Ajker Patrika

চিকিৎসক নেই একজনও

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১০: ৫২
চিকিৎসক নেই একজনও

মির্জাগঞ্জ উপজেলায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নামে আছে কাজে নেই। মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ২টি চিকিৎসক পদসহ রয়েছে মোট ১০টি পদ। একজন করে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক, নৈশ প্রহরী, আয়া ও নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে চলছে এই কেন্দ্র। একজন চিকিৎসককেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এমনটিই দেখা যায় উপজেলার দেউলি সুবিদখালী ইউনিয়নের রানীপুর গ্রামে নির্মিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে। অথচ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের জন্য করা হয়েছে নতুন ভবন। কেনা হয়েছে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র। আছে চিকিৎসকদের জন্য আবাসিক ভবন। নেই শুধু চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। ফলে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে অপারেশন কার্যক্রম। একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক দিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কেন্দ্রটি।

জানা যায়, উপজেলার একমাত্র মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট। ৩ বছর আগে এ কেন্দ্রটির অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কেন্দ্রের জন্য জনবল নিয়োগ না দেওয়া হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গ্রামাঞ্চলের মানুষের মাঝে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে এ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ৫–৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ কেন্দ্রটি। এতে জরুরি ভিত্তিতে রোগীদের ভর্তি করানোও কঠিন। শিগগিরই চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু করার জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।

কেন্দ্রে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক শিরীন আক্তার জানান, জনবল নিয়োগ দিয়ে কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা দরকার। আপাতত এখানে গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক অবস্থায় বাচ্চা প্রসব করানো কার্যক্রম চালু রয়েছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, জনবল সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের উপপরিচালক জসিম উদ্দিন মুকুল বলেন, ‘সারা দেশে এ রকম শতাধিক মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এসব কেন্দ্রের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো জনবল নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত