আরিফুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম
মুক্তাঞ্চলখ্যাত কুড়িগ্রামের রৌমারীতে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন মোক্তার হোসেন সরকার। অস্ত্র হাতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ শেষে অস্ত্র জমা দিয়ে নেমে পড়েন জীবিকার তাগিদে। দেশের প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও জীবনযুদ্ধের কর্মব্যস্ততায় সরকারি তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে পারেননি তিনি। দেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করলেও আজও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি তাঁর।
মোক্তারের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সাক্ষ্যপ্রমাণ ও দলিল থাকলেও গেজেটভুক্ত হতে না পারায় ব্যথিত হচ্ছেন তিনি।
মোক্তার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি বয়সে তরুণ। একাত্তরের জুলাই মাসে দেশের টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিই। ১১ নম্বর সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান, কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেম চাঁদ ও ৪ নম্বর প্লাটুন কমান্ডার আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিই। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তৎকালীন অধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানী সাহেবের দেওয়া সনদও রয়েছে আমার।’
যুদ্ধের স্মৃতি আওড়াতে গিয়ে মোক্তার বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শেষে কয়েকটি অপারেশনে অংশ নিই। উলিপুরের শিববাড়ীতে অপারেশন চালিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে বহনকারী ট্রেন লাইনচ্যুত করি আমরা। ওই অপারেশনে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি বাহিনী নিহত হয়।’
১৯৭১-এর আগস্টে রাজীবপুরের কোদালকাটিতে ভয়াবহ এক সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। কোদালকাটির সেই যুদ্ধে অংশ নেওয়ার গৌরব এখনো আলোড়িত করে মোক্তারকে। এ রকম আরও কয়েক প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন বলে জানান তিনি।
মোক্তার আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে জীবিকার প্রয়োজনে আমি চট্টগ্রামে থাকায় সময়মতো গেজেটের জন্য আবেদন করতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে। যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সব দলিল ও সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকতেও আমি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
যুদ্ধে মোক্তারের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর সহযোদ্ধা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আ. সালাম মিয়া, মকবুল হোসেন ও খবির উদ্দিন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি।’
মুক্তাঞ্চলখ্যাত কুড়িগ্রামের রৌমারীতে গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন মোক্তার হোসেন সরকার। অস্ত্র হাতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধ শেষে অস্ত্র জমা দিয়ে নেমে পড়েন জীবিকার তাগিদে। দেশের প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিলেও জীবনযুদ্ধের কর্মব্যস্ততায় সরকারি তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে পারেননি তিনি। দেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করলেও আজও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি মেলেনি তাঁর।
মোক্তারের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নে। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সাক্ষ্যপ্রমাণ ও দলিল থাকলেও গেজেটভুক্ত হতে না পারায় ব্যথিত হচ্ছেন তিনি।
মোক্তার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি বয়সে তরুণ। একাত্তরের জুলাই মাসে দেশের টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিই। ১১ নম্বর সেক্টরের সাবসেক্টর কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান, কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেম চাঁদ ও ৪ নম্বর প্লাটুন কমান্ডার আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিই। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর তৎকালীন অধিনায়ক আতাউল গনি ওসমানী সাহেবের দেওয়া সনদও রয়েছে আমার।’
যুদ্ধের স্মৃতি আওড়াতে গিয়ে মোক্তার বলেন, ‘প্রশিক্ষণ শেষে কয়েকটি অপারেশনে অংশ নিই। উলিপুরের শিববাড়ীতে অপারেশন চালিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে বহনকারী ট্রেন লাইনচ্যুত করি আমরা। ওই অপারেশনে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি বাহিনী নিহত হয়।’
১৯৭১-এর আগস্টে রাজীবপুরের কোদালকাটিতে ভয়াবহ এক সম্মুখযুদ্ধ সংঘটিত হয়। কোদালকাটির সেই যুদ্ধে অংশ নেওয়ার গৌরব এখনো আলোড়িত করে মোক্তারকে। এ রকম আরও কয়েক প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন বলে জানান তিনি।
মোক্তার আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে জীবিকার প্রয়োজনে আমি চট্টগ্রামে থাকায় সময়মতো গেজেটের জন্য আবেদন করতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে। যুদ্ধে অংশ নেওয়ার সব দলিল ও সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকতেও আমি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
যুদ্ধে মোক্তারের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর সহযোদ্ধা ও স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আ. সালাম মিয়া, মকবুল হোসেন ও খবির উদ্দিন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫