অনিল মো. মোমিন, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়া রেলস্টেশনে ঢুকলে কানে ভেসে আসবে একটি রেকর্ড করা ঘোষণা। না, সেটি ট্রেন আসার কোনো ঘোষণা নয়। হ্যান্ড মাইক থেকে ভেসে আসা সে রেকর্ড করা কথায় আপনার উদ্দেশে অনুরোধ করা হবে, একটি পত্রিকা কিংবা একটি মাস্ক কেনার জন্য। খেয়াল করলে দেখবেন, এক বাক্ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ হাতে কিছু পত্রিকা আর মাস্ক ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর নাম সালাম শেখ। তিনি গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে এ রেলস্টেশনে পত্রিকা ও মাস্ক বিক্রি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মা-বাবা আর প্রয়াত বড় ভাইয়ের সন্তানসহ সালামদের পরিবার বেশ বড়। তাঁর ছোট ভাই আকাশ এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বাবা আয়নাল শেখ চা, পান, বিস্কুটের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই সঙ্গে তিনি রাতে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রহরী হিসেবেও কাজ করেন। সালামের মা জরিনা খাতুন আগে মানুষের বাসায় ঝিয়ের কাজ করলেও এখন নানা অসুস্থতায় জর্জরিত বলে কাজ করতে পারেন না। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবন্ধী সালাম শেখকেও পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হয়েছে।
সালাম আগে প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়তেন। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এখন তিনি স্কুলে অনিয়মিত। করোনাকালে সালাম শেখ মাছ বিক্রি করতেন। পরে পত্রিকা আর মাস্ক বিক্রি শুরু করেন। ছোট ভাই আকাশও পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারে সহায়তার জন্য রঙের কাজ করতেন।
মোবাইল ফোনে কথা হয় সালামের বাবার সঙ্গে। তাঁর কণ্ঠে বার্ধক্যের ছাপ। বয়স আনুমানিক ৬২ বছর। বেশ কষ্ট করে ছেলেসহ তিনি সংসারে ঘানি টানছেন।শহরের মোল্লা তেঘরিয়ার কাছে তাঁর দোকান। ছেলে প্রতিবন্ধী। বাসায় অসুস্থ স্ত্রী। আরেক ছেলের পড়াশোনা। উপরন্তু নাতি এবার অ্যাডহক কলেজে ভর্তি হয়েছে।তার পড়াশোনার খরচ নিয়েও চিন্তা বাড়ছে। এসব কথা বুঝতে পারেন সালাম। মায়ের অসুস্থতার প্রসঙ্গে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে।
এতক্ষণে সালামের কথাবার্তা কিছুটা বুঝতে পারা যাচ্ছে। তিনি অনেক কথা বলতে চান, বলে চলেনও। তার কিছু বোঝা যায়, কিছু বোঝা যায় না। সালাম জানান, মাথাগোঁজার একটুকরো জায়গা করতে চান পরিবারের জন্য। যেখানে মাকে শান্তিতে রাখা যাবেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ার হাউজিং সি-ব্লকে সরকারি জায়গায় ঘর তুলে কোনোরকম সবাই মিলে থাকেন। কত দিন সেখানে থাকা যাবে, তা তিনি জানেন না।
কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়া রেলস্টেশনে ঢুকলে কানে ভেসে আসবে একটি রেকর্ড করা ঘোষণা। না, সেটি ট্রেন আসার কোনো ঘোষণা নয়। হ্যান্ড মাইক থেকে ভেসে আসা সে রেকর্ড করা কথায় আপনার উদ্দেশে অনুরোধ করা হবে, একটি পত্রিকা কিংবা একটি মাস্ক কেনার জন্য। খেয়াল করলে দেখবেন, এক বাক্ ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ হাতে কিছু পত্রিকা আর মাস্ক ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর নাম সালাম শেখ। তিনি গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে এ রেলস্টেশনে পত্রিকা ও মাস্ক বিক্রি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মা-বাবা আর প্রয়াত বড় ভাইয়ের সন্তানসহ সালামদের পরিবার বেশ বড়। তাঁর ছোট ভাই আকাশ এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। বাবা আয়নাল শেখ চা, পান, বিস্কুটের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই সঙ্গে তিনি রাতে একটি প্রতিষ্ঠানে প্রহরী হিসেবেও কাজ করেন। সালামের মা জরিনা খাতুন আগে মানুষের বাসায় ঝিয়ের কাজ করলেও এখন নানা অসুস্থতায় জর্জরিত বলে কাজ করতে পারেন না। এ পরিস্থিতিতে প্রতিবন্ধী সালাম শেখকেও পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হয়েছে।
সালাম আগে প্রতিবন্ধী স্কুলে পড়তেন। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এখন তিনি স্কুলে অনিয়মিত। করোনাকালে সালাম শেখ মাছ বিক্রি করতেন। পরে পত্রিকা আর মাস্ক বিক্রি শুরু করেন। ছোট ভাই আকাশও পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারে সহায়তার জন্য রঙের কাজ করতেন।
মোবাইল ফোনে কথা হয় সালামের বাবার সঙ্গে। তাঁর কণ্ঠে বার্ধক্যের ছাপ। বয়স আনুমানিক ৬২ বছর। বেশ কষ্ট করে ছেলেসহ তিনি সংসারে ঘানি টানছেন।শহরের মোল্লা তেঘরিয়ার কাছে তাঁর দোকান। ছেলে প্রতিবন্ধী। বাসায় অসুস্থ স্ত্রী। আরেক ছেলের পড়াশোনা। উপরন্তু নাতি এবার অ্যাডহক কলেজে ভর্তি হয়েছে।তার পড়াশোনার খরচ নিয়েও চিন্তা বাড়ছে। এসব কথা বুঝতে পারেন সালাম। মায়ের অসুস্থতার প্রসঙ্গে তাঁর কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে।
এতক্ষণে সালামের কথাবার্তা কিছুটা বুঝতে পারা যাচ্ছে। তিনি অনেক কথা বলতে চান, বলে চলেনও। তার কিছু বোঝা যায়, কিছু বোঝা যায় না। সালাম জানান, মাথাগোঁজার একটুকরো জায়গা করতে চান পরিবারের জন্য। যেখানে মাকে শান্তিতে রাখা যাবেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ার হাউজিং সি-ব্লকে সরকারি জায়গায় ঘর তুলে কোনোরকম সবাই মিলে থাকেন। কত দিন সেখানে থাকা যাবে, তা তিনি জানেন না।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১৩ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪