রাসেল আহমেদ, তেরখাদা
তেরখাদা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ঘের মালিকেরা চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিংড়ির ঘেরে বিষ প্রয়োগ, লুটসহ নানা কারণে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন ঘের মালিকেরা। এ রকম চলতে থাকলে এ উপজেলার চিংড়ি খাত অচিরেই বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন চিংড়িচাষিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিংড়িতে অধিক মুনাফা অর্জিত হওয়ায় এক সময় এ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের দিনমজুর থেকে শুরু করে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ঘের কেটে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। যাঁদের জমি নেই তাঁরা অন্যের জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে পুঁজি বিনিয়োগ করতে থাকেন। স্বাবলম্বী হতে শুরু করেন দিনমজুর পরিবারের সদস্যরা। তবে বর্তমানে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা ঘেরে বিশ দেওয়া এবং চিংড়ি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় চিংড়ি চাষিরা এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছেন।
আরও জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে এ এলাকায় চিংড়ি ও সাদা মাছ চাষের পাশাপাশি ইরি ও বোরো ধানের চাষ করা হয়। উৎপাদিত মাছ ও ধান থেকে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে অর্থোপার্জন করেন কৃষকেরা। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। ২০২১ সালের বন্যায় উপজেলার অনেক ঘের পানিতে ভেসে যায়। এতে ঘের মালিকদের প্রচুর পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
স্থানীয় ঘের মালিকেরা জানান, চিংড়ি চাষ শুরু হওয়ার প্রথম দিকে কোনো প্রকার ক্ষতি ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মাছ চাষ করেছেন তাঁরা। প্রতি মৌসুমেই প্রচুর পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতেন ঘেরমালিকেরা। তখন চিংড়ি ঘেরে কোনো নৈশপ্রহরীকে পাহারা দেওয়া লাগত না। কিন্তু, কিছুদিনের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটে। তাঁরা রাতের আঁধারে চিংড়ি ঘেরে গিয়ে ঘেরের পানিতে এক প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করে সব চিংড়ি লুট করে নিয়ে যান। আবার অনেকে ঈর্ষাপরায়ন হয়ে অন্যের ঘেরে কীটনাশক দিয়ে রেণুপোনাসহ লাখ লাখ টাকার চিংড়ি ধ্বংস করে দেন। এভাবে প্রতি বছরই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চিংড়ি চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে অসংখ্য ঘেরমালিক চিংড়ি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
উপজেলার বলর্দ্ধনা এলাকার জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘কিছুদিন আগে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে আমার ঘেরে বিষ দিয়ে সব চিংড়ি চুরি করে নিয়ে যান।’ একই এলাকার রথিন বিশ্বাস, ত্রিনাথ বিশ্বাসসহ কয়েকজন চিংড়ি চাষি বলেন, ‘চিংড়ি চাষের যোগ্য করে তুলতে আমরা আমাদের ঘেরে লাখ লাখ টাকা খরচ করেছি। চিংড়ির রেণুপোনা কেনা ও খাবার দিয়ে বড় করে তুলতেও অনেক টাকা খরচ হয়েছে। কিছুদিন আগে দুর্বৃত্তরা আমাদের ঘেরে বিষ দিয়ে সব চিংড়ি মেরে ফেলে আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছেন’ তাঁরা আরও বলেন, ‘ঘের থেকে চিংড়ি চুরি, ঘেরে বিষ দিয়ে চিংড়ি মেরে ফেলাসহ নানা কারণে কারণে লাভ তো দুরে থাক আসল টাকা-ই ঘরে তুলতে পারছেন না অনেকে। অনেকে জমি বন্ধক দিয়ে, এমনকি জমি বিক্রি করে মহাজনের দেনা পরিশোধ করেছেন। এসব কারণে বর্তমানে চাষিরা চিংড়ির পরিবর্তে সাদা মাছের পোনা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, তেরখাদায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ৭ হাজারের মতো চিংড়ি ঘের ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সাড়ে ৪ হাজার চিংড়ি ঘেরে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। আড়াই হাজার ঘেরে চিংড়ির পরিবর্তে সাদা মাছ চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া অসংখ্য ঘের পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দিপংকর পাল বলেন, ‘যাঁরা চিংড়ি চাষ করেন তাঁদেরকে আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। প্রায়ই ঘেরে বিষ প্রয়োগ ও চুরি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তেরখাদা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ঘের মালিকেরা চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিংড়ির ঘেরে বিষ প্রয়োগ, লুটসহ নানা কারণে চিংড়ি চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন ঘের মালিকেরা। এ রকম চলতে থাকলে এ উপজেলার চিংড়ি খাত অচিরেই বড় ধরনের হুমকির মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন চিংড়িচাষিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চিংড়িতে অধিক মুনাফা অর্জিত হওয়ায় এক সময় এ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের দিনমজুর থেকে শুরু করে ধনাঢ্য ব্যক্তিরা ঘের কেটে চিংড়ি চাষ শুরু করেন। যাঁদের জমি নেই তাঁরা অন্যের জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে পুঁজি বিনিয়োগ করতে থাকেন। স্বাবলম্বী হতে শুরু করেন দিনমজুর পরিবারের সদস্যরা। তবে বর্তমানে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা ঘেরে বিশ দেওয়া এবং চিংড়ি চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় চিংড়ি চাষিরা এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছেন।
আরও জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে এ এলাকায় চিংড়ি ও সাদা মাছ চাষের পাশাপাশি ইরি ও বোরো ধানের চাষ করা হয়। উৎপাদিত মাছ ও ধান থেকে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রি করে অর্থোপার্জন করেন কৃষকেরা। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। ২০২১ সালের বন্যায় উপজেলার অনেক ঘের পানিতে ভেসে যায়। এতে ঘের মালিকদের প্রচুর পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতি হয়।
স্থানীয় ঘের মালিকেরা জানান, চিংড়ি চাষ শুরু হওয়ার প্রথম দিকে কোনো প্রকার ক্ষতি ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মাছ চাষ করেছেন তাঁরা। প্রতি মৌসুমেই প্রচুর পরিমাণ মুনাফা অর্জন করতেন ঘেরমালিকেরা। তখন চিংড়ি ঘেরে কোনো নৈশপ্রহরীকে পাহারা দেওয়া লাগত না। কিন্তু, কিছুদিনের মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটে। তাঁরা রাতের আঁধারে চিংড়ি ঘেরে গিয়ে ঘেরের পানিতে এক প্রকার কীটনাশক ব্যবহার করে সব চিংড়ি লুট করে নিয়ে যান। আবার অনেকে ঈর্ষাপরায়ন হয়ে অন্যের ঘেরে কীটনাশক দিয়ে রেণুপোনাসহ লাখ লাখ টাকার চিংড়ি ধ্বংস করে দেন। এভাবে প্রতি বছরই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চিংড়ি চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে অসংখ্য ঘেরমালিক চিংড়ি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
উপজেলার বলর্দ্ধনা এলাকার জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘কিছুদিন আগে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে আমার ঘেরে বিষ দিয়ে সব চিংড়ি চুরি করে নিয়ে যান।’ একই এলাকার রথিন বিশ্বাস, ত্রিনাথ বিশ্বাসসহ কয়েকজন চিংড়ি চাষি বলেন, ‘চিংড়ি চাষের যোগ্য করে তুলতে আমরা আমাদের ঘেরে লাখ লাখ টাকা খরচ করেছি। চিংড়ির রেণুপোনা কেনা ও খাবার দিয়ে বড় করে তুলতেও অনেক টাকা খরচ হয়েছে। কিছুদিন আগে দুর্বৃত্তরা আমাদের ঘেরে বিষ দিয়ে সব চিংড়ি মেরে ফেলে আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছেন’ তাঁরা আরও বলেন, ‘ঘের থেকে চিংড়ি চুরি, ঘেরে বিষ দিয়ে চিংড়ি মেরে ফেলাসহ নানা কারণে কারণে লাভ তো দুরে থাক আসল টাকা-ই ঘরে তুলতে পারছেন না অনেকে। অনেকে জমি বন্ধক দিয়ে, এমনকি জমি বিক্রি করে মহাজনের দেনা পরিশোধ করেছেন। এসব কারণে বর্তমানে চাষিরা চিংড়ির পরিবর্তে সাদা মাছের পোনা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, তেরখাদায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ৭ হাজারের মতো চিংড়ি ঘের ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সাড়ে ৪ হাজার চিংড়ি ঘেরে চিংড়ি চাষ হচ্ছে। আড়াই হাজার ঘেরে চিংড়ির পরিবর্তে সাদা মাছ চাষ হচ্ছে। এ ছাড়া অসংখ্য ঘের পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।
উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দিপংকর পাল বলেন, ‘যাঁরা চিংড়ি চাষ করেন তাঁদেরকে আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। প্রায়ই ঘেরে বিষ প্রয়োগ ও চুরি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪