আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গত নভেম্বর থেকে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা সমাবেশ করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছ থেকে নিজেদের নিরাপত্তার লিখিত নিশ্চয়তার জন্য দেশটি ওই কৌশল গ্রহণ করে। জবাবে মস্কোর মূল উদ্বেগকে আমলে না নিয়ে, রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের চাপ দিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। ফলে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বা আক্রমণকে প্ররোচিত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে।
বিশ্লেষণে বলা হয়, ইউক্রেন আক্রান্ত হলে মস্কোর ওপর ভয়াবহ রকমের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে কয়েক মাস ধরে টানা হুমকি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সম্প্রতি ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে, তা আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগে পাঠাননি। পূর্ব ইউরোপে বাড়ানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক শক্তি।
পুতিনকে ইউক্রেন আক্রমণ থেকে নিরস্ত করতেই এসব করা হচ্ছিল। কিন্তু এসব ভয় প্রদর্শন ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে পুতিনের ইউক্রেন অভিযান থামানো যায়নি। কারণ, রাশিয়ার নিরাপত্তা প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো-যুক্তরাষ্ট্রের অপ্রতুল সামরিক প্রস্তুতি এবং শুধু অর্থনৈতিক হুমকি দিয়ে তা সম্ভব ছিল না।
বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, বাইডেনের সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। এক. পুতিনের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া, যা ছিল সব পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক। দুই. রাশিয়ার সামরিক প্রস্তুতির বিপরীতে পাল্টা সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ। কিন্তু বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এটা ছিল প্রায় অসম্ভব।
আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে যেভাবে মাথা নিচু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে, তারপর ইউরোপে আরেকটি যুদ্ধ করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আত্মঘাতের সমান। এ ধরনের যুদ্ধের জন্য ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, তুরস্ককে রাজি করানোও বেশ কঠিন হতো। কারণ, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়া মানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, যা কারও কাম্য নয়।
তাই অন্য সব সহায়তা করলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ন্যাটো, জার্মানিসহ কিয়েভের মিত্ররা রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যাবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি নেই। এ অবস্থায় টানা উপেক্ষিত রাশিয়া পশ্চিমাদের মনোভাব বুঝে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে।
এরই আগাম ইঙ্গিত হিসেবে গত সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের স্বঘোষিত গণপ্রজাতন্ত্রী ডনেটস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। প্রতিক্রিয়ায় গতকাল পর্যন্ত দেশটির ওপর নানা ধরনের অর্থনৈতিক, সামরিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। গতকাল ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর তা আরও বাড়বে সন্দেহ নেই।
এসব নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপে পড়বে সন্দেহ নেই। তবে যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, তাদেরও বড় ধরনের চাপে পড়তে হবে। বিশেষত, রাশিয়ার জ্বালানিনির্ভর ইউরোপকে এর নগদ মূল্য দিতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জ্বালানির বাজারে অস্থিতিশীলতা ক্রমশ বাড়বে। তবে এসব পুতিনকে নিজের লক্ষ্য অর্জনে টলাতে পারবে না বলে মনে হচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের অনুগত ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের যদি পতন হয়, কিয়েভে ঢোকে পড়ে রাশিয়া—তখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কী করবে, সেটা দেখার বিষয়। তবে ইতিমধ্যে পানি যতটুকু গড়িয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাইডেন যথেষ্ট নাজেহালের শিকার হচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে।
গত নভেম্বর থেকে ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা সমাবেশ করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর কাছ থেকে নিজেদের নিরাপত্তার লিখিত নিশ্চয়তার জন্য দেশটি ওই কৌশল গ্রহণ করে। জবাবে মস্কোর মূল উদ্বেগকে আমলে না নিয়ে, রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের চাপ দিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। ফলে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বা আক্রমণকে প্ররোচিত করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে।
বিশ্লেষণে বলা হয়, ইউক্রেন আক্রান্ত হলে মস্কোর ওপর ভয়াবহ রকমের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে বলে কয়েক মাস ধরে টানা হুমকি দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সম্প্রতি ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম পাঠিয়েছে, তা আর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগে পাঠাননি। পূর্ব ইউরোপে বাড়ানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সামরিক শক্তি।
পুতিনকে ইউক্রেন আক্রমণ থেকে নিরস্ত করতেই এসব করা হচ্ছিল। কিন্তু এসব ভয় প্রদর্শন ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়ে পুতিনের ইউক্রেন অভিযান থামানো যায়নি। কারণ, রাশিয়ার নিরাপত্তা প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো-যুক্তরাষ্ট্রের অপ্রতুল সামরিক প্রস্তুতি এবং শুধু অর্থনৈতিক হুমকি দিয়ে তা সম্ভব ছিল না।
বিশ্লেষণে আরও বলা হয়, বাইডেনের সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। এক. পুতিনের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া, যা ছিল সব পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক। দুই. রাশিয়ার সামরিক প্রস্তুতির বিপরীতে পাল্টা সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণ। কিন্তু বিভিন্ন কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে এটা ছিল প্রায় অসম্ভব।
আফগানিস্তান ও ইরাক থেকে যেভাবে মাথা নিচু করে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে, তারপর ইউরোপে আরেকটি যুদ্ধ করা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আত্মঘাতের সমান। এ ধরনের যুদ্ধের জন্য ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, তুরস্ককে রাজি করানোও বেশ কঠিন হতো। কারণ, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়া মানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া, যা কারও কাম্য নয়।
তাই অন্য সব সহায়তা করলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ন্যাটো, জার্মানিসহ কিয়েভের মিত্ররা রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যাবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি নেই। এ অবস্থায় টানা উপেক্ষিত রাশিয়া পশ্চিমাদের মনোভাব বুঝে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে।
এরই আগাম ইঙ্গিত হিসেবে গত সোমবার পূর্ব ইউক্রেনের স্বঘোষিত গণপ্রজাতন্ত্রী ডনেটস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। প্রতিক্রিয়ায় গতকাল পর্যন্ত দেশটির ওপর নানা ধরনের অর্থনৈতিক, সামরিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। গতকাল ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর তা আরও বাড়বে সন্দেহ নেই।
এসব নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপে পড়বে সন্দেহ নেই। তবে যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, তাদেরও বড় ধরনের চাপে পড়তে হবে। বিশেষত, রাশিয়ার জ্বালানিনির্ভর ইউরোপকে এর নগদ মূল্য দিতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক জ্বালানির বাজারে অস্থিতিশীলতা ক্রমশ বাড়বে। তবে এসব পুতিনকে নিজের লক্ষ্য অর্জনে টলাতে পারবে না বলে মনে হচ্ছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের অনুগত ইউক্রেনের বর্তমান সরকারের যদি পতন হয়, কিয়েভে ঢোকে পড়ে রাশিয়া—তখন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা কী করবে, সেটা দেখার বিষয়। তবে ইতিমধ্যে পানি যতটুকু গড়িয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাইডেন যথেষ্ট নাজেহালের শিকার হচ্ছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫