Ajker Patrika

‘যদি ১০টা মার্ডার লাগে, তা-ই করবেন’

চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২২, ০৯: ১০
‘যদি ১০টা মার্ডার  লাগে, তা-ই করবেন’

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে যেসব ইউপিতে ভোট হবে, তার একটি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়ন। এ ইউপিতে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে জোয়াগ ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আওয়ালের ছেলে মিজানুর রহমান খানকে হত্যার হুমকি দিতে দেখা যায়। কর্মীদের উদ্দেশ তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘মাইর খেয়ে আসা যাবে না, মাইর দিয়ে আসতে হবে। তার জন্য যদি ১০টা মার্ডারও করা লাগে, তা-ই করবেন। আমি বাকিটা দেখব ইনশাল্লাহ।’

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ ৫ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে প্রচার শেষ হবে ৩ জানুয়ারি মধ্যরাতে। দেশের যেসব ইউপিতে ওই দিন ভোট হবে, সেগুলো এরই মধ্যে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। চান্দিনার জোয়াগ ইউনিয়নে স্থানীয় ও দলীয় সূত্র বলেছে, এই ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল আওয়ালের ছেলে মিজানুর রহমান খান ওই হুমকি দেন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোয়াগ ইউনিয়নের পাঁচপুকুর গ্রামের এক উঠান বৈঠকে। ওই দিন রাত ১০টার পরই ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই বৈঠকে মিজানুরের বাবা আব্দুল আওয়ালও উপস্থিত ছিলেন। মিজানুরের সহিংসতায় এমন উসকানি ও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে দেওয়া হুমকি জোয়াগ ইউনিয়নবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অনেকেই ফেসবুকে এর সমালোচনা ও নিন্দা জানাচ্ছেন।

অবশ্য আব্দুল আওয়াল ছেলের এমন বক্তব্যের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ‘এসব কথা কে কখন বলেছে আমি শুনিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ছেলে মিজানুর নিজের কর্মিবাহিনীর উদ্দেশে আরও বলেছেন, ‘আমি ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, যদি আমার লোকদের এক ফোঁটা রক্ত ঝরে, আপনি ১০ ফোঁটা রক্ত নিয়ে আসবেন। বাকিটা আমি দেখব ইনশাল্লাহ। ছাড় দেওয়া যাবে না, এক চুল পরিমাণও ছাড় দিব না। মিজান কী জিনিস এখনো জোয়াগের অনেক মানুষ জানে না। জানা উচিত, যখন নমিনেশন নিয়ে আসছি, তখন থেকেই জানা উচিত।’

এ ব্যাপারে জোয়াগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম সওদাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অসুস্থ, বাড়িতেই আছি। ভিডিওটি আমিও দেখেছি, কিন্তু বিস্তারিত জানি না। আর মিজান আওয়ামী লীগের কেউ না। তাঁর বাবা আওয়ামী লীগের প্রার্থী।’

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখিনি। যদি এমন বক্তব্য কেউ দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি আইন অমান্য করেছেন, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত