শরীফ হাসান, দোহার
দোহারের প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজার। বাজারসংলগ্ন ৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নিচ দিয়ে ছোট নৌযানের পাশাপাশি চলছে নিয়মিত বালুবাহী বাল্কহেড। আর এ ভারী নৌযানের ধাক্কায় সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ধাক্কায় ক্ষয়ে গেছে পিলারের নিচের দিকটা, আর একটি পিলারের ওপরের দিকে পলেস্তারা উঠে গিয়ে রড বের হয়ে গেছে। এতে করে পরবর্তী যেকোনো আঘাতে সেতুটি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হিলসামারি নদী খ্যাত জয়পাড়া খাল দিয়ে বালুবাহী বাল্কহেড প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ বার চলাচল করে। খালের পানিতে স্রোত থাকায় প্রায়ই সেতুর পিলারের সঙ্গে এসব নৌযানের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটছে। এতে মাঝের পিলারের ওপরের সংযোগ স্থানে বড় রকমের ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়েছে।
জয়পাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আহসান সুমন বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১৫ থেকে ২০ বার বাল্কহেড বালু নিয়ে যাতায়াত করে এমনকি রাতেও। সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই আটকে যায় বলগেট। এ ছাড়া নিয়মিত ঘষা লাগে। এতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেতুটি।’
সুমন বলেন, ‘আমাদের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থাও নেই। সেতুটি ইতিপূর্বে সংস্কার করা হলেও এখন প্রয়োজন নতুন আরেকটি প্রশস্ত সেতু নির্মাণের। আর বাল্কহেড চলাচল অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘জয়পাড়া খালটি ছোট। আর এই ছোট খালের মধ্যে জহিরুল, শাহাদাৎ, বশির ও মাহবুব নামে এই চারজন বাল্কহেড চালাচ্ছেন। সেগুলো দিয়ে বালু এনে বিক্রি করছেন। তাঁরা এম এ আজিজ স্কুলের পাশে বাল্কহেড রেখে বালু বিক্রি করছেন। এতে ওই এলাকার অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে।’
ওই ব্যক্তি বলেন, ‘বাল্কহেড ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী বলে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। প্রশাসনের নাকের ডগায় তাঁরা বাল্কহেড দিয়ে বালু বিক্রি করে তো করছেনই সেই সঙ্গে জয়পাড়া খালেরও বারোটা বাজাচ্ছেন।’
বাল্কহেড মালিক মায়মুনা এন্টারপ্রাইজের জহিরুল বলেন, ‘আমরা অনুমতি নিয়েছি।’ কীভাবে নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যরা যেভাবে নেয়, আমরাও সেভাবে নিয়েছি। আমরা মাটি কেটে আনি না, আমরা মাটি কিনে আনি। তারপর বিক্রি করি। আর এর থেকে বেশি কিছু জানতে চাইলে আমাদের যে সভাপতি আছেন বশির আহাম্মেদ ভাই, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।’
উপজেলা বাল্কহেড ব্যবসায়ীদের সভাপতি বশির আহাম্মেদ বলেন, ‘আমরা অনুমতি নিইনি। বাল্কহেড সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার কারণে ধাক্কা লাগছে—এমন কোনো কিছু আমরা জানি না বা শুনিও নাই। বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর রড বেরিয়ে গেছে, সে বিষয় আমি দেখব। এমন কিছু হলে আমরা বাল্কহেড চালানো বন্ধ করে দেব।’
তবে সেখানে উপস্থিত বাল্কহেড ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান রেগে যান। তিনি বলেন, ‘কোনো বাল্কহেড অবৈধ না, সব বাল্কহেড বৈধ। তাই আমরা বৈধভাবেই বাল্কহেড চালাচ্ছি।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রেগে যান। মশিউর রহমান বলেন, ‘আপনারা কী আমাকে ছুটির দিনেও ছুটি নিয়ে থাকতে দেবেন না? খালি ঝামেলা করেন।’
এরপর এ প্রকৌশলী বলেন, ‘সেতুর রড বেরিয়ে গিয়েছে সে বিষয়টি আমরা শুনেছি। কিন্তু বাল্কহেড তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। এটি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, আপনারা পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন। আমাদের কেন জিজ্ঞেস করেন?’
দোহার উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি বলেন, ‘মাটি কেটে এনে বিক্রি করছে এবং বাল্কহেডের ধাক্কায় জয়পাড়া সেতুর সমস্যা হচ্ছে, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তাই আমরা সরেজমিনে দেখব। তারপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
দোহারের প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজার। বাজারসংলগ্ন ৯০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নিচ দিয়ে ছোট নৌযানের পাশাপাশি চলছে নিয়মিত বালুবাহী বাল্কহেড। আর এ ভারী নৌযানের ধাক্কায় সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ধাক্কায় ক্ষয়ে গেছে পিলারের নিচের দিকটা, আর একটি পিলারের ওপরের দিকে পলেস্তারা উঠে গিয়ে রড বের হয়ে গেছে। এতে করে পরবর্তী যেকোনো আঘাতে সেতুটি ভেঙে যেতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হিলসামারি নদী খ্যাত জয়পাড়া খাল দিয়ে বালুবাহী বাল্কহেড প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ বার চলাচল করে। খালের পানিতে স্রোত থাকায় প্রায়ই সেতুর পিলারের সঙ্গে এসব নৌযানের ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটছে। এতে মাঝের পিলারের ওপরের সংযোগ স্থানে বড় রকমের ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়েছে।
জয়পাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আহসান সুমন বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ১৫ থেকে ২০ বার বাল্কহেড বালু নিয়ে যাতায়াত করে এমনকি রাতেও। সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই আটকে যায় বলগেট। এ ছাড়া নিয়মিত ঘষা লাগে। এতে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেতুটি।’
সুমন বলেন, ‘আমাদের বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থাও নেই। সেতুটি ইতিপূর্বে সংস্কার করা হলেও এখন প্রয়োজন নতুন আরেকটি প্রশস্ত সেতু নির্মাণের। আর বাল্কহেড চলাচল অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘জয়পাড়া খালটি ছোট। আর এই ছোট খালের মধ্যে জহিরুল, শাহাদাৎ, বশির ও মাহবুব নামে এই চারজন বাল্কহেড চালাচ্ছেন। সেগুলো দিয়ে বালু এনে বিক্রি করছেন। তাঁরা এম এ আজিজ স্কুলের পাশে বাল্কহেড রেখে বালু বিক্রি করছেন। এতে ওই এলাকার অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে।’
ওই ব্যক্তি বলেন, ‘বাল্কহেড ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী বলে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। প্রশাসনের নাকের ডগায় তাঁরা বাল্কহেড দিয়ে বালু বিক্রি করে তো করছেনই সেই সঙ্গে জয়পাড়া খালেরও বারোটা বাজাচ্ছেন।’
বাল্কহেড মালিক মায়মুনা এন্টারপ্রাইজের জহিরুল বলেন, ‘আমরা অনুমতি নিয়েছি।’ কীভাবে নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যরা যেভাবে নেয়, আমরাও সেভাবে নিয়েছি। আমরা মাটি কেটে আনি না, আমরা মাটি কিনে আনি। তারপর বিক্রি করি। আর এর থেকে বেশি কিছু জানতে চাইলে আমাদের যে সভাপতি আছেন বশির আহাম্মেদ ভাই, তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।’
উপজেলা বাল্কহেড ব্যবসায়ীদের সভাপতি বশির আহাম্মেদ বলেন, ‘আমরা অনুমতি নিইনি। বাল্কহেড সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার কারণে ধাক্কা লাগছে—এমন কোনো কিছু আমরা জানি না বা শুনিও নাই। বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর রড বেরিয়ে গেছে, সে বিষয় আমি দেখব। এমন কিছু হলে আমরা বাল্কহেড চালানো বন্ধ করে দেব।’
তবে সেখানে উপস্থিত বাল্কহেড ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান রেগে যান। তিনি বলেন, ‘কোনো বাল্কহেড অবৈধ না, সব বাল্কহেড বৈধ। তাই আমরা বৈধভাবেই বাল্কহেড চালাচ্ছি।’
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি রেগে যান। মশিউর রহমান বলেন, ‘আপনারা কী আমাকে ছুটির দিনেও ছুটি নিয়ে থাকতে দেবেন না? খালি ঝামেলা করেন।’
এরপর এ প্রকৌশলী বলেন, ‘সেতুর রড বেরিয়ে গিয়েছে সে বিষয়টি আমরা শুনেছি। কিন্তু বাল্কহেড তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। এটি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, আপনারা পুলিশকে জিজ্ঞাসা করেন। আমাদের কেন জিজ্ঞেস করেন?’
দোহার উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বি বলেন, ‘মাটি কেটে এনে বিক্রি করছে এবং বাল্কহেডের ধাক্কায় জয়পাড়া সেতুর সমস্যা হচ্ছে, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তাই আমরা সরেজমিনে দেখব। তারপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪