Ajker Patrika

তিস্তার চরে ভুট্টার আবাদ ভালো ফলনের আশা

জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২২, ২০: ০০
Thumbnail image

নীলফামারীর তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে চলছে নানা জাতের ফসলের চাষাবাদ। পানি ও সময় কম লাগায় কৃষকেরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন। এ বছর অনুকূল আবহাওয়া ও পোকার আক্রমণ না থাকায় ভুট্টার ভালো ফলনের আশা করছেন তাঁরা। এতে এখানকার কৃষি অর্থনীতিতে যোগ হয়েছে এক নতুন মাত্রা, বদলে দিয়েছে মানুষের জীবন-জীবিকা।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, জেলার ডিমলায় দুই হাজার ৯৪৫ হেক্টর ও জলঢাকায় ৩২৮ হেক্টর জমি চরবেষ্টিত। ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী, টেপাখড়িবাড়ী, পূর্ব ছাতনাই, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী ও শোলমারী ইউনিয়নে তিস্তার ছোটবড় প্রায় ২৩টি জেগে ওঠা চরে ভুট্টার চাষ হচ্ছে। জেলায় গত বছর ২৩ হাজার ৪৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়। চলতি বছর ভুট্টা চাষের জমির পরিমাণ আরও প্রায় দুই হাজার হেক্টর বেড়েছে। প্রতি বছর তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।

সরেজমিন দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ সবুজের সমারোহ। কৃষকেরা কাজে ব্যস্ত। সবুজ পাতায় স্বপ্ন বুনছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে কোথাও কোথাও গাছে ফুল আসা শুরু হয়েছে। কোথাও তরতাজা হয়ে গাছ বেরিয়ে আসছে।

একই এলাকার আরেক কৃষক সমসের আলী বলেন, আমাদের এই চর এলাকায় এক সময় বোরো ধান আবাদ করতাম, বর্তমানে বোরো ধান বাদ দিয়ে আমরা ভুট্টা চাষ করছি। আমি চার বিঘা জায়গায় ভুট্টা লাগাইছি, আমার ৩৫-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষেরা আগে ধান আবাদ করতেন, এখন তাঁরা ভুট্টার আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। এই ঝোঁকার পেছনে কারণ হলো, ভুট্টার আবাদে কৃষকেরা সাশ্রয় পাচ্ছেন। ধান আবাদ করলে চরের মধ্যে পানির বেশি খরচ হতো। কিন্তু ভুট্টায় সে খরচটা হচ্ছে না, আবার কৃষকেরা লাভবান বেশি হচ্ছেন।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী বলেন, এ উপজেলায় ৯টি চর রয়েছে। চরগুলো এক সময় পতিত অবস্থায় থাকত। বর্তমানে আমাদের এলাকার কৃষকেরা সচেতন ও কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় ভুট্টা চাষ অনেকাংশে বেড়েছে। আমি মনে করি, এ বছরে ভুট্টা যে অবস্থা এখানে ভালো ফলন পাবে কৃষক। করবেন বলে আশা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুষ্টিসমৃদ্ধ ভুট্টা লাভজনক ফসল হওয়ায় কৃষকেরা এ আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগ তাদের নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। মাঠকর্মীরা সার্বক্ষণিক তাঁদের পাশে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত