জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে শেরপুরে শেষ মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে যাচ্ছেন, ভোট প্রার্থনা করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সংরক্ষিত (নারী) আসনে সদস্য পদে তিনজন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার ৭৪৩ জন।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল (আনারস প্রতীক), বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান (মোটরসাইকেল প্রতীক) ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাকারিয়া বিষু (চশমা প্রতীক)। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ফারহানা পারভীন মুন্নী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শুধু ২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার। প্রার্থীরা ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদে নির্বাচনী সভা, মিছিল করে ভোট প্রার্থনা করছেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে যোগাযোগ করছেন ভোটারদের সঙ্গে। অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তোলা হচ্ছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।
গত বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান। এ সময় তিনি বলেন, হুইপ আতিক তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটারদের টিআর প্রকল্পের সরকারি অনুদান বিলির আশ্বাস দিচ্ছেন। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে এ বিষয়ে হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক বলেন, তিনি কোনোভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না। বরং তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। তিনি নির্বাচন বিষয়ে কাউকে কোনো প্রভাবিত করেননি। তিনি আরও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে হুমায়ুন কবীর রুমানকে জেলা আওয়ামী লীগসহ দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রতিহিংসামূলকভাবে তিনি এসব কথা বলছেন।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেলা আক্তার জানান, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ অক্টোবর ইভিএমের মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্তসংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হবে।
জেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে শেরপুরে শেষ মুহূর্তে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে যাচ্ছেন, ভোট প্রার্থনা করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সংরক্ষিত (নারী) আসনে সদস্য পদে তিনজন ও সাধারণ সদস্য পদে ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার ৭৪৩ জন।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল (আনারস প্রতীক), বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান (মোটরসাইকেল প্রতীক) ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য জাকারিয়া বিষু (চশমা প্রতীক)। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুটি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে ফারহানা পারভীন মুন্নী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শুধু ২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার। প্রার্থীরা ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদে নির্বাচনী সভা, মিছিল করে ভোট প্রার্থনা করছেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে যোগাযোগ করছেন ভোটারদের সঙ্গে। অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় নির্বাচন ঘিরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। তোলা হচ্ছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ।
গত বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান। এ সময় তিনি বলেন, হুইপ আতিক তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটারদের টিআর প্রকল্পের সরকারি অনুদান বিলির আশ্বাস দিচ্ছেন। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে এ বিষয়ে হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক বলেন, তিনি কোনোভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন না। বরং তিনি কিছুটা অসুস্থ থাকায় বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। তিনি নির্বাচন বিষয়ে কাউকে কোনো প্রভাবিত করেননি। তিনি আরও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে হুমায়ুন কবীর রুমানকে জেলা আওয়ামী লীগসহ দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রতিহিংসামূলকভাবে তিনি এসব কথা বলছেন।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাহেলা আক্তার জানান, এ বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ অক্টোবর ইভিএমের মাধ্যমে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলবে।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্তসংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪