Ajker Patrika

হত্যা মামলা থেকে নেতা-কর্মীর নাম প্রত্যাহারের দাবি

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, ১৭: ৩৫
হত্যা মামলা থেকে নেতা-কর্মীর নাম প্রত্যাহারের দাবি

পাবনার সুজানগর পৌরসভার কর্মচারী আল আমিন হত্যা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল ওহাব।

লিখিত বক্তব্যে আব্দুল ওহাব বলেন, পারিবারিক শত্রুতা ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৩ মার্চ পৌরসভার কর্মচারী আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নিতে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের প্ররোচনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৩৩ জন নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

আব্দুল ওহাব আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এসব নেতা-কর্মীর নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করেছেন। এ মামলায় যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁরা ওই দিন সুজানগর বা পাবনায় ছিলেন না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁদের আসামি করা হয়েছে। তিনি নেতা-কর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, শাহীনুজ্জামান শাহীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে দল বিরোধী কর্মকাণ্ডে আরও বেপরোয়া হয়েছেন। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী দিয়েছিলেন। তদন্তের মাধ্যমে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দলবিরোধী ভূমিকায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এ ছাড়া নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে তাঁদের বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘ওই মামলার বাদী আমি নই। যাঁদের আসামি করা হয়েছে তাঁদের অনেকেই তিনটি হত্যাসহ বেশ কিছু মামলার আসামি। তাঁরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির সমর্থক। আমরা আশা করেছিলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে আব্দুল ওহাব নিহত ব্যক্তির পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু তিনি তা না করে হত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। পক্ষান্তরে তিনি হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত