চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই জেলা সদর হাসপাতালে ২৫-৩৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গার অভাবে মেঝে এবং বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে সাত মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যাই বেশি।
আবহাওয়ার পরিবর্তন হঠাৎ ডায়রিয়া রোগী বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি ছাড়াও প্রতিদিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর চাপে ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এ কারণে অনেক রোগীর ঠাঁই হচ্ছে ওয়ার্ডের বারান্দায়। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘গত রোববার আমার তিন বছর বয়সী মেয়ে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বাড়িতে তাকে খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পরও সুস্থ না হওয়ায় আজ (বুধবার) হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখতে বলেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর অনেক চাপ, ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বারান্দায় মেয়েকে নিয়ে আছি।’
ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তাবাচ্ছুম নামের অন্য একটি শিশুর পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত দুদিন থেকে পাতলা পায়খানা আর বমি হচ্ছিল তাবাচ্ছুমের। রোববার সকালে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে এসে দেখা যায়, ওয়ার্ডে কোনো জায়গা নেই। বারান্দায় বিছানা পেতে মেয়ের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিরাপদ পানি পান ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
আসাদুর রহমান মালিক খোকন আরও বলেন, ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে হলে নিরাপদ পানি পান করা সবচেয়ে জরুরি। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এ সময়ে শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল থাকতে হবে। পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হলে শিশুকে মুখে খাবার স্যালাইন বারবার খাওয়ানো ও মায়ের বুকের দুধও খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সব সময় হাত পরিষ্কার রাখারও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
ফাতেহ আকরাম আরও জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। রোগী ভর্তি যেমন হচ্ছে, তেমনি প্রতিদিন রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেও যাচ্ছেন। রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন হাসপাতালে সরবরাহ রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই জেলা সদর হাসপাতালে ২৫-৩৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে জায়গার অভাবে মেঝে এবং বারান্দায় রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে সাত মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যাই বেশি।
আবহাওয়ার পরিবর্তন হঠাৎ ডায়রিয়া রোগী বাড়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি ছাড়াও প্রতিদিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
হঠাৎ ডায়রিয়া রোগীর চাপে ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এ কারণে অনেক রোগীর ঠাঁই হচ্ছে ওয়ার্ডের বারান্দায়। এ অবস্থায় চিকিৎসা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুর মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘গত রোববার আমার তিন বছর বয়সী মেয়ে হঠাৎ করেই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে পড়ে। বাড়িতে তাকে খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পরও সুস্থ না হওয়ায় আজ (বুধবার) হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখতে বলেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর অনেক চাপ, ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে বারান্দায় মেয়েকে নিয়ে আছি।’
ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন তাবাচ্ছুম নামের অন্য একটি শিশুর পরিবারের সদস্যরা বলেন, গত দুদিন থেকে পাতলা পায়খানা আর বমি হচ্ছিল তাবাচ্ছুমের। রোববার সকালে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওয়ার্ডে এসে দেখা যায়, ওয়ার্ডে কোনো জায়গা নেই। বারান্দায় বিছানা পেতে মেয়ের চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়ার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিরাপদ পানি পান ও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
আসাদুর রহমান মালিক খোকন আরও বলেন, ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে হলে নিরাপদ পানি পান করা সবচেয়ে জরুরি। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা এ এস এম ফাতেহ আকরাম বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। এ সময়ে শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল থাকতে হবে। পাতলা পায়খানা ও বমি শুরু হলে শিশুকে মুখে খাবার স্যালাইন বারবার খাওয়ানো ও মায়ের বুকের দুধও খাওয়াতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া খোলা ও বাসি খাবার পরিহারের পাশাপাশি সব সময় হাত পরিষ্কার রাখারও পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।
ফাতেহ আকরাম আরও জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ২০ থেকে ৩০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন। রোগী ভর্তি যেমন হচ্ছে, তেমনি প্রতিদিন রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেও যাচ্ছেন। রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন হাসপাতালে সরবরাহ রয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪