Ajker Patrika

রমজানে ইবাদতে অবহেলার পরিণতি

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, ২১: ০০
Thumbnail image

রমজানের রোজার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া (খোদাভীতি) অর্জন। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমাদের মধ্যে তাকওয়া সৃষ্টি হয়।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩) সুতরাং পুরো রমজান অতিবাহিত করা সত্ত্বেও কারও মধ্যে যদি আল্লাহভীতি তথা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার যোগ্যতা সৃষ্টি না হয়, তাহলে রোজার সব কষ্টই বৃথা।

এ জন্য রাসুল (সা.) রমজান মাসে অধিক হারে ইবাদত ও ইস্তিগফার করা এবং পাপাচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ, এসব ছাড়া শুধু সারা দিন পানাহার ও স্ত্রী-সহবাস থেকে মুক্ত থাকলেই তাকওয়া অর্জিত হয়ে যায় না। এর জন্য ফরজের পাশাপাশি নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও দান-সদকার পরিমাণ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গিবত, মিথ্যা, পরনিন্দা, অশ্লীল বাক্যালাপ ও সব ধরনের পাপাচার ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিত্যাগ করতে হবে অপ্রয়োজনীয় কথা-কাজও। মহানবী (সা.) বলেন, ‘অনেক রোজাদার এমন আছে, যাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ছাড়া কিছুই অর্জিত হয় না। (মুসনাদে আহমদ) আরেক হাদিসে বলেন, ‘যে মিথ্যা বলা ছেড়ে দেয়নি, আল্লাহর কাছে তার অনাহারে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি)

তাই যারা এ মাসে ইবাদতে অবহেলা করে এবং পাপাচারে লিপ্ত থাকে, তারা অত্যন্ত হতভাগা। তাদের পরিণতি খুবই ভয়াবহ। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান পেল অথচ নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারেনি, সে হতভাগা।’ আরেক হাদিসে এসেছে, একদিন রাসুল (সা.) মিম্বারে আরোহণ করার সময় তিনবার আমিন বললেন। সাহাবিরা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দিলেন, ‘জিবরাইল (আ.) তিন শ্রেণির লোকের জন্য বদ দোয়া করেছেন, তার সমর্থনে আমি আমিন বলেছি।’ সেই তিন শ্রেণির একজন হলো, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারেনি। (মুসলিম, তিরমিজি)

মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত