Ajker Patrika

কুয়েট অধ্যাপক সেলিম ‘হত্যা’র বিচার দাবি

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭: ৩৫
কুয়েট অধ্যাপক সেলিম ‘হত্যা’র বিচার দাবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে তাঁর জন্মস্থান কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মানববন্ধন হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনের আয়োজন করে নিহতের স্বজন, বাল্যবন্ধু ও এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নেন বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলী হোসেন, ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা রিফাত আহমেদ শাওন, অধ্যাপক ড. সেলিমের সহপাঠী রূপকুমার রায়সহ এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটন করে সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।

এ ছাড়া মানববন্ধনে সেলিম হোসেনের বাবা শুকুর আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি অসহায় ও গরিব মানুষ। অনেক কষ্ট করে ছেলে মানুষ করেছিলাম। আমার সব শেষ। আমি এখন নিঃস্ব। এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। আমি মামলা করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

মানববন্ধনে সেলিম হোসেনের দুলাভাই ও আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেন বলেন, ‘সেলিমের মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীকেও মুখ না খোলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘লাশ দাফনের দিন কুয়েটের এক শিক্ষক ও কিছু শিক্ষার্থী এসেছিল। তাঁরা তাড়াহুড়া করে লাশ দাফন করেছে।’

বাঁশগ্রাম আলাউদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহাকরী অধ্যাপক আলী হোসেন বলেন, ‘সেলিম অত্যন্ত মেধাবী ও বিনয়ী ছিলেন। তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী এর সুষ্ঠু বিচার করবেন।’

সেলিমের বন্ধু বাঁশগ্রাম বহুমুখী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক রুপকুমার বলেন, ‘সেলিম ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তার এই অকাল মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের সহধর্মিণী রিক্তাকে (সুমাইয়া) মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন কলটি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, কুমারখালীর বাঁশগ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ২০১০ সালে কুয়েটে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বেও ছিলেন। গত মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে ক্যাম্পাসে তিনি মারা যান। এবং গত বুধবার সকালে গ্রামের বাড়ি বাঁশগ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম ফ্লাইট

৩ আগস্ট বিমানবন্দরে বাধা পান তাপস, হাসিনাকে অনুরোধ করেন অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে- অডিও ফাঁস

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বগুড়ায় দুই মামলায় আ.লীগের ছয় নেতা-কর্মী ১০ দিনের রিমান্ডে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত