Ajker Patrika

অমুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা ভুক্তির চেষ্টার প্রতিবাদ

সাতক্ষীরা ও তালা প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ জুন ২০২২, ১২: ১২
অমুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা ভুক্তির চেষ্টার প্রতিবাদ

সাতক্ষীরার তালায় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অমুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা ভুক্তির চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনটি হয়। এর আয়োজন করেন উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার দক্ষিণ শার্শা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুর রহমান।

তবিবুর রহমান তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমি তালা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সাংগঠনিক কমান্ডার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, সন্তান ও পোষ্যদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছে। এ সুবিধা ভোগের উদ্দেশ্যে কতিপয় অমুক্তিযোদ্ধা জালিয়াতির মাধ্যমে সনদপত্র সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া সুবিধা ভোগ করে আসছেন। যে কারণে বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। আমি ধানদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। এই ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের প্রয়াত লোলিত মোহন সাহা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। ১৯৭১ এর পর দীর্ঘকাল যাবৎ কখনো তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা দাবিও করেনি তাঁর পরিবার। অথচ পত্রপত্রিকার মাধ্যমে ২০১৯ সালে জানতে পেরেছি তাঁর ছেলেরা যথাক্রমে বীরেন্দ্র নাথ সাহা, প্রতাপ কুমার সাহা ও পৌত্র সুমন সাহা মুক্তিযোদ্ধার একটি সাময়িক সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করেছে। ওই জাল সনদে তাঁরা সরকারি চাকরি করে আসছেন।

প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া সুবিধা জালিয়াতির মাধ্যমে অন্য কেউ ভোগ করবে, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মেনে নিতে না পেরে আদালতে একটি মামলা করি। পিবিআই তদন্ত করে ওই সনদটি সঠিক নয় মর্মে উল্লেখ করে একটি রিপোর্টও দেয়। অথচ ১৪৮৬০ নম্বর সনদ প্রদর্শন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বীরেন্দ্র নাথ সাহা ও প্রতাপ কুমার সাহা এবং পৌত্র উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে সুমন সাহা চাকরি করে আসছেন।

এ বিষয়ে সব দপ্তরে অভিযোগ করা হলেও মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘ম্যানেজ’ করে বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন তাঁরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ওই জালিয়াতির বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা অপবাদ লাগিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন ওই অমুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। আমি দুর্নীতির সঙ্গে আপস করি না। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ না নিয়েও মুক্তিযোদ্ধা সেজে সুবিধা ভোগ করবে এটি হবে না।’

সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ সময় ওই অমুক্তিযোদ্ধা যাতে কোনোভাবেই গেজেটভুক্ত হতে না পারে, সে বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধ কাউন্সিল, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, নিরাপত্তা গোয়েন্দা এন এস আই, সিআইডিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন মশু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোড়ল আবু বক্কার, বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম মো: ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নেছার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলতাফ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত