আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
সিন্ডিকেট থেকে বের হতে পারছে না চট্টগ্রামের ১৬টি খাদ্যগুদাম হ্যান্ডলিংয়ের (লোড-আনলোড) ঠিকাদারি ব্যবস্থা। বারবারই একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হচ্ছে।
কাজ না পাওয়া ঠিকাদারদের অভিযোগ, খাদ্য বিভাগের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে একটি সিন্ডিকেটকে কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। এ প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের মধ্যে ৮২ জন সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছেন।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সবকিছু অধিদপ্তর থেকে হয়ে থাকে। এখানে তাঁদের করার কিছু নেই।
অভিযোগ ও বঞ্চিত ঠিকাদার সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম (সিএসডি) ও হালিশহর দেওয়ানহাট কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামের ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে আগের সেশনে নিয়োগ থাকা দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একই কায়দায় চট্টগ্রামের আরও ১৬টি খাদ্যগুদাম হ্যান্ডলিংয়ের ঠিকাদারি কাজ পাওয়ার তদবির করছে একই সিন্ডিকেট। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮২ জন ঠিকাদারের করা আবেদনে বর্তমান স্ট্যান্ডার্ড টেন্ডার ডকুমেন্ট (এসটিডি) বাতিল করে আগের মতো লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, খাদ্য বিভাগের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে একটি সিন্ডিকেটকে কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা এবং তড়িঘড়ি করে ঠিকাদার নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে চট্টগ্রামের ১৬টি খাদ্যগুদাম হ্যান্ডলিংয়ে ঠিকাদারি দরপত্র কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) ফকরুল আলম সীমিত কয়েকজন ঠিকাদারের কাজ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের করার কিছু নেই। এসটিডিতে সবকিছু অধিদপ্তর থেকে হয়ে থাকে।’ দরপত্রটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান ফকরুল আলম।
খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় গত ২০ ডিসেম্বর জেলার ১৬টি এলএসডি খাদ্যগুদামে দুই বছরের জন্য শ্রম ও হস্তার্পণ (হ্যান্ডলিং) ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করে। গত ১৪ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, হাবিলদারবাসা, হাটহাজারী, কাটিরহাট, নাজিরহাট, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চানপুরঘাট ও আনোয়ারা খাদ্যগুদামে হ্যান্ডলিংয়ের দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে ১১৬ জন ঠিকাদার অংশগ্রহণ করেন।
ঠিকাদারেরা জানান, সিন্ডিকেটকে সহজেই কাজ পাইয়ে দিতে দরদাতার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে খাদ্য বিভাগের অসাধু কয়েকজন কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে দরপত্রের বিশেষ শর্ত যুক্ত করে দেন। ১০০ নম্বরভিত্তিক দরপত্রের মানদণ্ডে ৩ এবং ৪-এ যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তার শতভাগ সীমিত প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। সর্বোচ্চ পরিমাণ ও সরবরাহকৃত সর্বোচ্চ শ্রমিকের সংখ্যাকে যথাক্রমে ৪০ নম্বরের বিশেষ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যা সিন্ডিকেটকে কাজ দিতেই আয়োজন।
৮২ জন ঠিকাদারের করা আবেদনে বলা হয়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় অনুশাসন উপেক্ষিত হয়েছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র হবে না।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট সিএসডি গুদাম হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জয় কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হক এবং হালিশহর সিএসডি গুদামের দায়িত্ব পেয়েছেন মেসার্স রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিন্ডিকেট থেকে বের হতে পারছে না চট্টগ্রামের ১৬টি খাদ্যগুদাম হ্যান্ডলিংয়ের (লোড-আনলোড) ঠিকাদারি ব্যবস্থা। বারবারই একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হচ্ছে।
কাজ না পাওয়া ঠিকাদারদের অভিযোগ, খাদ্য বিভাগের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে একটি সিন্ডিকেটকে কাজ পাইয়ে দিচ্ছেন। এ প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারদের মধ্যে ৮২ জন সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছেন।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভাষ্য, সবকিছু অধিদপ্তর থেকে হয়ে থাকে। এখানে তাঁদের করার কিছু নেই।
অভিযোগ ও বঞ্চিত ঠিকাদার সূত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম (সিএসডি) ও হালিশহর দেওয়ানহাট কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদামের ঠিকাদারি কাজ পেয়েছে আগের সেশনে নিয়োগ থাকা দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। একই কায়দায় চট্টগ্রামের আরও ১৬টি খাদ্যগুদাম হ্যান্ডলিংয়ের ঠিকাদারি কাজ পাওয়ার তদবির করছে একই সিন্ডিকেট। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৮২ জন ঠিকাদারের করা আবেদনে বর্তমান স্ট্যান্ডার্ড টেন্ডার ডকুমেন্ট (এসটিডি) বাতিল করে আগের মতো লটারির মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার বলেন, খাদ্য বিভাগের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে একটি সিন্ডিকেটকে কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা এবং তড়িঘড়ি করে ঠিকাদার নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে চট্টগ্রামের ১৬টি খাদ্যগুদাম হ্যান্ডলিংয়ে ঠিকাদারি দরপত্র কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) ফকরুল আলম সীমিত কয়েকজন ঠিকাদারের কাজ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের করার কিছু নেই। এসটিডিতে সবকিছু অধিদপ্তর থেকে হয়ে থাকে।’ দরপত্রটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান ফকরুল আলম।
খাদ্য বিভাগ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় গত ২০ ডিসেম্বর জেলার ১৬টি এলএসডি খাদ্যগুদামে দুই বছরের জন্য শ্রম ও হস্তার্পণ (হ্যান্ডলিং) ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করে। গত ১৪ জানুয়ারি দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, হাবিলদারবাসা, হাটহাজারী, কাটিরহাট, নাজিরহাট, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চানপুরঘাট ও আনোয়ারা খাদ্যগুদামে হ্যান্ডলিংয়ের দরপত্র গ্রহণ করা হয়। এতে ১১৬ জন ঠিকাদার অংশগ্রহণ করেন।
ঠিকাদারেরা জানান, সিন্ডিকেটকে সহজেই কাজ পাইয়ে দিতে দরদাতার যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে খাদ্য বিভাগের অসাধু কয়েকজন কর্মকর্তা পরস্পর যোগসাজশে দরপত্রের বিশেষ শর্ত যুক্ত করে দেন। ১০০ নম্বরভিত্তিক দরপত্রের মানদণ্ডে ৩ এবং ৪-এ যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তার শতভাগ সীমিত প্রতিষ্ঠানের রয়েছে। সর্বোচ্চ পরিমাণ ও সরবরাহকৃত সর্বোচ্চ শ্রমিকের সংখ্যাকে যথাক্রমে ৪০ নম্বরের বিশেষ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যা সিন্ডিকেটকে কাজ দিতেই আয়োজন।
৮২ জন ঠিকাদারের করা আবেদনে বলা হয়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয় অনুশাসন উপেক্ষিত হয়েছে। এতে সরকারের কোটি কোটি টাকা অপচয় হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র হবে না।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম দেওয়ানহাট সিএসডি গুদাম হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জয় কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হক এবং হালিশহর সিএসডি গুদামের দায়িত্ব পেয়েছেন মেসার্স রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আব্দুর রাজ্জাক। তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪