নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু পদ্মা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে ৪২টি পিলার ও ৪১টি স্টিলের তৈরি কাঠামোর ওপর। দ্বিতল এই সেতুর ওপরে রয়েছে সড়কপথ, নিচে রেলপথ। এই সেতুর পিলার ও স্প্যানের মাঝে একধরনের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে, যার একেকটির ওজন ১০০ টন বা ১ লাখ কেজি। পুরো সেতুতে এমন ৯৬টি বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে।
বিয়ারিং সব সেতুতেই ব্যবহার করা হয়। মূলত সেতুতে যান চলাচলের সময় যে কম্পন হয়, তাতে যেন সেতুর কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্যই এ বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়। পদ্মা নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং এর ওপর নির্মিত সেতুর ওপর চলাচলকারী সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ভারবাহী যানবাহনের কথা মাথায় রেখে এতে উচ্চমানের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প, বাইরে থেকে সেতুতে পড়া চাপ, দুর্ঘটনা ইত্যাদিকেও আমলে নেওয়া হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ঘাতসহ বিয়ারিং ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগে বিশ্বের আর কোনো সেতুতে এমন বিয়ারিং ব্যবহৃত হয়নি।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) আহম্মদ আহসান উল্লাহ মজুমদার বলেন, পৃথিবীতে এর আগে এমন বড় বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়নি কোনো সেতুতে। এটি একটি রেকর্ড। পুরো সেতুতে পাঁচ ধরনের ৯৬টি বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি স্প্যানের সঙ্গে দুটি করে বিয়ারিং ব্যবহার হয়েছে। আর সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে চারটি করে বিয়ারিং ব্যবহার হয়েছে।
এই বিশেষ ধরনের বিয়ারিংকে প্রকৌশলের ভাষায় বলে ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং। এগুলো মূলত ভূমিকম্প বা উচ্চমাত্রার কম্পনের সময় মূল অবকাঠামোকে আনুভূমিকভাবে নড়তে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে সেতুর ওপর পড়া চাপ বা কম্পনের ফলে সৃষ্ট চাপকে প্রশমিত করা হয়। পদ্মা সেতুকে ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ রাখতে উচ্চ ভরের এসব বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে আহসান উল্লাহ বলেন, এসব বিয়ারিং উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও এসব বিয়ারিংয়ের কারণে সেতুর বড় ধরনের ক্ষতি হবে না। এই বিয়ারিংয়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, সেতুতে যত ধরনের লোড হবে, তা এগুলো নিয়ে নেবে। তারপর সেই লোড সুপারস্ট্রাকচারে স্থানান্তর করে দেবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শুধু ভূমিকম্প বা এতে চলাচলকারী যানবাহনের ভারকেই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। পদ্মা নদী দিয়ে যেহেতু নৌযানও চলাচল করে, সেহেতু এর নকশার সময় এ বিষয়কে মাথায় রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এ প্রকৌশলী জানান, সেতুর নকশা প্রণয়নের সময় ধরে নেওয়া হয়েছে, এই নদী দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টন সক্ষমতার নৌযান চলাচল করবে। ফলে ৪ হাজার টন সক্ষমতার নৌযানও সেতুর পিলারে ধাক্কা দিতে পারে—এমনটা বিবেচনায় নিয়েই নকশা করা হয়েছে। অর্থাৎ চার হাজার টনের জাহাজ আঘাত করলেও সেতুর মূল ভিত্তি বা পুরো অবকাঠামোর মৌলিক কোনো ক্ষতি হবে না।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু পদ্মা। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দাঁড়িয়ে আছে ৪২টি পিলার ও ৪১টি স্টিলের তৈরি কাঠামোর ওপর। দ্বিতল এই সেতুর ওপরে রয়েছে সড়কপথ, নিচে রেলপথ। এই সেতুর পিলার ও স্প্যানের মাঝে একধরনের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে, যার একেকটির ওজন ১০০ টন বা ১ লাখ কেজি। পুরো সেতুতে এমন ৯৬টি বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে।
বিয়ারিং সব সেতুতেই ব্যবহার করা হয়। মূলত সেতুতে যান চলাচলের সময় যে কম্পন হয়, তাতে যেন সেতুর কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্যই এ বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়। পদ্মা নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং এর ওপর নির্মিত সেতুর ওপর চলাচলকারী সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ভারবাহী যানবাহনের কথা মাথায় রেখে এতে উচ্চমানের বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প, বাইরে থেকে সেতুতে পড়া চাপ, দুর্ঘটনা ইত্যাদিকেও আমলে নেওয়া হয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় পদ্মা সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ঘাতসহ বিয়ারিং ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগে বিশ্বের আর কোনো সেতুতে এমন বিয়ারিং ব্যবহৃত হয়নি।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী (সেতু) আহম্মদ আহসান উল্লাহ মজুমদার বলেন, পৃথিবীতে এর আগে এমন বড় বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়নি কোনো সেতুতে। এটি একটি রেকর্ড। পুরো সেতুতে পাঁচ ধরনের ৯৬টি বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি স্প্যানের সঙ্গে দুটি করে বিয়ারিং ব্যবহার হয়েছে। আর সেতুর এক্সপানশন জয়েন্টে চারটি করে বিয়ারিং ব্যবহার হয়েছে।
এই বিশেষ ধরনের বিয়ারিংকে প্রকৌশলের ভাষায় বলে ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং। এগুলো মূলত ভূমিকম্প বা উচ্চমাত্রার কম্পনের সময় মূল অবকাঠামোকে আনুভূমিকভাবে নড়তে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে সেতুর ওপর পড়া চাপ বা কম্পনের ফলে সৃষ্ট চাপকে প্রশমিত করা হয়। পদ্মা সেতুকে ভূমিকম্পের সময় নিরাপদ রাখতে উচ্চ ভরের এসব বিয়ারিং ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে আহসান উল্লাহ বলেন, এসব বিয়ারিং উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করবে। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও এসব বিয়ারিংয়ের কারণে সেতুর বড় ধরনের ক্ষতি হবে না। এই বিয়ারিংয়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, সেতুতে যত ধরনের লোড হবে, তা এগুলো নিয়ে নেবে। তারপর সেই লোড সুপারস্ট্রাকচারে স্থানান্তর করে দেবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
শুধু ভূমিকম্প বা এতে চলাচলকারী যানবাহনের ভারকেই বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। পদ্মা নদী দিয়ে যেহেতু নৌযানও চলাচল করে, সেহেতু এর নকশার সময় এ বিষয়কে মাথায় রাখা হয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এ প্রকৌশলী জানান, সেতুর নকশা প্রণয়নের সময় ধরে নেওয়া হয়েছে, এই নদী দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ হাজার টন সক্ষমতার নৌযান চলাচল করবে। ফলে ৪ হাজার টন সক্ষমতার নৌযানও সেতুর পিলারে ধাক্কা দিতে পারে—এমনটা বিবেচনায় নিয়েই নকশা করা হয়েছে। অর্থাৎ চার হাজার টনের জাহাজ আঘাত করলেও সেতুর মূল ভিত্তি বা পুরো অবকাঠামোর মৌলিক কোনো ক্ষতি হবে না।
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪