রিমন রহমান, রাজশাহী
প্রতিবার ভোটের আগে সবার সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর সেই অঙ্গীকার বেমালুম ভুলে যান। রাজশাহী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। এ কারণে আগামী নির্বাচনে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে নিজেদের দলীয় প্রার্থী চান তাঁরা। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে সংশয় থাকায় ভোটের মাঠে তেমন উপস্থিতি নেই বিএনপির।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পুরো এলাকা নিয়ে সংসদীয় সদর আসন রাজশাহী-২। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সিটি মেয়র হিসেবে পুরো শহরকে সাজিয়ে তুলেছেন দেশের সেরা শহর হিসেবে। শহরের প্রতিটি উন্নয়নে তাঁর হাতের ছোঁয়া রয়েছে। তাই লিটনকে আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী করা না হলে এ আসনে তাঁকে নৌকার এমপি প্রার্থী করার সম্ভাবনা প্রবল। তবে নেতাদের অনেকে বলছেন, তিনি এ আসন থেকেই মনোনয়ন পাবেন, এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। রাজশাহীর অন্য যেকোনো আসন থেকেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন এ নেতা।
সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমি সিটি নির্বাচনের প্রার্থী হব নাকি সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হব, কিংবা প্রার্থী হবই না—সবকিছুই নির্ভর করছে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমার নিজের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তিনি যা চাইবেন, তা-ই হবে।’
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আগের নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুকেই আবার দেওয়া হতে পারে মনোনয়ন। তা না হলে প্রার্থী হতে পারেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক এই ভিপিকে প্রার্থী হিসেবে চায় স্থানীয় বিএনপির একাংশ। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য রিজভীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী ভাবনা জানতে চাওয়া হলে মিজানুর রহমান মিনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না। যদি অংশ নেয়, তাহলে দলের হাইকমান্ডই ঠিক করবে, প্রার্থী কে হবে।’
বিএনপি নয়, ভোটের মাঠে এখন বেশ দাপট আওয়ামী লীগের। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিটি মেয়র অথবা সদর আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তবে সম্প্রতি তাঁর একটি আপত্তিকর ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তিনি বেকায়দায় পড়েন। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি উঠেছে। এখন দলীয় পদ রক্ষা করাটাই তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ। তাই তাঁর নিজ থেকে মনোনয়ন চাওয়ার সম্ভাবনা কম। জানতে চাইলে ডাবলু সরকার বলেন, ‘সবার স্বপ্ন থাকে। আমারও ছিল। কিন্তু আমি বেকায়দায়।’
বর্তমান এমপি বাদশার সমালোচনা করে ডাবলু সরকার বলেন, ‘তিনি আমাদের সঙ্গে সম্পর্কটা গাঢ় করতে পারতেন। সেটা তিনি করেন না।’
মেয়র লিটন এই আসনে দলের এমপি প্রার্থী না হলে নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মেয়রপত্নী শাহীন আকতার রেনীকেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ও যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টুর নামও আছে আলোচনায়। শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘মেয়র লিটন শহরের যত উন্নয়ন করেছেন, তার অনেকটাই ম্লান হয়ে যাচ্ছে নিজ দলের এমপি না থাকার কারণে। আমরা চাই মেয়র এবং এমপি দুজনেই থাকবে আওয়ামী লীগের। তাহলে শহরের উন্নয়নের সমন্বয়টা ঠিকঠাক হবে।’
টানা তিনবার এমপি হওয়া ফজলে হোসেন বাদশা আবারও এ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী হতে চাইবেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন সে ঘোষণা দিয়েই গেছেন।
এ বিষয়ে ভারতে অবস্থানরত এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তাঁর দলের রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু বলেন, ‘২০০৮ সালে আমাদের পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা যখন প্রথম এমপি হন, তখনো রাজশাহী উন্নয়নবঞ্চিত ছিল। এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের পার্টিও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। তাই আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনেও ফজলে হোসেন বাদশাকে ১৪ দলের প্রার্থী করা হবে। তবে এবার আমরা হাতুড়ি প্রতীকেই নির্বাচনে লড়তে চাই।’
ফজলে হোসেন বাদশাকে নিয়ে আওয়ামী লীগে ক্ষোভের ব্যাপারে জানতে চাইলে দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু বলেন, ‘আওয়ামী লীগই ১০ ভাগে বিভক্ত। এখন তিনি কোন ভাগের সঙ্গে চলবেন! সেটাই বড় প্রশ্ন!’
প্রতিবার ভোটের আগে সবার সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর সেই অঙ্গীকার বেমালুম ভুলে যান। রাজশাহী-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। এ কারণে আগামী নির্বাচনে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে নিজেদের দলীয় প্রার্থী চান তাঁরা। অন্যদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে সংশয় থাকায় ভোটের মাঠে তেমন উপস্থিতি নেই বিএনপির।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের পুরো এলাকা নিয়ে সংসদীয় সদর আসন রাজশাহী-২। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সিটি মেয়র হিসেবে পুরো শহরকে সাজিয়ে তুলেছেন দেশের সেরা শহর হিসেবে। শহরের প্রতিটি উন্নয়নে তাঁর হাতের ছোঁয়া রয়েছে। তাই লিটনকে আগামী সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী করা না হলে এ আসনে তাঁকে নৌকার এমপি প্রার্থী করার সম্ভাবনা প্রবল। তবে নেতাদের অনেকে বলছেন, তিনি এ আসন থেকেই মনোনয়ন পাবেন, এটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। রাজশাহীর অন্য যেকোনো আসন থেকেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে পারেন এ নেতা।
সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘আমি সিটি নির্বাচনের প্রার্থী হব নাকি সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হব, কিংবা প্রার্থী হবই না—সবকিছুই নির্ভর করছে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। আমার নিজের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। তিনি যা চাইবেন, তা-ই হবে।’
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আগের নির্বাচনের পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুকেই আবার দেওয়া হতে পারে মনোনয়ন। তা না হলে প্রার্থী হতে পারেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সাবেক এই ভিপিকে প্রার্থী হিসেবে চায় স্থানীয় বিএনপির একাংশ। বিষয়টি নিয়ে অবশ্য রিজভীর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী ভাবনা জানতে চাওয়া হলে মিজানুর রহমান মিনু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশ নেবে না। যদি অংশ নেয়, তাহলে দলের হাইকমান্ডই ঠিক করবে, প্রার্থী কে হবে।’
বিএনপি নয়, ভোটের মাঠে এখন বেশ দাপট আওয়ামী লীগের। দলটির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিটি মেয়র অথবা সদর আসনের সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। তবে সম্প্রতি তাঁর একটি আপত্তিকর ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তিনি বেকায়দায় পড়েন। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি উঠেছে। এখন দলীয় পদ রক্ষা করাটাই তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ। তাই তাঁর নিজ থেকে মনোনয়ন চাওয়ার সম্ভাবনা কম। জানতে চাইলে ডাবলু সরকার বলেন, ‘সবার স্বপ্ন থাকে। আমারও ছিল। কিন্তু আমি বেকায়দায়।’
বর্তমান এমপি বাদশার সমালোচনা করে ডাবলু সরকার বলেন, ‘তিনি আমাদের সঙ্গে সম্পর্কটা গাঢ় করতে পারতেন। সেটা তিনি করেন না।’
মেয়র লিটন এই আসনে দলের এমপি প্রার্থী না হলে নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও মেয়রপত্নী শাহীন আকতার রেনীকেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া সহসভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা ও যুগ্ম সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টুর নামও আছে আলোচনায়। শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘মেয়র লিটন শহরের যত উন্নয়ন করেছেন, তার অনেকটাই ম্লান হয়ে যাচ্ছে নিজ দলের এমপি না থাকার কারণে। আমরা চাই মেয়র এবং এমপি দুজনেই থাকবে আওয়ামী লীগের। তাহলে শহরের উন্নয়নের সমন্বয়টা ঠিকঠাক হবে।’
টানা তিনবার এমপি হওয়া ফজলে হোসেন বাদশা আবারও এ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী হতে চাইবেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন সে ঘোষণা দিয়েই গেছেন।
এ বিষয়ে ভারতে অবস্থানরত এমপি ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তাঁর দলের রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু বলেন, ‘২০০৮ সালে আমাদের পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা যখন প্রথম এমপি হন, তখনো রাজশাহী উন্নয়নবঞ্চিত ছিল। এখন অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের পার্টিও মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। তাই আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনেও ফজলে হোসেন বাদশাকে ১৪ দলের প্রার্থী করা হবে। তবে এবার আমরা হাতুড়ি প্রতীকেই নির্বাচনে লড়তে চাই।’
ফজলে হোসেন বাদশাকে নিয়ে আওয়ামী লীগে ক্ষোভের ব্যাপারে জানতে চাইলে দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু বলেন, ‘আওয়ামী লীগই ১০ ভাগে বিভক্ত। এখন তিনি কোন ভাগের সঙ্গে চলবেন! সেটাই বড় প্রশ্ন!’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪