Ajker Patrika

ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২২, ১৬: ৩৬
ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগে হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে

প্রকৃতিতে এখন চলছে ঋতুরাজ বসন্ত। তাপমাত্রার সামঞ্জস্যে এই সময়ে প্রকৃতিতে থাকার কথা প্রশান্তির ছোঁয়া। কিন্তু ফাল্গুনের শেষ দিনগুলোতে যেন চলছে শীত আর গ্রীষ্মের মহড়া।

ঘিওর উপজেলাসহ সারা মানিকগঞ্জেই দিনে বেড়েছে গরম। ঠিক তেমনই রাত নামলেই বাড়তে থাকে শীত। দিনভর ধুলোর রাজত্ব আর ভোররাতে হালকা কুয়াশা পড়ছে। সেই সঙ্গে দিনের বেলায় বেড়েছে মাছি আর রাতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। রাত ও দিনের তাপমাত্রার ব্যবধান বাড়ায় গত কয়েক দিনের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে অনেকের।

এই সময়ে সবাইকে বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সর্দি, কাশি, জ্বর, হাঁপানি, ডায়রিয়া ও চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ।

উপজেলা সরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চার দিনে প্রায় ৭৬০ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক। এর মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগ, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।

মানিকগঞ্জে আবহাওয়া অধিদপ্তরের কোনো কার্যালয় নেই। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ এলাকার তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের হিসাব রাখে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ বিপুল হোসেন জানান, জেলায় গত তিন দিন গড়ে দিনের বেলায় তাপমাত্রা থাকছে ২৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতে তা নেমে আসছে ১৭ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও জানান, এ ধরনের আবহাওয়ায় ধানের ব্লাস্ট রোগ ও সবজি গাছে ক্ষতি সাধিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এলাকাবাসীরা জানান, সকালও মাঝেমধ্যে কুয়াশায় ছেয়ে যাচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। বিকেলে কমতে থাকে তাপমাত্রা। সন্ধ্যা নামলেই ঠান্ডা পড়তে থাকায় গায়ে চড়াতে হচ্ছে গরম কাপড়।

উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামের জাহেরা বেগম (৫৫) বলেন, ‘সপ্তাহ খানিক আগে লেপ-কাঁথা তুলে রেখেছি। দিনে ফ্যান চালাই। দু-তিন ধরে আবার রাতে ঠান্ডা পড়ছে। তুলে রাখা কাঁথা আবার নামিয়ে রাতে গায়ে দিতে হচ্ছে।’

শোলধারা গ্রামের কৃষক মো. রমিজ বলেন, ‘কয়েক দিন খেতে ইরি ধান বুনছি, তখন গরম আটকে গিয়েছিল। রাতে হঠাৎ করে ঠান্ডা পড়ছে। দুই দিন ধরে সর্দি, মাথা ব্যথা, হালকা জ্বরে ভুগছি।’

মানিকগঞ্জের পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান আপন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গ্রীষ্মকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে হালকা ও আরামদায়ক পোশাক এনেছি। গরমের পোশাক বিক্রি শুরু হয়েছে বেশ ভালোই।’

ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুজিত সরকার বলেন, ‘শিশু ও বয়স্কদের জন্য অতিরিক্ত সতর্কতার পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয়ে আগে থেকেই সচেতন থাকতে হবে। রাস্তার ধূলিবালু থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। শিশুদের সর্দি-কাশির বিষয়েও মা-বাবাকে বাড়তি পরিচর্যার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, বিশেষ করে শিশুদের ঠান্ডা লাগানো যাবে না। কুসুম গরম পানিতে গোসল দিতে হবে। রাতে গরম কাপড় পরাতে হবে। এ সময়ে স্বাভাবিকভাবেই শিশুরা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেয়াদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরিকল্পনা সরকারের

নারীর সঙ্গে এনসিপি নেতা তুষারের কথোপকথন ফাঁস নিয়ে যা বললেন সহযোদ্ধা ইমি

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব নয়, স্বীকার করল ইসরায়েল

ঐকমত্য কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপ ‘বয়কট’ করল জামায়াত

চোখের সামনে খামেনির অন্তরঙ্গ মহল ফাঁকা করে দিচ্ছে ইসরায়েল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত