রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে পুরোদমে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজে ব্যবহার হওয়া বিকল যন্ত্রগুলো ঠিক করে গতকাল শনিবার থেকে সবগুলো দিয়ে রোগীদের ডায়ালাইসিস শুরু হয়। এতে সেবাপ্রত্যাশীদের শঙ্কা দূর হয়েছে।
ডায়ালাইসিসের ১৮টি যন্ত্রের মধ্যে সাময়িকভাবে ১৩টি বিকল হয়ে পড়লে কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তবে দুই দিনের মাথায় টেকনিশিয়ানদের নৈপুণ্যে যন্ত্রগুলো সচল করা সম্ভব হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে ডায়ালাইসিস চলা অবস্থায় ১৩টি যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে। এতে করে সচল থাকা বাকি পাঁচটি যন্ত্র দিয়ে সেবা কার্যক্রম চলে। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীরা দুর্ভোগে পড়েন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ডায়ালাইসিস যন্ত্রে বিশেষ পানির সঙ্গে রাসায়নিক ফ্লুইডের মিশ্রণে ত্রুটি হওয়ায় সাময়িকভাবে যন্ত্রগুলো বিকল হয়ে পড়েছিল। পরে দুই দিনে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রগুলো সচল করে তোলেন টেকনিশিয়ানরা। গতকাল থেকে সবগুলো যন্ত্র দিয়ে সেবা কার্যক্রম শুরু হয়।
গতকাল হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় সেবা নেওয়া এক রোগীর স্বজন আলতাফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে রোগীকে ডায়ালাইসিসের জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। পরে দুপুরে হঠাৎ করে জানতে পারি যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তাই ডায়ালাইসিস শুরু করতে দেরি হবে। সবাই খুব টেনশনে ছিলাম। শনিবার ডায়ালাইসিস করতে পারায় দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছি।’
নেফ্রোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে সরকারিভাবে একমাত্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস করানো হয়। এ কারণে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ সব সময় বেশি থাকে। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন নির্ধারিত প্যাকেজ নেওয়া কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস করা হয়।
প্রতিদিন প্রতিটি যন্ত্রে দুই থেকে তিনজন রোগীর ডায়ালাইসিস হয়ে থাকে। একজন রোগীর সপ্তাহে দুই দিন করে ডায়ালাইসিস হয়। প্রতি ডায়ালাইসিসে খরচ হয় ৪০০ টাকা। কিন্তু বাইরে ডায়ালাইসিস করাতে গেলে ৩ হাজার টাকার বেশি লাগছে। এ ছাড়া প্রতিদিন সেবাপ্রত্যাশী আরও ১০ থেকে ১৫ জন সাধারণ রোগী সিরিয়ালে থাকেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নেফ্রোলজি বিভাগে আগে ডায়ালাইসিস যন্ত্র ছিল ৩০টি, এখন তা ১৮টিতে দাঁড়িয়েছে। বাকিগুলো বিকল হয়ে পড়ে আছে। ২০১০ সালে কিডনি রোগীদের জন্য ১০টি ডায়ালাইসিস যন্ত্র স্থাপন করা হয়। বাকি আটটি ২০১৬ সালের। এসব যন্ত্রের ওয়ারেন্টির সময়সীমা তিন বছর আগেই পেরিয়ে গেছে। এখন কোনো সমস্যা দেখা দিলে মেরামত করে রোগীদের ডায়ালাইসিস করা হয়।
নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান মোবাশ্বের হোসেন বলেন, আপাতত যান্ত্রিক ত্রুটি দূর হয়েছে। শনিবার থেকে পুরোদমে কাজ চলেছে। বিভাগের চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, স্থানীয় টেকনিশিয়ানদের চেষ্টায় ডায়ালাইসিস যন্ত্রগুলো সচল করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা থেকে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান আনা হবে। তাঁরা এসে এসব যন্ত্র আবার দেখবেন।
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগে পুরোদমে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজে ব্যবহার হওয়া বিকল যন্ত্রগুলো ঠিক করে গতকাল শনিবার থেকে সবগুলো দিয়ে রোগীদের ডায়ালাইসিস শুরু হয়। এতে সেবাপ্রত্যাশীদের শঙ্কা দূর হয়েছে।
ডায়ালাইসিসের ১৮টি যন্ত্রের মধ্যে সাময়িকভাবে ১৩টি বিকল হয়ে পড়লে কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। তবে দুই দিনের মাথায় টেকনিশিয়ানদের নৈপুণ্যে যন্ত্রগুলো সচল করা সম্ভব হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ করে ডায়ালাইসিস চলা অবস্থায় ১৩টি যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে। এতে করে সচল থাকা বাকি পাঁচটি যন্ত্র দিয়ে সেবা কার্যক্রম চলে। ফলে সেবা নিতে আসা রোগীরা দুর্ভোগে পড়েন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ডায়ালাইসিস যন্ত্রে বিশেষ পানির সঙ্গে রাসায়নিক ফ্লুইডের মিশ্রণে ত্রুটি হওয়ায় সাময়িকভাবে যন্ত্রগুলো বিকল হয়ে পড়েছিল। পরে দুই দিনে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রগুলো সচল করে তোলেন টেকনিশিয়ানরা। গতকাল থেকে সবগুলো যন্ত্র দিয়ে সেবা কার্যক্রম শুরু হয়।
গতকাল হাসপাতালে গিয়ে কথা হয় সেবা নেওয়া এক রোগীর স্বজন আলতাফ হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে রোগীকে ডায়ালাইসিসের জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলাম। পরে দুপুরে হঠাৎ করে জানতে পারি যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তাই ডায়ালাইসিস শুরু করতে দেরি হবে। সবাই খুব টেনশনে ছিলাম। শনিবার ডায়ালাইসিস করতে পারায় দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছি।’
নেফ্রোলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে সরকারিভাবে একমাত্র রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস করানো হয়। এ কারণে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ সব সময় বেশি থাকে। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন নির্ধারিত প্যাকেজ নেওয়া কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিস করা হয়।
প্রতিদিন প্রতিটি যন্ত্রে দুই থেকে তিনজন রোগীর ডায়ালাইসিস হয়ে থাকে। একজন রোগীর সপ্তাহে দুই দিন করে ডায়ালাইসিস হয়। প্রতি ডায়ালাইসিসে খরচ হয় ৪০০ টাকা। কিন্তু বাইরে ডায়ালাইসিস করাতে গেলে ৩ হাজার টাকার বেশি লাগছে। এ ছাড়া প্রতিদিন সেবাপ্রত্যাশী আরও ১০ থেকে ১৫ জন সাধারণ রোগী সিরিয়ালে থাকেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নেফ্রোলজি বিভাগে আগে ডায়ালাইসিস যন্ত্র ছিল ৩০টি, এখন তা ১৮টিতে দাঁড়িয়েছে। বাকিগুলো বিকল হয়ে পড়ে আছে। ২০১০ সালে কিডনি রোগীদের জন্য ১০টি ডায়ালাইসিস যন্ত্র স্থাপন করা হয়। বাকি আটটি ২০১৬ সালের। এসব যন্ত্রের ওয়ারেন্টির সময়সীমা তিন বছর আগেই পেরিয়ে গেছে। এখন কোনো সমস্যা দেখা দিলে মেরামত করে রোগীদের ডায়ালাইসিস করা হয়।
নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান মোবাশ্বের হোসেন বলেন, আপাতত যান্ত্রিক ত্রুটি দূর হয়েছে। শনিবার থেকে পুরোদমে কাজ চলেছে। বিভাগের চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, স্থানীয় টেকনিশিয়ানদের চেষ্টায় ডায়ালাইসিস যন্ত্রগুলো সচল করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকা থেকে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান আনা হবে। তাঁরা এসে এসব যন্ত্র আবার দেখবেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪