জহিরুল আলম পিলু, কদমতলী
সাধারণত দুর্ঘটনা রোধে রাস্তায় তৈরি করা হয় স্পিড ব্রেকার বা গতিরোধক। এসব গতিরোধক স্থাপন করা হয় দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায়। কিন্তু রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর, ডেমরাসহ আশপাশের এলাকার প্রধান রাস্তা ও অলিগলিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্পিড ব্রেকার। এসব স্পিড ব্রেকার দুর্ঘটনা রোধের বদলে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যক্তি উদ্যোগে যত্রতত্র তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য গতিরোধক। সরু ও উঁচু এসব গতিরোধকে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন ছোট-বড় যানবাহন ও যাত্রীরা। শুধু তা-ই নয়, এসব গতিরোধকে রং না থাকায় প্রায়ই ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। জুরাইন কমিশনার রোডের কয়েকজন রিকশা ও অটোচালক জানান, রং ছাড়া এসব গতিরোধক রাতের আঁধারে খেয়াল করা যায় না। অনেক সময় রাতে গাড়ি গতিতে চালানো অবস্থায় কাছে এসে গতিরোধক চোখে পড়ে। ফলে হঠাৎ গতি কমানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। রিকশা আরোহী নুরজাহান বেগম বলেন, ঘন ঘন ছোট এসব স্পিড ব্রেকারে অনেক ঝাঁকুনি লাগে। মনে হয় কোমরের হাড় ভেঙে গেল।
মীরহাজীরবাগ রোডে চলাচলরত ও এলাকার বাসিন্দা আশিক জানান, ব্যস্ততম রাস্তাসহ অলিগলিতে তৈরি করা অনেক গতিরোধক আছে। যেখানে গাড়ির গতি কমিয়েও পার হওয়া যায় না। রাতে এ ধরনের গতিরোধকে কয়েকবার দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। গাড়িরও ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়মনীতি মেনে এগুলো তৈরি করা দরকার। সেই সঙ্গে গতিরোধকগুলোতে রং ও সতর্কসংকেত দেওয়াও জরুরি।
মীরহাজীরবাগ রাস্তার দোলাইরপাড় থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) তৈরি করেছে ৮টি গতিরোধক। এগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে হালকা রং থাকলেও বেশির ভাগ গতিরোধকে নেই রং। নেই কোনো সংকেতও। লরিচালক সামাদ জানান, এটি একটি ব্যস্ততম রাস্তা। অনেক সময় রাতের আঁধারে দূর থেকে খেয়াল করা যায় না। ফলে কাছে এসে চোখে পড়লে দ্রুতগতির গাড়ির গতি কমানো মুশকিল হয়ে যায়। অনেক সময় দ্রুত থামাতে গেলে পেছনের গাড়ির গতির কারণে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।
দনিয়া রাস্তার দোলাইরপাড় থেকে দনিয়া হয়ে শনির আখড়া পর্যন্ত এলাকার প্রায় সোয়া কিলোমিটার শাখার রাস্তায় রয়েছে ৯টি গতিরোধক। এগুলোর মধ্যে একটি স্কুল ও একটি মসজিদের সামনে রয়েছে ৪টি গতিরোধক। এই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাস্তা ও গতিরোধকের চেহারা বা রং একই হওয়ায় তা চোখে পড়ে না। ফলে প্রায় ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
জুরাইন খন্দকার রোডে রয়েছে ৫-৬টি সরু আকারের গতিরোধক। এই এলাকার জসিম জানান, সিটি করপোরেশনের রাস্তায় এলাকার কিছু বাসিন্দা এসব তৈরি করেন। ফলে বয়স্ক ব্যক্তি, রোগী ও রাতে কম দেখা ব্যক্তিরা পড়েন দুর্ভোগে। যাত্রাবাড়ীর শেখপাড়া মহল্লার রাস্তায় একটু পর পর তৈরি করা হয়েছে ৪-৫টি গতিরোধক। সে এলাকার রুবেল বলেন, মহল্লার ভেতর যে যেভাবে পারছে, ইচ্ছেমতো স্পিড ব্রেকার তৈরি করছে। রাতে অনেক সময় খেয়াল না করে চলাচল করায় অনেকেই দুর্ঘটনায় পড়ে।
এদিকে ডিএসসিসির তথ্যমতে, সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস-আদালত ও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্পিড ব্রেকারে অবশ্যই রং বা সতর্কসংকেত থাকতে হবে। ডিএসসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল) রাজীব খাদেম বলেন, স্পিড ব্রেকারে অবশ্যই রং থাকতে হবে। আমরা প্রধান রাস্তায় বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং প্রতিবছরই রং দেওয়া হয়। পাড়া-মহল্লায় জনগণ স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে স্পিড ব্রেকার বানিয়ে নেন। তবে এর বাইরে মহল্লার অলিগলিতে জনগণ ইচ্ছেমতো স্পিড ব্রেকার দিতে পারেন না।
সাধারণত দুর্ঘটনা রোধে রাস্তায় তৈরি করা হয় স্পিড ব্রেকার বা গতিরোধক। এসব গতিরোধক স্থাপন করা হয় দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায়। কিন্তু রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর, ডেমরাসহ আশপাশের এলাকার প্রধান রাস্তা ও অলিগলিতে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্পিড ব্রেকার। এসব স্পিড ব্রেকার দুর্ঘটনা রোধের বদলে দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই ব্যক্তি উদ্যোগে যত্রতত্র তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য গতিরোধক। সরু ও উঁচু এসব গতিরোধকে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন ছোট-বড় যানবাহন ও যাত্রীরা। শুধু তা-ই নয়, এসব গতিরোধকে রং না থাকায় প্রায়ই ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। জুরাইন কমিশনার রোডের কয়েকজন রিকশা ও অটোচালক জানান, রং ছাড়া এসব গতিরোধক রাতের আঁধারে খেয়াল করা যায় না। অনেক সময় রাতে গাড়ি গতিতে চালানো অবস্থায় কাছে এসে গতিরোধক চোখে পড়ে। ফলে হঠাৎ গতি কমানোর ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। রিকশা আরোহী নুরজাহান বেগম বলেন, ঘন ঘন ছোট এসব স্পিড ব্রেকারে অনেক ঝাঁকুনি লাগে। মনে হয় কোমরের হাড় ভেঙে গেল।
মীরহাজীরবাগ রোডে চলাচলরত ও এলাকার বাসিন্দা আশিক জানান, ব্যস্ততম রাস্তাসহ অলিগলিতে তৈরি করা অনেক গতিরোধক আছে। যেখানে গাড়ির গতি কমিয়েও পার হওয়া যায় না। রাতে এ ধরনের গতিরোধকে কয়েকবার দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। গাড়িরও ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, নিয়মনীতি মেনে এগুলো তৈরি করা দরকার। সেই সঙ্গে গতিরোধকগুলোতে রং ও সতর্কসংকেত দেওয়াও জরুরি।
মীরহাজীরবাগ রাস্তার দোলাইরপাড় থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তার উভয় পাশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) তৈরি করেছে ৮টি গতিরোধক। এগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে হালকা রং থাকলেও বেশির ভাগ গতিরোধকে নেই রং। নেই কোনো সংকেতও। লরিচালক সামাদ জানান, এটি একটি ব্যস্ততম রাস্তা। অনেক সময় রাতের আঁধারে দূর থেকে খেয়াল করা যায় না। ফলে কাছে এসে চোখে পড়লে দ্রুতগতির গাড়ির গতি কমানো মুশকিল হয়ে যায়। অনেক সময় দ্রুত থামাতে গেলে পেছনের গাড়ির গতির কারণে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে।
দনিয়া রাস্তার দোলাইরপাড় থেকে দনিয়া হয়ে শনির আখড়া পর্যন্ত এলাকার প্রায় সোয়া কিলোমিটার শাখার রাস্তায় রয়েছে ৯টি গতিরোধক। এগুলোর মধ্যে একটি স্কুল ও একটি মসজিদের সামনে রয়েছে ৪টি গতিরোধক। এই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, রাস্তা ও গতিরোধকের চেহারা বা রং একই হওয়ায় তা চোখে পড়ে না। ফলে প্রায় ঘটে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
জুরাইন খন্দকার রোডে রয়েছে ৫-৬টি সরু আকারের গতিরোধক। এই এলাকার জসিম জানান, সিটি করপোরেশনের রাস্তায় এলাকার কিছু বাসিন্দা এসব তৈরি করেন। ফলে বয়স্ক ব্যক্তি, রোগী ও রাতে কম দেখা ব্যক্তিরা পড়েন দুর্ভোগে। যাত্রাবাড়ীর শেখপাড়া মহল্লার রাস্তায় একটু পর পর তৈরি করা হয়েছে ৪-৫টি গতিরোধক। সে এলাকার রুবেল বলেন, মহল্লার ভেতর যে যেভাবে পারছে, ইচ্ছেমতো স্পিড ব্রেকার তৈরি করছে। রাতে অনেক সময় খেয়াল না করে চলাচল করায় অনেকেই দুর্ঘটনায় পড়ে।
এদিকে ডিএসসিসির তথ্যমতে, সাধারণত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস-আদালত ও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্পিড ব্রেকারে অবশ্যই রং বা সতর্কসংকেত থাকতে হবে। ডিএসসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল) রাজীব খাদেম বলেন, স্পিড ব্রেকারে অবশ্যই রং থাকতে হবে। আমরা প্রধান রাস্তায় বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং প্রতিবছরই রং দেওয়া হয়। পাড়া-মহল্লায় জনগণ স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে স্পিড ব্রেকার বানিয়ে নেন। তবে এর বাইরে মহল্লার অলিগলিতে জনগণ ইচ্ছেমতো স্পিড ব্রেকার দিতে পারেন না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪