রাসেল আহমেদ, তেরখাদা (খুলনা)
খুলনার তেরখাদা উপজেলায় শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবনমানের পরিবর্তন হচ্ছে। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালনসহ বাড়ির আঙিনায় শাকসবজি চাষ করে সচ্ছল হচ্ছেন তাঁরা। ভাগ্যবদলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি নিজেরাই নানা উদ্যোগ নিয়েছেন একসময়ের আশ্রয়হীন মানুষগুলো।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ছাগলাদহ ইউনিয়নের কোদলা এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪০টি ঘর রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা বাড়ির আঙিনায় শাকসবজির চাষ করছেন। পালন করছেন হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল। শাকসবজির পাশাপাশি হাঁস-মুরগি, ডিম-দুধ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন তাঁরা। সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন।
কোদলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জামিলা বেগম জানান, আগে স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কোনো রকমে জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে থাকতেন। দিনমজুর স্বামী মাসুদ মোল্লার সামান্য আয় দিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনো রকমে দিন কাটত তাঁদের। অর্থের অভাবে সন্তানদের ভালো পড়াশোনা, জামাকাপড় ও পুষ্টিকর খাবারের জোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ত। কিন্তু ২০২১ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর পেয়ে জীবন বদলে গেছে তাঁদের।
ঘরের সামনের আঙিনায় মৌসুমি শাকসবজির চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি কোদলা বাজারে বিক্রি করেন। তা ছাড়া সংসারের কাজের পাশাপাশি ছাগল পালন করে বাড়তি আয় করেন তিনি। তাঁর স্বামী দিনমজুরের পাশাপাশি সবজিবাগানে কাজ করেন। বর্তমানে এই আয় থেকে চলছে তাঁর সংসার ও ছেলেমেয়ের ভরণপোষণ। স্বাবলম্বী হতে পেরে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের অপর বাসিন্দা আম্বিয়া বেগম বলেন, ‘সংসারের কাজের পর রাত-দিন সেলাই মেশিন চালিয়ে আশ্রয়ণ ও আশপাশের লোকজনের জামাকাপড় তৈরি করি। স্বামী দিনমজুরের পাশাপাশি বাঁশ ও বেতের ঝুড়ি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। আশ্রয়ণের অন্য বাসিন্দাদের মতো আমি ও আমার স্বামী ঘরের আঙিনায় শাকসবজির চাষ করি। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি পাশের কোদলা বাজারে বিক্রি করি।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন, ‘প্রায় ১১০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় ধাপে ৬৫টি ঘরের নির্মাণকাজ চলমান। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যোগ্যদের চিহ্নিত করে জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অসহায় ও আশ্রয়হীন মানুষদের জন্য আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করে যুগান্তকারী মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবিদা সুলতানা বলেন, ‘আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাঁদের সহযোগিতা করছি।’
খুলনার তেরখাদা উপজেলায় শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবনমানের পরিবর্তন হচ্ছে। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালনসহ বাড়ির আঙিনায় শাকসবজি চাষ করে সচ্ছল হচ্ছেন তাঁরা। ভাগ্যবদলে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার পাশাপাশি নিজেরাই নানা উদ্যোগ নিয়েছেন একসময়ের আশ্রয়হীন মানুষগুলো।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ছাগলাদহ ইউনিয়নের কোদলা এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪০টি ঘর রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা বাড়ির আঙিনায় শাকসবজির চাষ করছেন। পালন করছেন হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল। শাকসবজির পাশাপাশি হাঁস-মুরগি, ডিম-দুধ বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছেন তাঁরা। সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন।
কোদলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জামিলা বেগম জানান, আগে স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে কোনো রকমে জরাজীর্ণ একটি বাড়িতে থাকতেন। দিনমজুর স্বামী মাসুদ মোল্লার সামান্য আয় দিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যে কোনো রকমে দিন কাটত তাঁদের। অর্থের অভাবে সন্তানদের ভালো পড়াশোনা, জামাকাপড় ও পুষ্টিকর খাবারের জোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ত। কিন্তু ২০২১ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর পেয়ে জীবন বদলে গেছে তাঁদের।
ঘরের সামনের আঙিনায় মৌসুমি শাকসবজির চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি কোদলা বাজারে বিক্রি করেন। তা ছাড়া সংসারের কাজের পাশাপাশি ছাগল পালন করে বাড়তি আয় করেন তিনি। তাঁর স্বামী দিনমজুরের পাশাপাশি সবজিবাগানে কাজ করেন। বর্তমানে এই আয় থেকে চলছে তাঁর সংসার ও ছেলেমেয়ের ভরণপোষণ। স্বাবলম্বী হতে পেরে তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের অপর বাসিন্দা আম্বিয়া বেগম বলেন, ‘সংসারের কাজের পর রাত-দিন সেলাই মেশিন চালিয়ে আশ্রয়ণ ও আশপাশের লোকজনের জামাকাপড় তৈরি করি। স্বামী দিনমজুরের পাশাপাশি বাঁশ ও বেতের ঝুড়ি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। আশ্রয়ণের অন্য বাসিন্দাদের মতো আমি ও আমার স্বামী ঘরের আঙিনায় শাকসবজির চাষ করি। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি পাশের কোদলা বাজারে বিক্রি করি।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন, ‘প্রায় ১১০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তৃতীয় ধাপে ৬৫টি ঘরের নির্মাণকাজ চলমান। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যোগ্যদের চিহ্নিত করে জমি ও ঘর দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অসহায় ও আশ্রয়হীন মানুষদের জন্য আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করে যুগান্তকারী মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবিদা সুলতানা বলেন, ‘আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাঁদের সহযোগিতা করছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪