এনামুল হক, ফুলপুর
মোটা ও চিকন সারের অজুহাত তুলে ফুলপুর উপজেলায় সার ডিলার ও ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঠপর্যায়ে এ ব্যাপারে কোনো তদারকি না থাকায় এটি করা হচ্ছে বলে কৃষকেরা জানান। তবে তদারকির বিষয় নিয়ে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফুলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শুনেছি বেশি দামে চিকন ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। উপযুক্ত প্রমাণ পেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২২ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমি।
কৃষি কার্যালয় আরও জানায়, উপজেলায় সারের ডিলার আছেন ১২ জন। এ ছাড়া সাব ডিলার আছেন ৪২ জন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি এবং কৃষি কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা সার মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ইউরিয়া সারের সরকার নির্ধারিত দাম ৮০০ টাকা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোপণ করা জমিতে এখনই সবচেয়ে বেশি ইউরিয়া সার দেওয়ার উপযুক্ত সময়। আর এ সময়ে মোটা ইউরিয়া (বড় দানাদার) ও চিকন ইউরিয়া (ছোট দানাদার) সারের অজুহাত তুলে তাঁদের কাছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন ডিলার ও ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি ৬০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলার নৈহাটি গ্রামের এহসানুল হক নামে এক কৃষক জানান, তিনি এবার ৩৫ কাঠা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছেন। প্রতি বস্তা চিকন ইউরিয়া ৮৭০ টাকা দরে আমুয়াকান্দা বাজার থেকে দুই বস্তা কিনেছেন।
চর আশাবট গ্রামের আবু মিয়া নামে আরেক কৃষক বলেন, তিনি এক বস্তা চিকন ইউরিয়া সার আমুয়াকান্দা বাজার থেকে ৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন খুচরা সার বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা চিকন ইউরিয়া প্রতি বস্তা ৮৭০ থেকে ৮৮০ টাকা দিয়ে কিনছি।’ এ বিষয়ে আমুয়াকান্দা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা মোটা ইউরিয়া সার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আর চিকন দানাদার ইউরিয়া বিক্রি করছি ৮৭০ থেকে ৯০০ টাকায়।
মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্সের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম হীরা বলেন, চিকন ইউরিয়া সারের সরবরাহ না থাকায় কিছু ব্যবসায়ী ভিন্ন পথে এনে গোপনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে চিকন সারের সরবরাহ মিললে তখন আর বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চিকন ইউরিয়া সারের জন্য কোনো অনুমতি নেই ফুলপুরে। শুনেছি কয়েকজন ডিলার ও ব্যবসায়ী ভিন্ন পথে চিকন দানাদার ইউরিয়া সার এনে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে কৃষকের কাছে বিক্রি করছেন। তবে আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখছি। হাতেনাতে প্রমাণ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফুলপুরে কৃষকের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, চিকন ও মোটা ইউরিয়া সারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এতে ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না বলেও তারা কৃষককে জানাচ্ছেন।
মোটা ও চিকন সারের অজুহাত তুলে ফুলপুর উপজেলায় সার ডিলার ও ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাঠপর্যায়ে এ ব্যাপারে কোনো তদারকি না থাকায় এটি করা হচ্ছে বলে কৃষকেরা জানান। তবে তদারকির বিষয় নিয়ে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফুলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির বিষয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শুনেছি বেশি দামে চিকন ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে। আমরা খোঁজ-খবর রাখছি। উপযুক্ত প্রমাণ পেলেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২২ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমি।
কৃষি কার্যালয় আরও জানায়, উপজেলায় সারের ডিলার আছেন ১২ জন। এ ছাড়া সাব ডিলার আছেন ৪২ জন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি এবং কৃষি কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা সার মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা ইউরিয়া সারের সরকার নির্ধারিত দাম ৮০০ টাকা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোপণ করা জমিতে এখনই সবচেয়ে বেশি ইউরিয়া সার দেওয়ার উপযুক্ত সময়। আর এ সময়ে মোটা ইউরিয়া (বড় দানাদার) ও চিকন ইউরিয়া (ছোট দানাদার) সারের অজুহাত তুলে তাঁদের কাছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন ডিলার ও ব্যবসায়ীরা। বস্তাপ্রতি ৬০ থেকে ১০০ টাকা বেশি নিচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলার নৈহাটি গ্রামের এহসানুল হক নামে এক কৃষক জানান, তিনি এবার ৩৫ কাঠা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছেন। প্রতি বস্তা চিকন ইউরিয়া ৮৭০ টাকা দরে আমুয়াকান্দা বাজার থেকে দুই বস্তা কিনেছেন।
চর আশাবট গ্রামের আবু মিয়া নামে আরেক কৃষক বলেন, তিনি এক বস্তা চিকন ইউরিয়া সার আমুয়াকান্দা বাজার থেকে ৯০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন খুচরা সার বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা চিকন ইউরিয়া প্রতি বস্তা ৮৭০ থেকে ৮৮০ টাকা দিয়ে কিনছি।’ এ বিষয়ে আমুয়াকান্দা বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা মোটা ইউরিয়া সার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। আর চিকন দানাদার ইউরিয়া বিক্রি করছি ৮৭০ থেকে ৯০০ টাকায়।
মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্সের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম হীরা বলেন, চিকন ইউরিয়া সারের সরবরাহ না থাকায় কিছু ব্যবসায়ী ভিন্ন পথে এনে গোপনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তবে চিকন সারের সরবরাহ মিললে তখন আর বেশি দামে বিক্রি করতে পারবে না বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে ফুলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চিকন ইউরিয়া সারের জন্য কোনো অনুমতি নেই ফুলপুরে। শুনেছি কয়েকজন ডিলার ও ব্যবসায়ী ভিন্ন পথে চিকন দানাদার ইউরিয়া সার এনে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে কৃষকের কাছে বিক্রি করছেন। তবে আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর রাখছি। হাতেনাতে প্রমাণ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফুলপুরে কৃষকের বিভিন্ন সভা-সমাবেশে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, চিকন ও মোটা ইউরিয়া সারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এতে ফসলের কোনো ক্ষতি হয় না বলেও তারা কৃষককে জানাচ্ছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪