সংস্কার প্রস্তাবের আরেক বিল বাতিল থাই আইনসভায়

২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের নেতারা থাইল্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোর ব্যাপক রদবদল করেন। ছেঁটে দেয় বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের হাত-পা। ২০১৯ সাল থেকে কিছুটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হওয়ার পর থেকে আঁতুড় হয়ে পড়া বিভাগগুলোকে সুস্থ করার তৎপরতা শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দেশটির আইনসভায় একটি প্রস্তাব আনা হয়, যা সামরিক সমর্থক সাংসদেরা বাতিল করে দেন।

থাইল্যান্ডের আইনসভার নিম্নকক্ষ ও সিনেটের একটি যৌথ সেশনে উল্লিখিত বিভাগগুলোর মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন সুস্পষ্ট করার জন্য গতকালের বিলটি আনা হয়, যেখানে ২০১৭ সালে জান্তার পাস করা সংবিধান ও জান্তা নিয়ন্ত্রিত ২৫০ আসনের সিনেট বাতিল, সংবিধান পুনর্গঠন এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের কথা বলা হয়েছে।

১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের স্বাক্ষরিত প্রস্তাবটি গতকাল আইনসভার যৌথ সেশনে উত্থাপন করা হয়। আলোচনা শেষে ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের বিপক্ষে ৪৭৩টি আর পক্ষে ২০৬টি ভোট পড়ে। অর্থাৎ সেনাবাহিনীর নিয়োগ দেওয়া সিনেটর এবং সেনা সমর্থক সাংসদের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।

বিলটির প্রস্তাবকারীদের প্রতিনিধি পরিত ওয়াচারসিন্ধু সাংসদদের বলেন, ‘২০১৭ সালের সংবিধান অভ্যুত্থানের নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জেনারেল প্রয়ুথ চান-ওচার ক্ষমতাকে নিরাপদ এবং বাড়াতে সহায়তা করছে। তাই রাষ্ট্রের স্বাধীন বিভাগগুলোকে ঢেলে সাজানো দরকার।’

সামরিক সরকার সমর্থক সাংসদেরা জানান, বর্তমান সংবিধান গণভোটে পাস হওয়ায় তা চাইলেই বাতিল করা যাবে না। তা ছাড়া রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থান দরকার ছিল বলেও তারা মত দেন।

২০১৯ সালের নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সংস্কারের জন্য এ পর্যন্ত ২১টি বিল এসেছে থাইল্যান্ডের সংসদে। তার মধ্যে ভোট ব্যবস্থা পরিবর্তনবিষয়ক মাত্র একটি বিল ছাড়া বাকি ২০টা বাতিল হয়ে গেছে।

১৯৩২ সালে রাজতন্ত্র অবসানের পর থাইল্যান্ড এ পর্যন্ত ২০টি সংবিধানের দেখা পেয়েছে।