Ajker Patrika

ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে গ্রামবাসীর

কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬: ৪৪
ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে গ্রামবাসীর

কাঠালিয়া উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের উত্তর চেঁচরী এলাকায় এক যুবকের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। তাঁর বিরুদ্ধে ঘরে আগুন দেওয়াসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। আনোয়ার নামের ওই যুবকের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটে শতাধিক পরিবারের। জানমাল রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিতে হয়। আনোয়ার মাস তিনেক আগে জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও নানা অপকর্ম করে আসছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। তিনি উত্তর চেঁচরী গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলসহ মানুষের ঘরে চুরি করে আসছিলেন। গত বছর চুরি ও কুঁড়েঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ। এই অভিযোগে দায়ের মামলায় ১৩ মাস কারাভোগ করে আনোয়ার। তখন গ্রামে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে মাস তিনেক আগে জামিনে বের হন আনোয়ার। এরপর থেকে আবার গ্রামের মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। প্রতি রাতেই গ্রামের কোনো না কোনো ঘরে চুরির ঘটনা ঘটছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার ঘরে আগুন দেন।

গত ২৩ নভেম্বর উত্তর চেঁচরী গ্রামের জালাল মীরার ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ার জড়িত বলে দাবি ওই পরিবারের। ঘটনার দুদিন পর আরেকটি চুরির ঘটনায় আনোয়ারকে স্থানীয়রা হাতেনাতে ধরলে অপকর্মের কথা স্বীকার করেন তিনি। এ সময় তাঁর কাছ থেকে জালাল মীরার ঘর থেকে নেওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়।

সাবেক ইউপি সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘গ্রামের জালাল মীরের দুই ভাই সৌদি আরব থাকেন। গত মাসে জালালের মা ওমরাহ পালনের জন্য ছেলেদের কাছে সৌদিতে যান। এ সময় জালাল বাড়িতে একা থাকতেন। বিকেলে তিনি ঘর তালাবদ্ধ করে বাইরে গেলে সেই সুযোগে আনোয়ার ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন।

ইউপি সদস্য শাহিন খান বলেন, ‘আমার এলাকায় আনোয়ার হোসেন নামের এক যুবক রয়েছে। চুরির অভিযোগে তিনি ২-৩ বার জেল-হাজতে ছিলেন।’

অভিযুক্ত যুবক আনোয়ার হোসেন দিনে আত্মগোপনে থাকেন। এ কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

কাঠালিয়া থানার ওসি মুরাদ আলী বলেন, ‘ওই এলাকায় চোর ধরা হয়েছিল এই বিষয়ে জানা নেই। এ ছাড়া ওই এলাকায় একটি ঘর পুড়েছে এবং ফায়ার সার্ভিস যে রিপোর্ট দিয়েছে আমরা সেই আলোকে জিডি করে রেখেছি। ঘর পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেই পরিবারের লোকজন আসছিল। তার মা গেছেন ওমরা পালন করতে, এখনো আসেননি। ঘরে কী কী ছিল, তাঁরা বিস্তারিত বলতে পারেননি। তাদের মা আসলে লিখিত দেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত