Ajker Patrika

হামলা-সংঘাত-সহিংসতায় ফের উত্তপ্ত মিয়ানমার

রয়টার্স, লন্ডন
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১৫
হামলা-সংঘাত-সহিংসতায় ফের উত্তপ্ত মিয়ানমার

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর দেশটিতে তীব্র গণ-আন্দোলন শুরু হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দমন-পীড়ন শুরু করে জান্তা সরকার। পাশাপাশি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গেও সেনাবাহিনী সংঘর্ষ শুরু হয়, যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং জাতিগত একটি সংখ্যালঘু বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পর বহু শিশুসহ শত শত মানুষ পালিয়ে থাইল্যান্ডের সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম থাই সীমান্ত প্রদেশ তাক কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্যারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর দেশটির প্রায় ৭০০ নাগরিক পালিয়ে থাই শহর মায়ে সোতে আশ্রয় নিয়েছেন।

তবে থাইভিত্তিক মিয়ানমার অভিবাসী গ্রুপ এইড অ্যালায়েন্স কমিটির কর্মকর্তা ইয়ে মিন জানিয়েছেন, সীমান্তের থাই প্রান্তে ৫৪৫ শিশুসহ মোট ২ হাজার ৫০৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে গত বুধবার সংঘর্ষের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে কেএনইউ দাবি করেছে, লড়াইয়ের সময় মিয়ানমারের চার সেনা নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়েছে। তবে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সরকার সমর্থিত পাবলিক ভয়েস টেলিভিশন বলছে, ওই সংঘর্ষে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮ সদস্য নিহত হয়েছে।

রয়টার্স স্বাধীনভাবে এসব দাবি যাচাই করার চেষ্টা করলেও, এ নিয়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে থাইল্যান্ডের তাক প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থাই সীমান্ত থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং কেএনইউ-এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি
মিয়ানমারের ক্যারেন রাজ্যের একটি জঙ্গলে গোপন শিবিরে, সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সশস্ত্র গেরিলাদের সঙ্গে বেসামরিক ব্যক্তিরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। সম্প্রতি এ তথ্য উঠে এসেছে রয়টার্সের অনুসন্ধানে।

দেশজুড়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী এবং অন্যান্য ‘বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী’ সম্পর্কে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের একজন মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

তবে প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, সেনা অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপক বিক্ষোভও তাঁদের নতুন শাসকদের নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস হামলা চালানো হয়েছে। বাধ্য হয়ে তাই অস্ত্র তুলে নিয়েছেন তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত