রাহুল শর্মা, ঢাকা
প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীকে ‘ইউনিক আইডি’ দেওয়ার কথা। প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর। ইতিমধ্যে তা ফুরিয়েছে। কিন্তু একজন শিক্ষার্থীও এখন পর্যন্ত পায়নি এই ইউনিক আইডি।
শুধু তা-ই নয়। প্রকল্পের আওতায় সব শিক্ষার্থীর ডেটা এন্ট্রির কাজও শেষ হয়নি। এ ছাড়া শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়নের কাজেও তেমন অগ্রগতি হয়নি।
এই হাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বহুল আলোচিত প্রকল্প এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা আইইআইএমএসের। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ইউনিক আইডি তৈরি এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনাপদ্ধতি প্রণয়ন করতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। প্রকল্পের চার বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন।
এ অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়বে না।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার উদ্দেশ্যেই তৈরি করার কথা ইউনিক আইডি। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এ আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে। মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮-এর নিচে, তাদের তথ্য সিস্টেমের মধ্যে আনাই ইউনিক আইডির মুখ্য উদ্দেশ্য। আর শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনাপদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তরকে একই সফটওয়্যারে আনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হবে।
ঘোষণা ছিল, মুজিববর্ষেই (২০২২ সালের মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। সে ঘোষণা শুধু কাগজকলমেই রয়ে গেছে। আর এ জন্য করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের কারিগরি সমস্যাকে দায়ী করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যানবেইসের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে ৭৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর তথ্য সফটওয়্যারে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিছুদিন আগে ৫০০ জন শিক্ষার্থীর তথ্য ইউনিক আইডি তৈরির মূল সফটওয়্যার পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ইউনিক আইডি তৈরি হয়েছে মাত্র ২৭২টি।
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন সব সমস্যা কেটে গেছে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থীরই ইউনিক আইডি তৈরি হবে।
নির্ধারিত সময়ে কেন শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি পায়নি, জানতে চাইলে শামছুল আলম বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়া তথ্যগুলো থেকে ইউনিক আইডি তৈরির দায়িত্বে থাকা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়েরও কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল, যা এখন ওভারকাম করা সম্ভব হয়েছে।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় আর বাড়বে না বলেও দাবি করেন শামছুল আলম। তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়বে না। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের কাজের গতি ভালো। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতিও আশাব্যঞ্জক। আশা করি, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে ইউনিক আইডি দেওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে আমরা একটি ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইনও করেছি।’
ইউনিক আইডি তৈরিতে কী ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল, জানতে চাইলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মির্জা তারিক হিকমত বলেন, ‘ভুল তথ্যের জন্য ইউনিক আইডি তৈরি না হলে এর দায় আমাদের নয়। তথ্য সঠিক হলে এখন দ্রুত সময়েই ইউনিক আইডি তৈরি করা যাচ্ছে।’
প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীকে ‘ইউনিক আইডি’ দেওয়ার কথা। প্রকল্পের মেয়াদ চার বছর। ইতিমধ্যে তা ফুরিয়েছে। কিন্তু একজন শিক্ষার্থীও এখন পর্যন্ত পায়নি এই ইউনিক আইডি।
শুধু তা-ই নয়। প্রকল্পের আওতায় সব শিক্ষার্থীর ডেটা এন্ট্রির কাজও শেষ হয়নি। এ ছাড়া শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়নের কাজেও তেমন অগ্রগতি হয়নি।
এই হাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বহুল আলোচিত প্রকল্প এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা আইইআইএমএসের। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর জন্য একটি ইউনিক আইডি তৈরি এবং সমন্বিত শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনাপদ্ধতি প্রণয়ন করতে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। প্রকল্পের চার বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন।
এ অবস্থায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়বে না।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় রাখার উদ্দেশ্যেই তৈরি করার কথা ইউনিক আইডি। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এ আইডিই জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে। মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী, অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮-এর নিচে, তাদের তথ্য সিস্টেমের মধ্যে আনাই ইউনিক আইডির মুখ্য উদ্দেশ্য। আর শিক্ষাতথ্য ব্যবস্থাপনাপদ্ধতি প্রণয়নের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তরকে একই সফটওয়্যারে আনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা হবে।
ঘোষণা ছিল, মুজিববর্ষেই (২০২২ সালের মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে ইউনিক আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। সে ঘোষণা শুধু কাগজকলমেই রয়ে গেছে। আর এ জন্য করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা এবং জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের কারিগরি সমস্যাকে দায়ী করছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যানবেইসের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইতিমধ্যে ৭৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর তথ্য সফটওয়্যারে সংযুক্ত করা হয়েছে। কিছুদিন আগে ৫০০ জন শিক্ষার্থীর তথ্য ইউনিক আইডি তৈরির মূল সফটওয়্যার পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক ইউনিক আইডি তৈরি হয়েছে মাত্র ২৭২টি।
প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম বলেন, নানা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন সব সমস্যা কেটে গেছে। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষার্থীরই ইউনিক আইডি তৈরি হবে।
নির্ধারিত সময়ে কেন শিক্ষার্থীরা ইউনিক আইডি পায়নি, জানতে চাইলে শামছুল আলম বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া সফটওয়্যারে এন্ট্রি দেওয়া তথ্যগুলো থেকে ইউনিক আইডি তৈরির দায়িত্বে থাকা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়েরও কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল, যা এখন ওভারকাম করা সম্ভব হয়েছে।
প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় আর বাড়বে না বলেও দাবি করেন শামছুল আলম। তিনি বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব্যয় বাড়বে না। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের কাজের গতি ভালো। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতিও আশাব্যঞ্জক। আশা করি, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হাতে ইউনিক আইডি দেওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে আমরা একটি ইউনিক আইডি কার্ডের ডিজাইনও করেছি।’
ইউনিক আইডি তৈরিতে কী ধরনের টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল, জানতে চাইলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মির্জা তারিক হিকমত বলেন, ‘ভুল তথ্যের জন্য ইউনিক আইডি তৈরি না হলে এর দায় আমাদের নয়। তথ্য সঠিক হলে এখন দ্রুত সময়েই ইউনিক আইডি তৈরি করা যাচ্ছে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪