শাহরিয়ার ফিরোজ, ঢাকা
টপ অর্ডার ব্যর্থ, মিডল অর্ডারও। মাহমুদউল্লাহর কল্যাণে দু-একটা ম্যাচে লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখালেও এই বিশ্বকাপে ব্যাটাররা পুরোপুরি ব্যর্থ বলা থেকে বিরত রাখার জন্য সেটা যথেষ্ট নয়। বোলাররাও কি খুব ভালো করেছেন! তুলনামূলকভাবে হয়তো কিছুটা ভালো করেছেন, কিন্তু কোনো একটা অঙ্গ যখন কাজ না করে, তখন সেটার প্রভাব পুরো শরীরের কর্মক্ষমতার ওপর পড়তে বাধ্য। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থাও হয়েছে ঠিক তাই—ব্যাটিং হয় না, বোলাররাও পারেন না। ফিল্ডিং? সেখানেও উন্নতির বিস্তর সুযোগ! আপাতদৃষ্টে ক্রিকেটারদের ‘না পারা’টাই দলের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ। আরও একটু পিছিয়ে গেলে উঠে আসবে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের আগে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের গুরুত্ব না দেওয়া এবং শেষ মুহূর্তে বিতর্কিতভাবে অভিজ্ঞ তামিম ইকবালকে দলে না রাখা। ভুল প্রক্রিয়ায় দল নির্বাচনের কথাও বলবেন কেউ কেউ। আবার কেউ দলের কোনো কিছুই ঠিক ছিল না বলে ‘তামিম-বিতর্ক’ও টেনে আনবেন।
সব ঠিক আছে, কারণ হিসেবে দেখালে কোনোটাই অযৌক্তিক নয়। কিন্তু এই সব কারণ এক অর্থে তাৎক্ষণিক! ব্যর্থতার আসল কারণটা তো অন্যখানে।
একটা উদাহরণ হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকেই টেনে আনা যায়। দুই মৌসুম ধরে এই ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দুই রান সংগ্রাহক এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অথচ তাঁরা বিশ্বকাপ দলে নেই। তাঁদের না থাকার কারণটা কারও অজানা নয়—ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফুলঝুরি ছোটালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁদের ব্যাটে রানের দেখা মেলে না! সবশেষ গত এশিয়া কাপেই সুযোগ পেলেও দুজনের কেউই রান পাননি। নাঈম শেখ চার ম্যাচে করেছেন ৮৫। এক ম্যাচে এনামুল হকের রান ৪। আর বিশ্বমানের বোলারদের বিরুদ্ধে উইকেটে তাঁদের দুর্বল ফুটওয়াক, আড়ষ্টতা দেখে মনে হয়েছে—চকচক করলেই যেমন সোনা হয় না, ঘরোয়া ক্রিকেটে রানবন্যা বইয়ে দিলেও বিশ্বমানের ব্যাটার হওয়া যায় না!
ঘরোয়া ক্রিকেট—শব্দ দুটোর আগে বাংলাদেশের নাম নেওয়াটা অতি আবশ্যক। সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারের দেশ অস্ট্রেলিয়া কিংবা পাশের দেশ ভারত—দুই দেশেরই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেই উঠে আসেন ক্রিকেটাররা। যাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেন, জাতীয় দলের জার্সিতেও তাঁরাই পারফর্মার। কিন্তু আমাদের এখানে ব্যাপারটা উল্টো। শুধু ঢাকা লিগই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ, জাতীয় ক্রিকেট লিগ—প্রতিটি প্রতিযোগিতার মানই প্রশ্নবিদ্ধ। এসব প্রতিযোগিতার জন্য নেই বিশ্বমানের উইকেটও। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছোটালেও এনামুল-নাঈমরা আস্থা অর্জন করতে পারেন না নির্বাচকদের। দেশের ক্রিকেটের কাঠামোটাই এমন—জাতীয় দলে আসার মতো খেলোয়াড়ই তৈরি করতে পারে না! ভালো খেলোয়াড় তৈরি হওয়ার রাস্তাটাই যখন এবড়োখেবড়ো, কীভাবে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে ভালো করবে!
এক বিশ্বকাপ শেষে আমরা ছবি আঁকি পরের বিশ্বকাপের। কোচ বদল হয়, অধিনায়কও। যোগ-বিয়োগ হয় খেলোয়াড়েরও। কিন্তু পরিবর্তন যেখানে দরকার, সেখানে নতুন করে শুরুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি না আমরা। অন্তত যাঁদের অনুভব করা দরকার, হয়তো তাঁরাও অনুভব করেন, কিন্তু কিছুই করেন না!
তবু পরিবর্তনের ডাক আসে। ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তায় তাগিদ আসে বদলের। টানা ছয় ম্যাচ হারের পর বদলেরও ডাক দিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং দুই সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ রফিক।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম
মাঠের খেলায় ভালো করতে হলে ভালো খেলতে হবে। ভালো খেলার জন্য চাই ভালো ক্রিকেটার। ক্রিকেটার তৈরির প্রক্রিয়াটা কি ঠিক আছে আমাদের! আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোটা এমন, এখানে ক্রিকেটারদের খুব একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে করণীয় সবকিছুই করতে হবে। ভালো খেলোয়াড় উঠে আসা নিশ্চিত করতে হবে।
খালেদ মাসুদ পাইলট
না দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া, না বিশ্বকাপের দল—কোনো কিছুই ভালো ছিল না আমাদের। তার ওপর একযোগে সব খেলোয়াড়ের বাজে ফর্ম। এসবেরই ফসল—সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। তবে বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে ভালো কিছু করতে চাইলে অনেক কিছুই বদলাতে হবে আমাদের। পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। শূন্য থেকে শুরুর মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে। সেটা মাঠে এবং মাঠের বাইরেও।
মোহাম্মদ রফিক
যখন সবকিছু ঠিকঠাকমতো হচ্ছে না, তখন বুঝে নিতে হবে, গোড়ায় গলদ আছে। দিনকে দিন এগোবে কী, উল্টো পেছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এই গোড়ায় গলদ যত দিন না আপনি দূর করতে পারছেন, তত দিন কোনো কিছুই ঠিক হবে না। একেকটা বিশ্বকাপ আসবে, আর এমনই করবে বাংলাদেশ দল—যদি না আপনি অনেক কিছুই পরিবর্তন আনতে পারছেন।
টপ অর্ডার ব্যর্থ, মিডল অর্ডারও। মাহমুদউল্লাহর কল্যাণে দু-একটা ম্যাচে লোয়ার অর্ডার ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখালেও এই বিশ্বকাপে ব্যাটাররা পুরোপুরি ব্যর্থ বলা থেকে বিরত রাখার জন্য সেটা যথেষ্ট নয়। বোলাররাও কি খুব ভালো করেছেন! তুলনামূলকভাবে হয়তো কিছুটা ভালো করেছেন, কিন্তু কোনো একটা অঙ্গ যখন কাজ না করে, তখন সেটার প্রভাব পুরো শরীরের কর্মক্ষমতার ওপর পড়তে বাধ্য। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থাও হয়েছে ঠিক তাই—ব্যাটিং হয় না, বোলাররাও পারেন না। ফিল্ডিং? সেখানেও উন্নতির বিস্তর সুযোগ! আপাতদৃষ্টে ক্রিকেটারদের ‘না পারা’টাই দলের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার কারণ। আরও একটু পিছিয়ে গেলে উঠে আসবে বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের আগে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের গুরুত্ব না দেওয়া এবং শেষ মুহূর্তে বিতর্কিতভাবে অভিজ্ঞ তামিম ইকবালকে দলে না রাখা। ভুল প্রক্রিয়ায় দল নির্বাচনের কথাও বলবেন কেউ কেউ। আবার কেউ দলের কোনো কিছুই ঠিক ছিল না বলে ‘তামিম-বিতর্ক’ও টেনে আনবেন।
সব ঠিক আছে, কারণ হিসেবে দেখালে কোনোটাই অযৌক্তিক নয়। কিন্তু এই সব কারণ এক অর্থে তাৎক্ষণিক! ব্যর্থতার আসল কারণটা তো অন্যখানে।
একটা উদাহরণ হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকেই টেনে আনা যায়। দুই মৌসুম ধরে এই ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দুই রান সংগ্রাহক এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অথচ তাঁরা বিশ্বকাপ দলে নেই। তাঁদের না থাকার কারণটা কারও অজানা নয়—ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফুলঝুরি ছোটালেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁদের ব্যাটে রানের দেখা মেলে না! সবশেষ গত এশিয়া কাপেই সুযোগ পেলেও দুজনের কেউই রান পাননি। নাঈম শেখ চার ম্যাচে করেছেন ৮৫। এক ম্যাচে এনামুল হকের রান ৪। আর বিশ্বমানের বোলারদের বিরুদ্ধে উইকেটে তাঁদের দুর্বল ফুটওয়াক, আড়ষ্টতা দেখে মনে হয়েছে—চকচক করলেই যেমন সোনা হয় না, ঘরোয়া ক্রিকেটে রানবন্যা বইয়ে দিলেও বিশ্বমানের ব্যাটার হওয়া যায় না!
ঘরোয়া ক্রিকেট—শব্দ দুটোর আগে বাংলাদেশের নাম নেওয়াটা অতি আবশ্যক। সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারের দেশ অস্ট্রেলিয়া কিংবা পাশের দেশ ভারত—দুই দেশেরই ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেই উঠে আসেন ক্রিকেটাররা। যাঁরা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেন, জাতীয় দলের জার্সিতেও তাঁরাই পারফর্মার। কিন্তু আমাদের এখানে ব্যাপারটা উল্টো। শুধু ঢাকা লিগই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ, জাতীয় ক্রিকেট লিগ—প্রতিটি প্রতিযোগিতার মানই প্রশ্নবিদ্ধ। এসব প্রতিযোগিতার জন্য নেই বিশ্বমানের উইকেটও। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফোয়ারা ছোটালেও এনামুল-নাঈমরা আস্থা অর্জন করতে পারেন না নির্বাচকদের। দেশের ক্রিকেটের কাঠামোটাই এমন—জাতীয় দলে আসার মতো খেলোয়াড়ই তৈরি করতে পারে না! ভালো খেলোয়াড় তৈরি হওয়ার রাস্তাটাই যখন এবড়োখেবড়ো, কীভাবে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে ভালো করবে!
এক বিশ্বকাপ শেষে আমরা ছবি আঁকি পরের বিশ্বকাপের। কোচ বদল হয়, অধিনায়কও। যোগ-বিয়োগ হয় খেলোয়াড়েরও। কিন্তু পরিবর্তন যেখানে দরকার, সেখানে নতুন করে শুরুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি না আমরা। অন্তত যাঁদের অনুভব করা দরকার, হয়তো তাঁরাও অনুভব করেন, কিন্তু কিছুই করেন না!
তবু পরিবর্তনের ডাক আসে। ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তায় তাগিদ আসে বদলের। টানা ছয় ম্যাচ হারের পর বদলেরও ডাক দিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং দুই সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট ও মোহাম্মদ রফিক।
নাজমুল আবেদীন ফাহিম
মাঠের খেলায় ভালো করতে হলে ভালো খেলতে হবে। ভালো খেলার জন্য চাই ভালো ক্রিকেটার। ক্রিকেটার তৈরির প্রক্রিয়াটা কি ঠিক আছে আমাদের! আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোটা এমন, এখানে ক্রিকেটারদের খুব একটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তারা ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনে করণীয় সবকিছুই করতে হবে। ভালো খেলোয়াড় উঠে আসা নিশ্চিত করতে হবে।
খালেদ মাসুদ পাইলট
না দল নির্বাচনের প্রক্রিয়া, না বিশ্বকাপের দল—কোনো কিছুই ভালো ছিল না আমাদের। তার ওপর একযোগে সব খেলোয়াড়ের বাজে ফর্ম। এসবেরই ফসল—সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। তবে বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে ভালো কিছু করতে চাইলে অনেক কিছুই বদলাতে হবে আমাদের। পরিকল্পনা করে এগোতে হবে। শূন্য থেকে শুরুর মানসিকতা নিয়ে এগোতে হবে। সেটা মাঠে এবং মাঠের বাইরেও।
মোহাম্মদ রফিক
যখন সবকিছু ঠিকঠাকমতো হচ্ছে না, তখন বুঝে নিতে হবে, গোড়ায় গলদ আছে। দিনকে দিন এগোবে কী, উল্টো পেছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এই গোড়ায় গলদ যত দিন না আপনি দূর করতে পারছেন, তত দিন কোনো কিছুই ঠিক হবে না। একেকটা বিশ্বকাপ আসবে, আর এমনই করবে বাংলাদেশ দল—যদি না আপনি অনেক কিছুই পরিবর্তন আনতে পারছেন।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫