ফিরোজ আহমেদ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখানপাড়া মান্নান গাছির খেয়াঘাটে ধীরগতিতে চলছে সেতুর নির্মাণকাজ। দুই বছরে কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয়দের পারাপারের জন্য নৌকার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
গোয়ালন্দ-ফরিদপুর-তাড়াইল সড়কের উত্তরে অবস্থিত খেয়াঘাটের দুই পাশে একাধিক বাজার ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব অঞ্চলের মানুষ দ্রুত ও স্বল্প সময়ে ফরিদপুরে যাতায়াতের জন্য ঘাট ব্যবহার করে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দের উজানচর ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম মান্নান গাছির খেয়াঘাট। দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সেখানে একটি সেতু নির্মাণের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৭ মে ওই খেয়াঘাটে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরিশালের মেসার্স রুপালী কনস্ট্রাকশন-মাম (জেভি) কাজটি পায়। চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হয়ে ৩০০ দিনের মধ্যে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দফা সময় বাড়ায়। বর্ধিত সময় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু কাজের ধীর গতির কারণে এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
উজানচর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চুন্নু মীর মালত বলেন, দুটি ইউনিয়নের তিন–চার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। এ ঘাটের ওপর অন্তত ২০ হাজার মানুষ নির্ভর করে। হাট-বাজারে কৃষকেরা কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থীদেরও চলাচল করতে হয়। ফরিদপুরে রোগী আনা-নেওয়ার জন্য এ অঞ্চলের মানুষকে এ খাল পার হতে হয়। সেতু নির্মাণের ধীর গতির কারণে তাঁদের ভোগান্তি কমছে না। সেতুর পিলারের কাজ শেষ হলেও ওপরের স্ল্যাবের কাজ করা হচ্ছে না।
আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম শেখ বলেন, তাঁর বাড়ি বেড়িবাঁধের উত্তরে উজানচরের মধ্যে। বেড়িবাঁধের দক্ষিণে আনন্দ বাজার। বাড়ি থেকে বাজারের দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার হবে। অথচ মাঝখানে খাল থাকায় প্রতিদিন নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় বেশি লাগে। সেতুর কাজ এখন বন্ধ আছে। সেতু হলে অনেক সুবিধা হবে।
উজানচর ইউনিয়নের মইজদ্দিন মোল্লা পাড়ার জাকির হোসেন বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ খাল দিয়ে মানুষকে নৌকায় পারাপার হতে দেখে আসছেন। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন এ খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সেতুর পিলার ওঠানো ছাড়া এখন পর্যন্ত কাজের তেমন অগ্রগতি দেখছেন না। তাঁদের এখনো নৌকার ওপরেই ভরসা করতে হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাহরিয়ার কবির বলেন, ইতিমধ্যে সেতু নির্মাণের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষাকালে খালে পানি থাকায় আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। এখন শুধু স্ল্যাবের কাজ বাকি আছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে সর্বশেষ গত ২৩ আগস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গার্ডার, ডেক স্ল্যাব ঢালাইসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও কাজের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ঠিকাদারকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখানপাড়া মান্নান গাছির খেয়াঘাটে ধীরগতিতে চলছে সেতুর নির্মাণকাজ। দুই বছরে কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয়দের পারাপারের জন্য নৌকার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
গোয়ালন্দ-ফরিদপুর-তাড়াইল সড়কের উত্তরে অবস্থিত খেয়াঘাটের দুই পাশে একাধিক বাজার ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব অঞ্চলের মানুষ দ্রুত ও স্বল্প সময়ে ফরিদপুরে যাতায়াতের জন্য ঘাট ব্যবহার করে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোয়ালন্দের উজানচর ইউনিয়ন এবং ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম মান্নান গাছির খেয়াঘাট। দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এ ঘাট দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সেখানে একটি সেতু নির্মাণের।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ৭ মে ওই খেয়াঘাটে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। বরিশালের মেসার্স রুপালী কনস্ট্রাকশন-মাম (জেভি) কাজটি পায়। চুক্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হয়ে ৩০০ দিনের মধ্যে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কয়েক দফা সময় বাড়ায়। বর্ধিত সময় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু কাজের ধীর গতির কারণে এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
উজানচর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চুন্নু মীর মালত বলেন, দুটি ইউনিয়নের তিন–চার হাজার মানুষ প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে যাতায়াত করে। এ ঘাটের ওপর অন্তত ২০ হাজার মানুষ নির্ভর করে। হাট-বাজারে কৃষকেরা কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করেন। শিক্ষার্থীদেরও চলাচল করতে হয়। ফরিদপুরে রোগী আনা-নেওয়ার জন্য এ অঞ্চলের মানুষকে এ খাল পার হতে হয়। সেতু নির্মাণের ধীর গতির কারণে তাঁদের ভোগান্তি কমছে না। সেতুর পিলারের কাজ শেষ হলেও ওপরের স্ল্যাবের কাজ করা হচ্ছে না।
আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ী সেলিম শেখ বলেন, তাঁর বাড়ি বেড়িবাঁধের উত্তরে উজানচরের মধ্যে। বেড়িবাঁধের দক্ষিণে আনন্দ বাজার। বাড়ি থেকে বাজারের দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার হবে। অথচ মাঝখানে খাল থাকায় প্রতিদিন নৌকায় যাতায়াত করতে হয়। এতে সময় বেশি লাগে। সেতুর কাজ এখন বন্ধ আছে। সেতু হলে অনেক সুবিধা হবে।
উজানচর ইউনিয়নের মইজদ্দিন মোল্লা পাড়ার জাকির হোসেন বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এ খাল দিয়ে মানুষকে নৌকায় পারাপার হতে দেখে আসছেন। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন এ খালের ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সেতুর পিলার ওঠানো ছাড়া এখন পর্যন্ত কাজের তেমন অগ্রগতি দেখছেন না। তাঁদের এখনো নৌকার ওপরেই ভরসা করতে হচ্ছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি শাহরিয়ার কবির বলেন, ইতিমধ্যে সেতু নির্মাণের প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষাকালে খালে পানি থাকায় আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে পুরোদমে কাজ শুরু হবে। এখন শুধু স্ল্যাবের কাজ বাকি আছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান বলেন, ঠিকাদারকে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে সর্বশেষ গত ২৩ আগস্ট চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গার্ডার, ডেক স্ল্যাব ঢালাইসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও কাজের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে ঠিকাদারকে কয়েক দফা চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪