Ajker Patrika

১০০ শয্যার হাসপাতালে জনবল-সংকটে হিমশিম

আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, টাঙ্গাইল
১০০ শয্যার হাসপাতালে জনবল-সংকটে হিমশিম

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুই ধাপে ১০০ শয্যায় উন্নীত হলেও রয়েছে জনবল-সংকট। উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৪ জন। এমনকি ৫০ শয্যার অর্থও বরাদ্দ হয়নি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে। ইতিমধ্যে তিনবার জেলার শ্রেষ্ঠ চিকিৎসাসেবাকেন্দ্রের স্বীকৃতি পেয়েছে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।

জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রথমে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ছিল। ২০১৮ সালে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এ সময় যুক্ত হয় নতুন ভবন। বরাদ্দ হয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি; কিন্তু দক্ষ জনবলের অভাবে বাক্সবন্দী ছিল মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও জেনারেটর। এখন পর্যন্ত ৫০ শয্যার জনবল ও অর্থ বরাদ্দ কোনোটিই জোটেনি।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রতিদিন এই হাসপাতালে ৬০০-৭০০ রোগী বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ ৯০ থেকে ১০০ জন রোগী চিকিৎসা নেন। শতভাগ শয্যা পূর্ণ থাকছে ভর্তি রোগীতে। প্রতি মাসে ১০০টির মতো নরমাল ও সিজারিয়ান ডেলিভারি হয়। স্বল্পজনবল ও সীমিত অর্থ দিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।

 উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ সাইদুর রহমান যোগদান করে চালু করেন ওয়ানস্টপ ডায়াগনসিস সেন্টার। যেখানে রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, মল-মূত্র পরীক্ষা, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি পরীক্ষা ও ওষুধ বিতরণ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

বহির্বিভাগে রয়েছে আইএমসি আই-পুষ্টি কর্নার, ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, এএনসি-পিএন সিকর্নার, ভায়া সেন্টার, কিশোর-কিশোরী সেবাকেন্দ্র, ডেন্টাল ইউনিট, ফিজিওথেরাপি সেন্টার, টেলি মেডিসিন সেন্টার, স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্নারসহ নানাবিধ সেবা।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, প্রশস্ত, পরিচ্ছন্ন, সুসজ্জিত করে সেবা বাড়িয়ে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বিভিন্ন ভবনকে পাঁচটি ব্লকে বিভক্ত করে হাসপাতালের বাইরে ও ভেতরে নির্দেশিকা, সিটিজেন চার্টার দেওয়া হয়েছে। দুটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে।

জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের প্রচণ্ড ভিড়। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক কম। সেবা দিতে তাঁদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। 
পিরোজপুরের ইয়াসিন, জটাবাড়ীর লোকমান হোসেন, সত্তরোর্ধ্ব আয়মনাসহ কয়েকজন রোগী জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক জনবল-সংকট থাকায় চিকিৎসা নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ ১৫৫টি পদের বিপরীতে ১১৯ জন কর্মচারী রয়েছেন। চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৪ জন। কার্ডিওলজি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, অর্থোপেডিকস, শিশু ও সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালট্যান্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদও শূন্য রয়েছে।

চিকিৎসক সাইদুর রহমান বলেন, পরিসংখ্যানবিদ, অফিস সহকারী, হিসাবরক্ষক, প্রধান সহকারী পদের শূন্যতা নিয়েই চালাতে হচ্ছে হাসপাতালটি। চিকিৎসকের শূন্য পদে নিয়োগ হলে সেবার মান আরও বাড়ানো যাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত