জয়পুরহাট প্রতিনিধি
‘সকাল ৯টায় এসেছি। আমার সামনে সারিতে দাঁড়ানো ৩০ থেকে ৪০ জন। আমার সিরিয়াল আসার আগেই বরাদ্দের চাল ও আটা বিক্রি শেষ। তাই চাল বা আটা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি।’ খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল-আটা না পেয়ে হতাশ মনে কথাগুলো বলছিলেন জয়পুরহাট শহরের ধানমন্ডি মহল্লার বাসিন্দা মহিদুল (৩৪)।
গতকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে তাঁর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।মহিদুলের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থেকেও চাল-আটা না পেয়ে হতাশ মনে ফিরে যান অনেকে।গতকাল জয়পুরহাট জেলা শহরে সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কয়েকটি ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
চাল-আটা কিনতে আসা ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারে মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা। তাই ৩০ টাকা কেজিতে ওএমএসের চাল কিনতে এসেছেন তাঁরা। সামান্য টাকা বাঁচাতে এই চাল কিনতে আসেন তাঁরা। জেলা সদরের পারুলিয়া এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (৭০) বলেন, ওএমএসের চাল কিনতে পারুলিয়া থেকে তিনি এসেছেন ভোরে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন। এখন আর দাঁড়তে পারছেন না। তাই বসে আছেন। কখন চাল পাবেন নাকি পাবেন না, তা তিনি জানেন না।
শান্তিনগরের বাসিন্দা আনোয়ারা (৬২) বলেন, ফজরের নামাজের পরপরই এসেছেন তিনি। তখন থেকেই দেখছেন, মানুষ ব্যাগ নিয়েই দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। বেলা ১১টাতেও সিরিয়াল পাননি। বাড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের রেখে এসেছেন। তারা এখনো অনাহারে আছে। চাল পেলে বাড়ি গিয়ে রান্না করে খাওয়াবেন তিনি।
জয়পুরহাট পৌরসভা রোডের ডিলার মাসুদ রানা পল্লব বলেন, বর্তমানে একজন ডিলার সর্বোচ্চ দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ পান, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। গতকাল বেলা আড়াইটার মধ্যেই তাঁর বরাদ্দ পাওয়া চাল ও আটা কিনেছেন ৪০০ জন। বাকিরা কিনতে পারেননি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ওএমএসর চাল বিক্রয়ে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাঁদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।
‘সকাল ৯টায় এসেছি। আমার সামনে সারিতে দাঁড়ানো ৩০ থেকে ৪০ জন। আমার সিরিয়াল আসার আগেই বরাদ্দের চাল ও আটা বিক্রি শেষ। তাই চাল বা আটা না নিয়েই ফিরে যাচ্ছি।’ খাদ্য অধিদপ্তরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল-আটা না পেয়ে হতাশ মনে কথাগুলো বলছিলেন জয়পুরহাট শহরের ধানমন্ডি মহল্লার বাসিন্দা মহিদুল (৩৪)।
গতকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে তাঁর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের।মহিদুলের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থেকেও চাল-আটা না পেয়ে হতাশ মনে ফিরে যান অনেকে।গতকাল জয়পুরহাট জেলা শহরে সকাল ৯টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত কয়েকটি ওএমএস বিক্রয়কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
চাল-আটা কিনতে আসা ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারে মোটা চালের কেজি ৫০ টাকা। তাই ৩০ টাকা কেজিতে ওএমএসের চাল কিনতে এসেছেন তাঁরা। সামান্য টাকা বাঁচাতে এই চাল কিনতে আসেন তাঁরা। জেলা সদরের পারুলিয়া এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (৭০) বলেন, ওএমএসের চাল কিনতে পারুলিয়া থেকে তিনি এসেছেন ভোরে। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন। এখন আর দাঁড়তে পারছেন না। তাই বসে আছেন। কখন চাল পাবেন নাকি পাবেন না, তা তিনি জানেন না।
শান্তিনগরের বাসিন্দা আনোয়ারা (৬২) বলেন, ফজরের নামাজের পরপরই এসেছেন তিনি। তখন থেকেই দেখছেন, মানুষ ব্যাগ নিয়েই দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। বেলা ১১টাতেও সিরিয়াল পাননি। বাড়িতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের রেখে এসেছেন। তারা এখনো অনাহারে আছে। চাল পেলে বাড়ি গিয়ে রান্না করে খাওয়াবেন তিনি।
জয়পুরহাট পৌরসভা রোডের ডিলার মাসুদ রানা পল্লব বলেন, বর্তমানে একজন ডিলার সর্বোচ্চ দেড় মেট্রিক টন চাল ও এক মেট্রিক টন আটা বরাদ্দ পান, যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। গতকাল বেলা আড়াইটার মধ্যেই তাঁর বরাদ্দ পাওয়া চাল ও আটা কিনেছেন ৪০০ জন। বাকিরা কিনতে পারেননি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ওএমএসর চাল বিক্রয়ে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাঁদের ডিলারশিপ বাতিল করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪