হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
১৯৯৪ সালে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) যোগদান করেন তারেক সুলতান। এরপর দীর্ঘ ২৭ বছর পার হয়েছে। তবে তাঁকে এখনো স্থায়ী করেনি কর্তৃপক্ষ। যোগদানের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি একই পদে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক সুলতান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৈষম্যের শিকার। স্থায়ী কর্মকর্তাদের মতো আমরাও একই কাজ করছি। কিন্তু তাঁরা বেতন-ভাতা বেশি পাচ্ছেন। আর সাত বছর পর অবসরে যাব। অবসরে গেলেও তেমন কোনো টাকা পাব না। অথচ একই পদে কাজ করে স্থায়ী কর্মকর্তারা পাবেন ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা। চাকরিজীবনে প্রাপ্তি বলে কিছু নেই। পুরো সময়টাই হয়তো অস্থায়ী হিসেবে কাটিয়ে দিতে হবে।’
তারেক সুলতান বর্তমানে সিটি করপোরেশনের চকবাজার ওয়ার্ডে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে কাজ করছেন। তিনি প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ পান ১৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে একই পদে থাকা করপোরেশনের একজন স্থায়ী কর্মকর্তা পান প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
তারেক সুলতানের মতো আরও ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী ভিত্তিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কাজ করছেন। তাঁদের অনেকেই ২০ থেকে ২৫ বছর কাজ করার পরও এখনো স্থায়ী হতে পারেননি। বারবার আশ্বাস দিয়েও করপোরেশন তাঁদের স্থায়ী করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
তাঁরা বলছেন, করপোরেশনে এখন এক হাজারের বেশি শূন্য পদ আছে। তারপরও তাঁদের অস্থায়ী হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, করপোরেশনের নিয়োগ বিধিমালায় অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী করার বিষয়টি পুরোপুরি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের অনুকূলে ১৯৮৮ সালের অনুমোদিত একটি সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিক কাঠামোর বিপরীতে কোনো নিয়োগ বিধি না থাকায় করপোরেশনে দীর্ঘদিন স্থায়ীভাবে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এর বিপরীতে করপোরেশনের কাজের পরিধি বেড়েছে। তাই জরুরি প্রয়োজনে, কখনো কখনো তাৎক্ষণিক আবেদন গ্রহণের মাধ্যমে দৈনিকভিত্তিক ও নির্ধারিত বেতনে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন কাজ করার পরও স্থায়ী না করায় এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যে কারণে সম্প্রতি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী।
চসিক অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সদস্যসচিব সাজু মহাজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার বলার পরও করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমাদের স্থায়ী করার বিষয়ে কোনো তোড়জোড় দেখছি না। শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর চারবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ করার কথা বলা হলেও করপোরেশন এখনো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।’
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী করার জন্য আমার আগ্রহের কোনো কমতি নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁদের স্থায়ী করার পক্ষে। কিন্তু তাঁদের স্থায়ী করার বিষয়টি করপোরেশনের এখতিয়ারে নেই। অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। সচিবকে আমি নিজে বলেছি। এখন মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেবে, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’
১৯৯৪ সালে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) যোগদান করেন তারেক সুলতান। এরপর দীর্ঘ ২৭ বছর পার হয়েছে। তবে তাঁকে এখনো স্থায়ী করেনি কর্তৃপক্ষ। যোগদানের পর থেকে এখন পর্যন্ত তিনি একই পদে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক সুলতান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বৈষম্যের শিকার। স্থায়ী কর্মকর্তাদের মতো আমরাও একই কাজ করছি। কিন্তু তাঁরা বেতন-ভাতা বেশি পাচ্ছেন। আর সাত বছর পর অবসরে যাব। অবসরে গেলেও তেমন কোনো টাকা পাব না। অথচ একই পদে কাজ করে স্থায়ী কর্মকর্তারা পাবেন ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা। চাকরিজীবনে প্রাপ্তি বলে কিছু নেই। পুরো সময়টাই হয়তো অস্থায়ী হিসেবে কাটিয়ে দিতে হবে।’
তারেক সুলতান বর্তমানে সিটি করপোরেশনের চকবাজার ওয়ার্ডে ওয়ার্ড সচিব হিসেবে কাজ করছেন। তিনি প্রতি মাসে বেতন-ভাতা বাবদ পান ১৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে একই পদে থাকা করপোরেশনের একজন স্থায়ী কর্মকর্তা পান প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
তারেক সুলতানের মতো আরও ৭ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী অস্থায়ী ভিত্তিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কাজ করছেন। তাঁদের অনেকেই ২০ থেকে ২৫ বছর কাজ করার পরও এখনো স্থায়ী হতে পারেননি। বারবার আশ্বাস দিয়েও করপোরেশন তাঁদের স্থায়ী করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
তাঁরা বলছেন, করপোরেশনে এখন এক হাজারের বেশি শূন্য পদ আছে। তারপরও তাঁদের অস্থায়ী হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, করপোরেশনের নিয়োগ বিধিমালায় অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী করার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নেই। অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী করার বিষয়টি পুরোপুরি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশনের অনুকূলে ১৯৮৮ সালের অনুমোদিত একটি সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিক কাঠামোর বিপরীতে কোনো নিয়োগ বিধি না থাকায় করপোরেশনে দীর্ঘদিন স্থায়ীভাবে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু এর বিপরীতে করপোরেশনের কাজের পরিধি বেড়েছে। তাই জরুরি প্রয়োজনে, কখনো কখনো তাৎক্ষণিক আবেদন গ্রহণের মাধ্যমে দৈনিকভিত্তিক ও নির্ধারিত বেতনে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন কাজ করার পরও স্থায়ী না করায় এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যে কারণে সম্প্রতি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী।
চসিক অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদের সদস্যসচিব সাজু মহাজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বারবার বলার পরও করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমাদের স্থায়ী করার বিষয়ে কোনো তোড়জোড় দেখছি না। শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর চারবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শূন্যপদ পূরণ করার কথা বলা হলেও করপোরেশন এখনো কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।’
এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী করার জন্য আমার আগ্রহের কোনো কমতি নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাঁদের স্থায়ী করার পক্ষে। কিন্তু তাঁদের স্থায়ী করার বিষয়টি করপোরেশনের এখতিয়ারে নেই। অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। সচিবকে আমি নিজে বলেছি। এখন মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেবে, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪