে মেলায় দর্শক ও ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসমাগমও বাড়তে থাকে। দুপুরের পরে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে শুরু করে। টিকিট কাউন্টার ও প্রবেশপথে মানুষের লম্বা সারি দেখা গেছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের অনেকে বিআরটিসি বাসের টিকিট কাউন্টারে সারি ধরে টিকিট সংগ্রহ করেন এবং সারি ধরেই বাসে ওঠেন।

মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারে রাজধানীর বাইরে প্রথমবারের মতো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলা শুরুর দিকে লোকসমাগম কম ছিল। তবে গত শুক্র ও শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় মানুষের ঢল নেমেছিল। মেলায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন।’

রাজধানীর মুগদা থেকে মেলায় আসা কলেজ শিক্ষার্থী তামান্না-ই জান্নাতের সঙ্গে টেস্টি ট্রিটের দোকানে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘করোনা বৃদ্ধির ফলে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যেকোনো সময় মেলা বন্ধ হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে তড়িঘড়ি করে মেলায় এসেছি। এখানে অন্য রকম একটা আনন্দ লাগছে।’

আরেক দর্শনার্থী ময়নুল কবির বলেন, ‘পরিবারের তিন সদস্যকে নিয়ে মেলায় এসেছি। প্লাস্টিক পণ্য, প্রসাধনী সামগ্রী, ক্রোকারিজ, ইলেকট্রিক পণ্য, মোবাইল ও প্রযুক্তিপণ্য, জুতা, খেলনা ও খাবারের দোকানে বেশ ভিড়।’

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকার রিক্তা বেগম বলেন, ‘আমার এক আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছি। শুধু একটা বাচ্চার খেলনা কিনেছেন ৩০০ টাকায়। এখানে কেনাকাটা বড় কথা নয়, আনন্দটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

আরএফএল প্লাস্টিক পণ্যের বিক্রয়কর্মী আতিক জানান, ছুটির দুই দিন তুলনামূলক বেশি বেচাকেনা হয়। কারণ, অনেকে মেলায় ঘুরতে আসেন।

টেস্টি ট্রিটের বিক্রয়কর্মী সহিদ বলেন, ‘আমরা মেলায় পণ্যে মূল্যছাড় দিয়েছি। মেলায় গ্রাহক এত বেশি যে আমরা সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছি। দোকানের বাইরে অনেকে দাঁড়িয়ে খাবার খাচ্ছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত