Ajker Patrika

বালু উত্তোলনে ভাঙছে নদীর তীর

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১১: ০৭
বালু উত্তোলনে ভাঙছে নদীর তীর

নেত্রকোনার মদন উপজেলার বয়রাহালা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর তীরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর স্থানীয় ইমরুল মিয়া ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বয়রাহালা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছেন। বয়রাহালা নদীতে নির্মিত সেতুর কাছে ড্রেজার বসিয়ে এক মাস ধরে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করা হয়।

এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো রকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় অবাধে চলছে বালু ব্যবসা। এভাবে বালু উত্তোলন করায় অনেক স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার সকালে সরেজমিন শাহপুর গ্রামের বয়রাহালা নদীতে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এ সময় স্থানীয়রা বলেন, হাসকুড়ি গ্রামের ওয়াহাব মিয়ার ছেলে ইমরুল বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। এর আগেও সে কয়েক বার বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তা ছাড়া স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদ মিয়া ৩৫ হাজার টাকার বালু ক্রয় করেন। ৩৫ হাজার থেকে কিছু টাকা কম দিতে চাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌহিত মিয়াকে লাঞ্ছিত করেন ইমরুল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদ মিয়া অভিযোগ করেন, ‘ইমরুল মিয়া কয়েক দিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। আমার কাছেও ৩৫ হাজার টাকার বালু বিক্রি করেছে। আমি কিছু টাকা কম দিতে চাইলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বর্তমানে সে আমার প্রতিবেশী লোকজনদের বাড়ির সামনের ডোবা ভরাট করার জন্য বালু বিক্রি করেছে। আমাকে বারবার গালমন্দও করছে। আমি এর বিচার চাই।’

মদন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছদ্দু মিয়া বলেন, ‘শুনেছি ইমরুল নামে এক ব্যক্তি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। আমাদের তৌহিদ নামে এক মুক্তিযোদ্ধার কাছেও বালু বিক্রি করেছে। টাকা-পয়সার হিসাব নিয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ লাঞ্ছিত করেছে। বিষয়টি আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আলোচনা করে এর প্রতিবাদ করবো।’

জানতে চাইলে ড্রেজার মালিক ইমরুল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, ‘এলাকার কয়েকজন লোকের বালুর প্রয়োজন। তারাই আমার ড্রেজার নিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা তৌহিদ মিয়া রয়েছে। তিনিও আমার ড্রেজার থেকে বালু নিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত কেন করলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁর যতটুকু চাওয়া এর থেকে সে অতিরিক্ত বালু নিতে চায়। এর জন্য কিছু তর্কবিতর্ক হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বুলবুল আহেমদ বলেন, ‘ড্রেজার বসিয়ে বয়রাহানা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়েছি। শিগগিরইই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত