রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর
মেহেরপুরের ইটভাটাগুলোতে ইট পোড়াতে কাঠ ব্যবহারের মহা উৎসব চলছে। প্রতিটি ইটভাটায় পড়ে আছে স্তূপের পর স্তূপ কাঠ। ভাটামালিকদের দাবি, কয়লার দাম তিন গুণ বৃদ্ধি ও চাহিদামতো কয়লা না পাওয়ায় কাঠ পোড়াতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে জেলার ১০৩টি ইটভাটার মধ্যে ১০০টি ইটভাটার নেই কোনো লাইসেন্স, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ভাটামালিকদের অভিযোগ, সরকার নিয়মিত এসব ভাটা থেকে ভ্যাট নিলেও দিনের পর দিন লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র দিচ্ছে না।
জানা গেছে, জেলার প্রতিটি ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে কৃষিজমি অথবা মূল সড়কের পাশে। অথচ আইনগতভাবে এসব ভাটা অবৈধ। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক কয়েকজন ভাটামালিককে জরিমানা করলেও ইট পোড়ানোর চিত্র পাল্টায়নি কখনো। বিভিন্ন ভাটায় দেখা মিলছে ভ্রাম্যমাণ করাতকলের। যেখানে কাঠ চিরে রাখা হচ্ছে, যা ব্যবহার করা হবে ইট পোড়ানোর কাজে।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার থানাপাড়ার একটি হাওয়া ইটভাটা ‘আস্থা’। একদিকে কাদামাটি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে ইট, অন্যদিকে তা পোড়ানো হচ্ছে ভাটায়। যেখানে ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করার দরকার কয়লা, সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। ভাটায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে অসংখ্য কাঠ। ভাটায় নামছে ট্রাকের পর ট্রাক কাঠ।
কোথাও কয়লার লেশমাত্র নেই।
কথা হয় ইটভাটা মালিক আলামিন হোসেন স্বপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত বছর এক ট্রাক কয়লার দাম ছিল ১১-১২ হাজার টাকা। এবার সে কয়লার দাম ২৮-২৯ হাজার টাকা। তারপরও চাহিদামতো মিলছে না কয়লা। আর গত বছর আমরা কয়লা দিয়ে পুরো মৌসুম ইট পুড়িয়েছি। এক ট্রাক ইট বিক্রি করেছি ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। এবার ২৮ হাজার টাকায় কয়লা কিনে কত টাকায় ইট বিক্রি করব। তাই বাধ্য হচ্ছি কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে।’
সদর উপজেলার মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশেই আলমপুর গ্রামে কৃষিজমির ওপর চলছে ইরানি ব্রিক্সের কার্যক্রম। ভাটার মালিক ইমাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো সরকারকে প্রতিবছরই ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। এ বছরও ভ্যাট অফিসকে তিন কিস্তিতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে বছরের পর বছর ঘুরছি। তারা বলছে, ‘আপাতত ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ রয়েছে। খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছাড়পত্র দিয়ে দেব। প্রতিবছরই আমাদের নবায়নও করতে হয়। তাহলে আমরা বৈধ না অবৈধ তা কিছুই বুঝতে পারছি না।’
পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ নেই বলে দাবি করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইট পোড়ানো আইন মেনে যদি কেউ আবেদন করেন, তাহলে অবশ্যই তাঁদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। আর অবৈধ ইটভাটায় আমরা মাঝে মাঝেই অভিযান পরিচালনা করি। তবে আমরা কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দায়িত্বে রয়েছি। সেই অনুপাতে আমাদের জনবল খুবই কম। ফলে ইচ্ছা থাকলেও শতভাগ অভিযান পরিচালনা করার সাধ্য আমাদের থাকে না।’
জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‘ইটভাটার যে আইন, সেটি অত্যন্ত কঠিন। সে আইন মানতে গেলে জেলায় একটি ইটভাটাও থাকবে না। আইনটি শিথিল করার দাবি জানান তিনি। ভাটা বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এ ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে আমরা যাব কোথায়।
তা ছাড়া অনেক টাকা আমরা বিনিয়োগ করেছি ভাটায়। তাই জেল-জরিমানা যাই হোক, তা উপেক্ষা করে আমাদের ভাটা চালাতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইটভাটা একটি জাতীয় সমস্যা। সমস্যা সমাধানে সরকার জোর দিচ্ছেন ব্লকের ইট তৈরির বিষয়ে। তারপরও প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে পরিবেশ বিপর্যয়ের ও মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য যেকোনো মূল্যে এ ধরনের ইটভাটা বন্ধ করা হবে বলেও তিনি জানান।
মেহেরপুরের ইটভাটাগুলোতে ইট পোড়াতে কাঠ ব্যবহারের মহা উৎসব চলছে। প্রতিটি ইটভাটায় পড়ে আছে স্তূপের পর স্তূপ কাঠ। ভাটামালিকদের দাবি, কয়লার দাম তিন গুণ বৃদ্ধি ও চাহিদামতো কয়লা না পাওয়ায় কাঠ পোড়াতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে জেলার ১০৩টি ইটভাটার মধ্যে ১০০টি ইটভাটার নেই কোনো লাইসেন্স, নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। ভাটামালিকদের অভিযোগ, সরকার নিয়মিত এসব ভাটা থেকে ভ্যাট নিলেও দিনের পর দিন লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র দিচ্ছে না।
জানা গেছে, জেলার প্রতিটি ইটভাটা নির্মাণ করা হয়েছে কৃষিজমি অথবা মূল সড়কের পাশে। অথচ আইনগতভাবে এসব ভাটা অবৈধ। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক কয়েকজন ভাটামালিককে জরিমানা করলেও ইট পোড়ানোর চিত্র পাল্টায়নি কখনো। বিভিন্ন ভাটায় দেখা মিলছে ভ্রাম্যমাণ করাতকলের। যেখানে কাঠ চিরে রাখা হচ্ছে, যা ব্যবহার করা হবে ইট পোড়ানোর কাজে।
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার থানাপাড়ার একটি হাওয়া ইটভাটা ‘আস্থা’। একদিকে কাদামাটি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে ইট, অন্যদিকে তা পোড়ানো হচ্ছে ভাটায়। যেখানে ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করার দরকার কয়লা, সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। ভাটায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে অসংখ্য কাঠ। ভাটায় নামছে ট্রাকের পর ট্রাক কাঠ।
কোথাও কয়লার লেশমাত্র নেই।
কথা হয় ইটভাটা মালিক আলামিন হোসেন স্বপনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গত বছর এক ট্রাক কয়লার দাম ছিল ১১-১২ হাজার টাকা। এবার সে কয়লার দাম ২৮-২৯ হাজার টাকা। তারপরও চাহিদামতো মিলছে না কয়লা। আর গত বছর আমরা কয়লা দিয়ে পুরো মৌসুম ইট পুড়িয়েছি। এক ট্রাক ইট বিক্রি করেছি ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। এবার ২৮ হাজার টাকায় কয়লা কিনে কত টাকায় ইট বিক্রি করব। তাই বাধ্য হচ্ছি কাঠ দিয়ে ইট পোড়াতে।’
সদর উপজেলার মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশেই আলমপুর গ্রামে কৃষিজমির ওপর চলছে ইরানি ব্রিক্সের কার্যক্রম। ভাটার মালিক ইমাদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো সরকারকে প্রতিবছরই ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। এ বছরও ভ্যাট অফিসকে তিন কিস্তিতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করে বছরের পর বছর ঘুরছি। তারা বলছে, ‘আপাতত ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ রয়েছে। খোলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ছাড়পত্র দিয়ে দেব। প্রতিবছরই আমাদের নবায়নও করতে হয়। তাহলে আমরা বৈধ না অবৈধ তা কিছুই বুঝতে পারছি না।’
পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ নেই বলে দাবি করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ‘ইট পোড়ানো আইন মেনে যদি কেউ আবেদন করেন, তাহলে অবশ্যই তাঁদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। আর অবৈধ ইটভাটায় আমরা মাঝে মাঝেই অভিযান পরিচালনা করি। তবে আমরা কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার দায়িত্বে রয়েছি। সেই অনুপাতে আমাদের জনবল খুবই কম। ফলে ইচ্ছা থাকলেও শতভাগ অভিযান পরিচালনা করার সাধ্য আমাদের থাকে না।’
জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, ‘ইটভাটার যে আইন, সেটি অত্যন্ত কঠিন। সে আইন মানতে গেলে জেলায় একটি ইটভাটাও থাকবে না। আইনটি শিথিল করার দাবি জানান তিনি। ভাটা বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এ ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে আমরা যাব কোথায়।
তা ছাড়া অনেক টাকা আমরা বিনিয়োগ করেছি ভাটায়। তাই জেল-জরিমানা যাই হোক, তা উপেক্ষা করে আমাদের ভাটা চালাতে হবে।’
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইটভাটা একটি জাতীয় সমস্যা। সমস্যা সমাধানে সরকার জোর দিচ্ছেন ব্লকের ইট তৈরির বিষয়ে। তারপরও প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে। তবে পরিবেশ বিপর্যয়ের ও মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য যেকোনো মূল্যে এ ধরনের ইটভাটা বন্ধ করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪