সম্পাদকীয়
গরিব ও দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আজকের পত্রিকার ১৮ এপ্রিল অনলাইন সংস্করণে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর লরেঞ্জ ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর সহযোগী, মেয়ের জামাই, কাছের লোকজনকে সরকারি চাল বিতরণ করেছেন। ফলে চালসংকটের কারণে প্রকৃত উপকারভোগীরা চাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে গেছেন। ওই ইউনিয়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ১০০ জনের জন্য ৫১ টন চাল। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ থেকে ৮ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
শুধু চাল বিতরণেই নয়, সরকারের পক্ষ থেকে থেকে দারিদ্র্য নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প, বিশেষ সম্প্রদায় বা পেশার জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজেই এমন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। বিধবা না হয়ে ভাতা উত্তোলন, ধনী হয়ে ভূমিহীনের জমি পাওয়া এবং প্রকৃত গৃহহীন মানুষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর না পাওয়াসহ নানা অভিযোগের খবর প্রতিনিয়ত পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব অভিযোগের তির থাকে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দিকে।
নিয়ম হলো, দুস্থদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ অনুদান দেওয়ার আগে তাদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। অনেক সময়ই জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তালিকা ধরে ধরে প্রত্যেক উপকারভোগীর তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাই কোনো জনপ্রতিনিধির দেওয়া তালিকায় বড় ধরনের অসংগতি পাওয়া না গেলে সেটি অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো প্রকৃত উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে নিজেদের কাছের লোকদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়। যেমনটা করেছেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর লরেঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তাঁরা জনগণের জন্য কাজ করবেন, এমনটাই হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে জনগণকে ঠকিয়ে এবং দুস্থদের বরাদ্দ করা চাল না দিয়ে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধির কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় কোনো কোনো জনপ্রতিনিধিদের। এ ধরনের জনপ্রতিনিধির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। এ কারণে সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে দুস্থদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে, তার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয় না। এসব অনিয়ম বন্ধে কার্যকর আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার খবরও চোখে পড়ে না। যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে অনিয়মকারীদের বিচারের আওতায় আনা হতো, তাহলে এ ধরনের দুর্নীতি কিছুটা কমত।
অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
গরিব ও দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি বরাদ্দের ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আজকের পত্রিকার ১৮ এপ্রিল অনলাইন সংস্করণে সংবাদটি প্রকাশিত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর লরেঞ্জ ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তাঁর সহযোগী, মেয়ের জামাই, কাছের লোকজনকে সরকারি চাল বিতরণ করেছেন। ফলে চালসংকটের কারণে প্রকৃত উপকারভোগীরা চাল না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে গেছেন। ওই ইউনিয়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ১০০ জনের জন্য ৫১ টন চাল। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ থেকে ৮ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
শুধু চাল বিতরণেই নয়, সরকারের পক্ষ থেকে থেকে দারিদ্র্য নিরসনে বিভিন্ন প্রকল্প, বিশেষ সম্প্রদায় বা পেশার জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করাসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজেই এমন দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। বিধবা না হয়ে ভাতা উত্তোলন, ধনী হয়ে ভূমিহীনের জমি পাওয়া এবং প্রকৃত গৃহহীন মানুষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর না পাওয়াসহ নানা অভিযোগের খবর প্রতিনিয়ত পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব অভিযোগের তির থাকে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের দিকে।
নিয়ম হলো, দুস্থদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের বরাদ্দ অনুদান দেওয়ার আগে তাদের তালিকা তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। অনেক সময়ই জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তালিকা ধরে ধরে প্রত্যেক উপকারভোগীর তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়ে ওঠে না প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তাই কোনো জনপ্রতিনিধির দেওয়া তালিকায় বড় ধরনের অসংগতি পাওয়া না গেলে সেটি অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো প্রকৃত উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণ না করে নিজেদের কাছের লোকদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়। যেমনটা করেছেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর লরেঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তাঁরা জনগণের জন্য কাজ করবেন, এমনটাই হওয়ার কথা। কিন্তু তা না করে জনগণকে ঠকিয়ে এবং দুস্থদের বরাদ্দ করা চাল না দিয়ে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধির কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় কোনো কোনো জনপ্রতিনিধিদের। এ ধরনের জনপ্রতিনিধির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। এ কারণে সরকার যে উদ্দেশ্য নিয়ে দুস্থদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে, তার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয় না। এসব অনিয়ম বন্ধে কার্যকর আইনি প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার খবরও চোখে পড়ে না। যদি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির মাধ্যমে অনিয়মকারীদের বিচারের আওতায় আনা হতো, তাহলে এ ধরনের দুর্নীতি কিছুটা কমত।
অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলা প্রশাসকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। যথাযথ তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪