Ajker Patrika

মিয়ানমারে নতুন করে নৃশংসতার আশঙ্কা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২৫ অক্টোবর ২০২১, ১৭: ৫১
মিয়ানমারে নতুন করে নৃশংসতার আশঙ্কা

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে নতুন করে সেনা মোতায়েনের ঘটনায় দেশটিতে আবারও ব্যাপক মানবাধিকার বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। গত ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের কাছে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুস।

তিনি বলেছেন, ‘মিয়ানমারের এই অংশের (উত্তরাঞ্চল) লোকজন আরও ব্যাপক নৃশংস অপরাধের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাদেরও প্রস্তুত থাকা উচিত।’

স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রক্তক্ষয়ী অভিযানে এক হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। অভ্যুত্থানের পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনের ফলাফল উপস্থাপন করে অ্যান্ড্রুস জানিয়েছেন, দেশটির উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছেন তিনি।

অনুসন্ধানে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার আলামত পাওয়া গেছে জানিয়ে অ্যান্ড্রুস বলেছেন, ‘দেশটির জান্তার এই কৌশল ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর আগের ঘটনাপ্রবাহকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।

বিশ্বের অন্য দেশগুলোকে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা এবং বৈধতা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন টম অ্যান্ড্রুস। গত সপ্তাহে দেশটির বন্দীদের মুক্তির বিষয়টি ‘বৈশ্বিক চাপের কারণে হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত