সেলিম হোসাইন, ফুলবাড়িয়া
ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর, রাঙ্গামাটিয়া ও ভবানীপুর ইউনিয়নে যত্রতত্রভাবে গড়ে তোলা হয়েছে পোলট্রির খামার ও শিল্প কারখানা। এতে ওই এলাকায় মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। মুরগির বিষ্ঠার তীব্র দুর্গন্ধে গ্রামগুলোয় থাকাই এখন দায় হয়ে পড়ছে। মানুষ ও গৃহপালিত পশু-পাখির দেখা দিয়েছে চর্মসহ নানা ধরনের রোগ। নষ্ট হচ্ছে খেত খামারের ফসল। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ঘনবসতি এলাকায় ও রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে শত শত মুরগির খামার। এর বিষ্ঠা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের পানি ও তরল বর্জ্য সরাসরি কৃষি জমি, খাল-বিল ও নদীতে ফেলা হচ্ছে পাইপের মাধ্যমে। এ ছাড়া রাতের আধারে পতিত জমিতে বা রাস্তার পাশে মরা মুরগিসহ বিষ্ঠার বস্তা রেখে যাওয়া হচ্ছে। ফলে দুর্গন্ধে মানুষে যাতায়াত করা করতে পারে না।
পোলট্রি নীতিমালা অনুযায়ী, মুরগির খামার পরিষ্কার করা পানি ও বিষ্ঠা নির্দিষ্ট একটি কূপে রাখতে হবে। কূপের ভেতর ব্যবহার করতে হবে চুন ও পটাশ। এতে পরিবেশের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। অথচ অধিকাংশ খামারেই এই নীতিমালা মানা হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে এনায়েতপুরে ইউনিয়নে দুই বড় পোলট্রি খামার গড়ে উঠে। ওই এলাকা ছাড়াও ভবানীপুর ও রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে অনেকগুলো খামার ও কারাখানা গড়ে তোলা হয়। প্রায় সব খামারই ঘনবসতি এলাকায়। এসব খামারের কারণে পরিবেশ দূষণসহ ভোগান্তি দেখা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে দুই একটির তদন্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এনায়েতপুর গ্রামের শাহজাহান বলেন, ‘গেরামের বাতাসত গন্ধ করে। গাঙয়ের পানিত অহন বিষ। আস (হাঁস) নামলে মইরা যায়। মানুষ নামলে শইল্ল ঘাঁও অইয়া যায়। বাজুয়া নদী গরু দোয়াবার (গোসল) নামছিলাম একদিন, দুইড্ডা মিনিটও অইচ্ছে না। শইল (শরীর) খাজ্জাইতে খাজ্জাইতে ঘাঁও অইয়া গেছে, গরুর পা ফুইল্লা গেছিল।’
গোপপাড়া গ্রামের সঞ্জয় চন্দ্র গোপ বলেন, ‘অনিয়মতান্ত্রিক মুরগির খামার করারা কারণে ও বিষ্ঠা ফেলায় গ্রামের পরিবেশ মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। সরস্বতী নদী থেকে জমিতে পানি দিলে ফসল মরে যায়। এখন বিষ্ঠার দুর্গন্ধে সৎকার করাই কঠিন হয়ে যায় শ্মশান ঘাটে।’
প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নিবন্ধিত পোলট্রি খামার ১৫৪টি। এর মধ্যে লেয়ার মুরগির খামার ৭৮টি ও বয়লারের ৭৬টি। অথচ মুরগির খামারি ও মালিকদের তথ্য মতে, তিন থেকে চার হাজার পোলট্রি খামার রয়েছে। তারা পোলট্রি শিল্পের কোনো নীতিমালাই মানছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাজুয়া নদীর পাড়ে বেশ কয়েকটি মুরগির খামার। এসব খামারের বিষ্ঠা সরাসরি বাজুয়া নদীতে ফেলা হচ্ছে। নদীর পানি কালো হয়ে গেছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মরা মুরগি ও পচা ডিম। এতে দুর্গন্ধে নদীর আশপাশ দিয়ে যাওয়া যায় না।
খামারি বাদল মিয়া বলেন, ‘আমার জমিতে মুরগির ফার্ম করেছি, সরকারি নদীতে বিষ্ঠা ফেলছি। আমার মতো অনেকেই ফেলছে। পরিবেশের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। নদীতে পানি হলে বিষ্ঠা সব পরিষ্কার হয়ে চলে যায়।’
বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাজিম উদ্দিন বলেন, ‘নদী, খালে-বিলে ও পতিত জমিতে মুরগির বিষ্ঠা ফেলায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে কয়েকটি গ্রাম। বিশেষ করে বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি প্রভাব পরছে। গন্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসতে চায় না।’
ফুলবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. হারুন আল মাকসুদ বলেন, ‘এসব খামারের কারণে এলাকায় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। অ্যালার্জি, চর্ম ও শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, ‘ঘনবসতি এলাকায় বা পরিবেশ নষ্ট করে কোনো পোলট্রি খামার করা যাবে না। যারা পরিবেশের ক্ষতি করে খামার করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কোনো অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর, রাঙ্গামাটিয়া ও ভবানীপুর ইউনিয়নে যত্রতত্রভাবে গড়ে তোলা হয়েছে পোলট্রির খামার ও শিল্প কারখানা। এতে ওই এলাকায় মারাত্মকভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। মুরগির বিষ্ঠার তীব্র দুর্গন্ধে গ্রামগুলোয় থাকাই এখন দায় হয়ে পড়ছে। মানুষ ও গৃহপালিত পশু-পাখির দেখা দিয়েছে চর্মসহ নানা ধরনের রোগ। নষ্ট হচ্ছে খেত খামারের ফসল। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই ঘনবসতি এলাকায় ও রাস্তার পাশে গড়ে উঠেছে শত শত মুরগির খামার। এর বিষ্ঠা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের পানি ও তরল বর্জ্য সরাসরি কৃষি জমি, খাল-বিল ও নদীতে ফেলা হচ্ছে পাইপের মাধ্যমে। এ ছাড়া রাতের আধারে পতিত জমিতে বা রাস্তার পাশে মরা মুরগিসহ বিষ্ঠার বস্তা রেখে যাওয়া হচ্ছে। ফলে দুর্গন্ধে মানুষে যাতায়াত করা করতে পারে না।
পোলট্রি নীতিমালা অনুযায়ী, মুরগির খামার পরিষ্কার করা পানি ও বিষ্ঠা নির্দিষ্ট একটি কূপে রাখতে হবে। কূপের ভেতর ব্যবহার করতে হবে চুন ও পটাশ। এতে পরিবেশের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। অথচ অধিকাংশ খামারেই এই নীতিমালা মানা হচ্ছে না।
ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে এনায়েতপুরে ইউনিয়নে দুই বড় পোলট্রি খামার গড়ে উঠে। ওই এলাকা ছাড়াও ভবানীপুর ও রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে অনেকগুলো খামার ও কারাখানা গড়ে তোলা হয়। প্রায় সব খামারই ঘনবসতি এলাকায়। এসব খামারের কারণে পরিবেশ দূষণসহ ভোগান্তি দেখা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে দুই একটির তদন্ত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এনায়েতপুর গ্রামের শাহজাহান বলেন, ‘গেরামের বাতাসত গন্ধ করে। গাঙয়ের পানিত অহন বিষ। আস (হাঁস) নামলে মইরা যায়। মানুষ নামলে শইল্ল ঘাঁও অইয়া যায়। বাজুয়া নদী গরু দোয়াবার (গোসল) নামছিলাম একদিন, দুইড্ডা মিনিটও অইচ্ছে না। শইল (শরীর) খাজ্জাইতে খাজ্জাইতে ঘাঁও অইয়া গেছে, গরুর পা ফুইল্লা গেছিল।’
গোপপাড়া গ্রামের সঞ্জয় চন্দ্র গোপ বলেন, ‘অনিয়মতান্ত্রিক মুরগির খামার করারা কারণে ও বিষ্ঠা ফেলায় গ্রামের পরিবেশ মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। সরস্বতী নদী থেকে জমিতে পানি দিলে ফসল মরে যায়। এখন বিষ্ঠার দুর্গন্ধে সৎকার করাই কঠিন হয়ে যায় শ্মশান ঘাটে।’
প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নিবন্ধিত পোলট্রি খামার ১৫৪টি। এর মধ্যে লেয়ার মুরগির খামার ৭৮টি ও বয়লারের ৭৬টি। অথচ মুরগির খামারি ও মালিকদের তথ্য মতে, তিন থেকে চার হাজার পোলট্রি খামার রয়েছে। তারা পোলট্রি শিল্পের কোনো নীতিমালাই মানছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বাজুয়া নদীর পাড়ে বেশ কয়েকটি মুরগির খামার। এসব খামারের বিষ্ঠা সরাসরি বাজুয়া নদীতে ফেলা হচ্ছে। নদীর পানি কালো হয়ে গেছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মরা মুরগি ও পচা ডিম। এতে দুর্গন্ধে নদীর আশপাশ দিয়ে যাওয়া যায় না।
খামারি বাদল মিয়া বলেন, ‘আমার জমিতে মুরগির ফার্ম করেছি, সরকারি নদীতে বিষ্ঠা ফেলছি। আমার মতো অনেকেই ফেলছে। পরিবেশের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। নদীতে পানি হলে বিষ্ঠা সব পরিষ্কার হয়ে চলে যায়।’
বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কাজিম উদ্দিন বলেন, ‘নদী, খালে-বিলে ও পতিত জমিতে মুরগির বিষ্ঠা ফেলায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে কয়েকটি গ্রাম। বিশেষ করে বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাবুগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি প্রভাব পরছে। গন্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে আসতে চায় না।’
ফুলবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. হারুন আল মাকসুদ বলেন, ‘এসব খামারের কারণে এলাকায় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। অ্যালার্জি, চর্ম ও শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, ‘ঘনবসতি এলাকায় বা পরিবেশ নষ্ট করে কোনো পোলট্রি খামার করা যাবে না। যারা পরিবেশের ক্ষতি করে খামার করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কোনো অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫